হারিয়ে যাওয়া কবি: সুশীল ভৌমিক

জয়দীপ মৈত্র


“ভাষা ভুলে গেলে
গলগন্ড দিয়ে কবিতা লিখবো,à¦¤à§‹à¦®à¦°à ¦¾
পড়বে আর হাসবে সবসময়,যখনই মনে পড়বে
এভাবে ক্রমশঃ জুড়ে ফেলবো বন-
রাস্তা,পারৠক থেকে মাছের বাজার


তোমাদের গ্রন্থিতে ঘুম,সে-ঘুমও হাসবে আমার কবিতার কথা মনে করে”
১.
অন্ধকার ঘরে একা তিনি শুয়ে আছেন।চোখ বন্ধ।দরজা বন্ধ।জানাল া দিয়ে ঠান্ডা চাঁদের আলো এসে পাঁজরের সাদা হাড় ঝকঝক à¦•à¦°à¦›à§‡à¥¤à¦…à¦¨à¦¨à§à ¦¤ সাদা হাড়।ভেঙে পড়া সাম্রাজ্যৠর শেষ রাজপ্রাসাদ ের থামের মতো।কোথাও কোনো চিৎকার নেই।ত্রাস নেই।শুধু মৃদু বিপন্নতা à¦•à¦¾à¦à¦ªà¦›à§‡à¥¤à¦šà§‹à ¦– বন্ধ অবস্থাতেই একটু একটু উঠছেন,আবার শুয়ে à¦ªà§œà¦›à§‡à¦¨à¥¤à¦¦à§‚à¦°à ‡,বহুদূরে কোনো হলুদ ঘড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তে শেষবারের মতো দশটার ঘন্টা বাজতেই তাঁর চোখ à¦–à§à¦²à¦²à§‹à¥¤à¦•à¦¾à¦°à ‹ আসার কথা à¦†à¦›à§‡à¥¤à¦œà§à¦¯à§‹à§Žà ¦¸à§à¦¨à¦¾ তার জুতোর শব্দে মিশে যাবে।সে আসলেই তিনি বিছানা থেকে উঠবেন।হাসঠ¿à¦®à§à¦–ে তাঁকে সে এগিয়ে দেবে টেবিল-ল্যাঠ®à§à¦ªà§‡à¦° à¦•à¦¾à¦›à¦¾à¦•à¦¾à¦›à¦¿à¥¤à ¦¤à¦¾à¦°à¦ªà¦° তাঁর সারা শরীর ভরিয়ে দেবে শান্ত কালো à¦…à¦•à§à¦·à¦°à§‡à¥¤à¦²à§à ¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¦° আলোয় নতুনভাবে উদ্ভাসিত হবেন তিনি।কিছুঠ•à§à¦·à¦£, তারপর জানলা দিয়ে উড়ে যাবেন অন্য কোথাও,যেখা নে কেউ তাঁর জন্য অপেক্ষা à¦•à¦°à¦›à§‡à¦¨à¦¾à¥¤à¦¯à§‡à ¦–ানে অপেক্ষার অর্থই হচ্ছে গন্তব্য থেকে আলোকবর্ষ দূরের কোনো নিঃসঙ্গ জাহাজযাত্র া।সম্পূর্ঠএকা।রক্ত,à¦®à ¾à¦‚à¦¸,ঘাম,লোভ থেকে দূরের সেই গুহার à¦¦à¦¿à¦•à§‡à¥¤à¦…à¦¨à§à¦§à •à¦¾à¦°à¦‡ যেখানে আলোর উৎসের সন্ধান সর্বশ্রেষৠঠ ভাবে দিতে সক্ষম।এমনঠী,এসব যদি নাও হয়,সেই রহস্যাবৃত আগন্তুক তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে টেবিলের নিচে ছুঁড়ে দেবে à¦¤à¦¾à¦à¦•à§‡à¥¤à¦•à¦¿à¦‚à ¦¬à¦¾, ছিঁড়ে ফেলে অন্ধকার ঘরের শীতল মেঝেতে ছড়িয়ে রাখবে।দুভঠ¾à¦¬à§‡à¦‡ তিনি পুড়বেন।তিঠি আসলে এক সাদা কাগজ।তিনি ধবধবে পৃষ্ঠা।ব্য ক্তিগত অস্তিত্ত্ঠহীন,কিন্তু তীব্রভাবে সম্ভাব্য।জ ঙ্গলের গভীরে হঠাৎ দেখা কালো বাঘের চোখ।তিনি সুশীল ভৌমিক।
২.
সম্ভবত ফেব্রুয়ারৠমাসের এক সন্ধে।বহরঠপুরের স্কয়্যারফঠল্ডে অনুষ্ঠিত বইমেলায় এক মেঠো আড্ডা à¦šà¦²à¦›à¦¿à¦²à§‹à¥¤à¦¸à§‡à –à¦¾à¦¨à§‡à¦‡ সমীরণ দা(ঘোষ) এবং অমিতাভ দা(মৈত্র)র মুখে প্রথম শুনি ওনার নাম।“সুশীঠ² ভৌমিকের লেখা না পড়লে বহরমপুরের কবিতার ইতিহাস সম্পর্কে কোনো ধারণাই পাবিনা” বলছিলেন অমিতাভ দা।তার পরের মাসে কবিতা কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হলো বহরমপুরেইॠ¤à¦ªà§à¦°à¦•à¦¾à¦¶ পেল “কথামুখ” পত্রিকা।পঠ্রিকার প্রথম কবিতাতেই আমি সুশীল ভৌমিকের মুখোমুখি।⠜জল দাও।কোনো এক পাথরের জল”-বোধের অতলান্ত থেকে উঠে আসা এই প্রথম লাইনটি আমার হৃৎপিন্ডতৠপ্রথমে মৃদু টোকা দিয়ে তারপর রক্তমাংস সুদ্ধ ঝাঁকিয়ে à¦¦à¦¿à§Ÿà§‡à¦›à¦¿à¦²à§‹à¥¤à ®à§‹à¦šà§œ দেওয়া এক পাহাড়প্রমা ণ যন্ত্রণার ডগাটুকুই দেখেছিলাম সেদিন à¦¸à¦®à§‚à¦¦à§à¦°à§‡à¥¤à¦†à ° নিজের শরীরে অনুভব করেছিলাম অতল ফেনা,ঢেউ আর তীব্র নুন।গোটা কবিতাটার সামনেই স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম à¦…à¦¨à§‡à¦•à¦•à§à¦·à¦£à¥¤à ¦ªà§à¦°à¦¥à¦® সাক্ষাতে সেই মুহূর্তের অনুরণন যে একটা বাদ্যযন্ত্ রের জন্ম দেবে কোথাও এটুকু বেশ বুঝতে à¦ªà§‡à¦°à§‡à¦›à¦¿à¦²à¦¾à¦®à ¤
৩.
সেপ্টেম্বঠ° মাসের এক সকাল।অমিতঠ¾à¦­ দার লেখা â€œà¦¸à¦¾à¦ªà¦²à§à¦¡à§‹â€à ° একটা পৃষ্ঠা কিছুটা ভিজে গেছে।ফোঁট ¦¾ ফোঁটা জল ছড়িয়ে আছে দু-তিন জায়গায়।সাঠা পাতা তাকে শুষে নিচ্ছে আর ওই অংশগুলো একটু চুপসে গেছে।শক্ত ¦¿ বলেছিলেন “বুকের মধ্যে কিছু পাথর থাকা ভালো”।সুশৠ€à¦² ভৌমিককে নিয়ে লেখা অমিতাভ দার অংশটুকু বুকের কোথায় যে ধাক্কা মেরেছিলো জানিনা।তবৠহঠাৎ করেই-

“জানিনা কেন যে কান্না এলো”


একজন মানুষ হারিয়ে যেতে কেন চায়?কোথায় সরে যেতে চায়?রাস্তা থেকে চুপচাপ সরে যেতে শুরু করলে গলিরা তাকে মনে রাখে,à¦•à¦¿à¦¨à§à¦¤à § গন্তব্য তাকে অস্বীকার করতে শুরু করে।সে করুক,ক্ষতি নেই।অজানা গলিঘুঁজির অজানা অন্ধকারে যারা আগুন পোহায়,তারা হয়তো মুখ তুলে তার দিকে তাকায়।বরফৠর কুচি ঝেড়ে ফেলে আগুন তখন সাহস করে সেই শীতার্তের দিকে এগিয়ে যায়।আর তারপর-


“সাদা রুমালের জন্য ধন্যবাদ।দ্ রুত ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।
একজন অনুতপ্ত শুধু সরে বসে জায়গা করে দিচ্ছে
তিনজন অনুতপ্তের জন্য।”
-অমিতাভ মৈত্র

আগুন যাকে আলোর জন্য জায়গা ছেড়ে দেয়,আগুনে পুড়ে পুড়ে সে হারিয়ে যেতেই তো চায়।অজানা উৎসের সন্ধানে,ব্ঠ¯à¦•à§à¦¤à¦¿à¦—ত খোঁজের গলিগুলোতে দগ্ধ হয়ে সুশীল বাবু হারাতেই তো à¦šà§‡à§Ÿà§‡à¦›à¦¿à¦²à§‡à¦¨à ¥¤à¦¸à¦¾à¦°à¦¾ জীবন এক অদ্ভূত নীরবতার ঘেরাটোপে নিজেকে এবং নিজের কবিতাকে আবদ্ধ করে রাখতে à¦šà§‡à§Ÿà§‡à¦›à¦¿à¦²à§‡à¦¨à ¥¤à¦¤à¦¾à¦à¦° কবিতা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো কোনো অজানা গভীর গাছের কাঠ কেটে তৈরি করা এক বাঁশীতে কোনো রক্তাক্ত বাদক তার শেষ ফুঁয়ের জন্য বাতাস ভরে রেখেছেন কিছু কিছু করে।বোধের চারণভূমি থেকে ঊদ্ভূত প্রত্যেকটঠ¿ কবিতা আছড়ে পড়েছে বহুদূরের কোনো সাদা সমুদ্রে।যৠখানে কোনো পায়ের ছাপ মিলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।কোনো জাহাজের দেখা পাওয়া যাবেনা।শুঠু একটানা এক প্রচন্ড গুমরে ওঠা,যা বিস্ফোরণেঠ° আকারে নৈঃশব্দ তৈরী করেছে,তাকৠকিছুটা ছুঁয়ে আসা যাবে।বহু কবিতা উদ্ধার করা হয়তো যায়নি।এর মূলে আছে তাঁর অদ্ভূত স্বভাব।কবঠতা লেখার সময় তাঁর ঘরে কেউ এলে তিনি সটান সেটি ছিঁড়ে ফেলে দিতেন,বা লুকিয়ে রেখে দিতেন এবং কখনোই আর সেটি লিখতেন না।এমনকী, কোনো কবিতা লিখেও তৃপ্তি না পেলে তিনি সেটি ছিঁড়ে ফেলে দিতেন।“ব্ঠ¯à¦•à§à¦¤à¦¿à¦—ত জীবন ও কবিতায় আমি পুড়েই যেতে চেয়েছি-à¦¸à¦ à¦¿à ¦• ভাবে এই ছিলো কবিতায় আমার উদ্দেশ্য”-à ¦à¦Ÿà¦¾à¦‡ তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন এবং তিনি পুনঃমার্জন ার পক্ষপাতী ছিলেন না এজন্যে “যে প্রত্যেক মুহূর্তের মানুষ আলাদা,à¦…à¦¸à¦¤à§à ¯à§‡à¦° সম্ভাবনাও থেকে যেত নাহলে”।পরঠ¬à¦°à§à¦¤à§€ কালে বহু কবিতাই তিনি তাঁর নিজের প্রকাশিত কবিতা সমেত,তাঁর ভাষায় “ঝাঁকামুটৠ‡à¦° মাথায়” তুলে à¦¦à¦¿à§Ÿà§‡à¦›à§‡à¦¨à¥¤à¦à ‡ অদ্ভূত সাধনা জগতের মধ্যে বিষণ্ন সন্ন্যাসীঠমতো তিনি অপেক্ষা করেছেন কী কোনোকিছুর?

“উজ্জ্বল কিছুর জন্য ফাঁকা আগুনের শান্ত অপেক্ষা
যখন দূরত্বও পর্যাপ্ত নয় পৌঁছনোয়

এবং দূরত্বই নেই বলে অতিক্রমও করা যাচ্ছে না

এতদূর,যেন নদীর ভেতরে কোনো সরু কাঠ তলিয়ে যাচ্ছে
ফাতনা হতেই পারে সেটা
আদিগন্ত নৌকার দাঁড়ও হতে পারে”

সত্যিই জানিনা এই à¦ªà¦‚à¦•à§à¦¤à¦¿à¦—à§à¦²à ¿ আমি নিজেই বা কেন লিখে à¦«à§‡à¦²à§‡à¦›à¦¿à¦²à¦¾à¦®à ¤à¦¸à¦¤à§à¦¯à¦¿à¦‡ হয়তো জানিনা সুশীল ভৌমিক কেন হারিয়ে যেতে à¦šà§‡à§Ÿà§‡à¦›à¦¿à¦²à§‡à¦¨à ¥¤à¦¯à¦¾à¦°à¦¾ “Waiting for godot” পড়েছেন তাঁরা কি মিল পাবেন সুশীল ভৌমিকের সাথে সেই অপেক্ষারত দুজনের?সত্ঠ¯à¦¿à¦‡ জানিনা।হার িয়ে গিয়েছে তাঁর বহু কবিতা।তবু যা আছে তার মধ্যে থেকেই কয়েকটি কবিতা পাঠকের সাথে শেয়ার না করে পারছিনা-

বাড়ি
*********
বাড়িঘর ভাবতে গিয়ে ঘুম পায়,গভীরতা পায়
বাড়ি মানে......
মাঠে আমি,দূরে সব লোকজন
নেকড়ের দাঁতে তখন সরোদ বাজছিলো
বাড়ি মানে মাথার স্মৃতিশূনৠয খুলি,রোদা অনুভব
যা কিনা বেজে ওঠে à¦…à¦¤à¦¿à¦¸à§‚à¦•à§à¦·à§à ® অতলের
কাছে...
আয়নাগুলো কথা বলে,জল কথা বলে,আমি
থাকি একা শূন্য আমার গভীরে


কি নির্লিপ্ত কন্ঠস্বর নিয়ে একজন গভীরতার কাছে নিজেকে সঁপে দিচ্ছেন আর অনুভবের শেকড় ধরে নাড়া দিচ্ছেন!à¦¸à§‚à ¦•à§à¦·à§à¦®à¦¤à¦® শূন্যতাকে জট পাকাচ্ছেন এমন ভঙ্গীতে,যে ন কোনো বাড়ির সবথেকে নির্জন জায়গায় বসে কেউ পৃথিবীর বিষণ্নতম সন্ধ্যে হতে দেখছে।এই ভাষা আজ থেকে প্রায় তিরিশ-চল্লঠশ বছর আগে লেখা।যেন সময়ের ওপার থেকে শূন্যতা তাঁকে হাতছানি দিচ্ছে,আর কালো পাঁচিলের ওপর সবুজ শ্যাওলার মতো তিনি,নিত্যঠতুন দাঁড়াচ্ছেঠ¨ তাঁর আদি অনন্ত চেতনা নিয়ে।সেই হারিয়ে যাওয়া,সেই চলে যাওয়া বারবার।

আরেকটি কবিতার কথা মনে পড়ছে-

অসুস্থতার গল্প
**********
অসুস্থতা,ঠমিও প্রেমিক
অসুস্থতার পাশে বসে অসুস্থতা,জঠ¾à¦¨à¦¿
তবু ও পার্কের বেঞ্চে মৃদু হাওয়া-বিনয়ৠ€ বাদামওলা
আসে সন্ধ্যা এলে
মামাতো বোন রোজ ফোন তুলে খোঁজ নেয় মামাতো বোনের

এইটুকু জানা হলে
করিডোর ক্রমাগত বাঁকা ও ফাঁকা হতে থাকে
দ্রুত হেঁটে নার্সরা ড্রেস খুলে নেমে যায়
পুরুষ নামক শ্লথ অবকাশে
দূর থেকে দেখা নদী শাদা হয়..........
আমার অসুস্থতা সুটকেস নিয়ে ছোটে ভিড়ের ভেতর
অসুস্থতা ,অসুস্থতা , অসুস্থতা;
এখনও তো ঝুঁকে আছি উত্তর দিকেই
আমিও প্রেমিক জেনে ওষুধ ও পৃথিবী আছে,আর কিছু নেই


এইরকম অসহ্য এক উচ্চারণ তিনি শরীরের প্রতিটি কোষে ছড়িয়ে দিতে পারেন।কলাঠ° ধরে ঝাঁকিয়ে দিতে পারেন এবং এক অজানা রহস্যময় ভয়ের দরজা খুলে দিতে পারেন-
“এইটুকু জানা হলে
করিডোর ক্রমাগত বাঁকা ও ফাঁকা হতে থাকে”

যেন নিরুদ্দেশৠর সেই গুহার সামনে খুল যা সিম্ সিম্ করছে কেউ,আর ঝর্ণায় ভিজিয়ে দিচ্ছে তার ঘোড়া,লাগাম এবং ব্যক্তিগত অনুভুতিগুঠ²à§‹à¥¤

আরো একটি কবিতার কথা বলা যেতেই পারে-

প্রকৃত কারুর কাছে
****************
সারাদিন ড্রাইভারেঠ° মতো ক্লান্ত শরীর টেনে ফিরে এলে
প্রকৃত কারুর কাছে যাওয়া শুরু হয়
স্মৃতির অরণ্য ঘুরে সার্চলাইট আলো দেয়
আহতের চোখের ওপর
দুদিকে চেয়ার সাজিয়ে তখন
এক নিদ্রিতের সঙ্গে আমার যেন দেখা হয়
বহু কাল পর
তখন পাঞ্জাবি গলিয়ে বন্ধুদের সাথে শুধু বারান্দা অবধি
যাওয়া যায়
তখনই প্রকৃত কারুর কাছে যাওয়া শুরু হয়,
প্রকৃত কারুর কাছে যেতে পারি ।
তখন হলুদ টেলিপ্রিনৠটার নিউজের মতো সমস্ত শরীর
টিপ-টিপ জমা হয়
রুদ্ধদ্বার ঘরের ভেতর

লক্ষ্য করুন পাঠক –“দুদিকে চেয়ার সাজিয়ে তখন/এক নিদ্রিতের সঙ্গে আমার যেন দেখা হয়
বহু কাল পর/ তখন পাঞ্জাবি গলিয়ে বন্ধুদের সাথে শুধু বারান্দা অবধি/যাওয়া যায়”
হাসপাতালেঠহলুদ চাদরের গন্ধ ছড়িয়ে আপনি কোথায় চলে যেতে চেয়েছিলেন সুশীলবাবু?ঠšà¦²à§‡ যেতে গিয়েও এমন তীব্র আকুতি যেন নিশ্চিত পরিণামেরও একটি পেছন দরজা থাকে।সমাজ রাজনীতি জীবনযাপন সমস্ত কিছু থেকে এক ঝটকায় নিজেকে সরিয়ে নিয়ে অন্তরালে চলে গিয়ে মানুষের চিরন্তন শূন্যতাকে আঁকড়ে à¦§à¦°à§‡à¦›à¦¿à¦²à§‡à¦¨à¥¤à †à¦¸à¦²à§‡ কবিতা শূন্যেরই সাধনা,এমন এক যাত্রাপথ যার কেন্দ্রটি শূন্যবিন্ঠস্ত, অনির্দিষ্ঠএবং বিপজ্জনক।ঠার্নারের “Dawn after the wreck”নামক সেই ছবির মতোই যা স্নিগ্ধ অথচ নেপথ্য ভয়ঙ্কর এক শূন্য অস্তিত্ত্ঠজর্জরিত।ওঠরে আলোচিত কবিতায় বহু,কাল এবং পরের মধ্যবর্তী এই স্পেস ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দেয় যখন তিনি নিজের হলুদ শরীরকে টেলিপ্রিনৠটার নিউজের মতোই ঘরের ভেতরে পাঠিয়ে দেন।এই স্বেচ্ছা নির্বাসন তখন আরেকজনের স্বপ্নে অনধিকার প্রবেশের মতো হয়ে ওঠে।হয়ে ওঠে আহতের চোখের মতোই একইসঙ্গে নিষ্প্রভ এবং à¦…à¦ªà§‡à¦•à§à¦·à¦®à¦¾à¦¨à ¤à¦à¦‡ অপেক্ষাই সারাটা জীবন ক্লান্ত করেছে তাঁকে।হারঠ¿à§Ÿà§‡ দিয়েছে বারবার এবং ক্লান্ত ড্রাইভারেঠ° মতোই শূন্যতার কেন্দ্রস্ঠ¥à¦²à§‡ কড়া নাড়তে বাধ্য করেছে।

“আমি কোনো গাছ দেখে এখনো বিস্মিত আছি
এখনও শরীরে দেখি সব ঘটনা বা অভিজ্ঞতা
শাদা হয়ে আছে;
আসলে সবকিছু বায়বীয় শূন্যতা ছাড়া আর কিছু নয়
গাছচিহ্নহৠ€à¦¨ একটা à¦¸à§à¦•à§‹à¦°à¦¬à§‹à¦°à§à ¡ বীজের ভেতর
এখন কোথায় আমি
বা কে কোথায় আছে
কী এক বিধাতা দুদিকে প্রদর্শনীà¦
দরজা খুলেছে”

৪.
ফাঁকা মাঠের মাঝখানে লোহার চেয়ারে বসে আছেন শীর্ণকায় এক বৃদ্ধ।বুকৠর গভীরে পেসমেকার যা কখনো পোড়ানো যায় না।একটু পরেই বিদ্যুতের শক্ দেওয়া হবে তাঁকে।না,à¦à •à¦Ÿà¦¾à¦¨à¦¾ কখনোই নয়।থেমে থেমে,খুব মৃদু তারপর তার মাত্রা বাড়ানো হবে।মাঝেমঠ¾à¦à§‡ পাশের পুকুরে ডুবিয়ে ধরা হবে তাঁর হাত।ছটফট করতে করতে যখন একটুখানি দম ফেলবেন তিনি,à¦…à¦ªà§‡à¦•à§à ¦·à¦¾ করবেন নিশ্চিত কিছুর,তখনই আবার যন্ত্রনার সর্বোচ্চ পরিসরে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে।তিনঠ¿ সেই কাঁপতে থাকা আঙুল নিয়ে যাবেন দিস্তা কাগজের ওপর।নিজের আত্মার ওপর।সাদা কাগজ আসলে অপেক্ষা করতে করতে মরে যাওয়া কিছু à¦•à¦²à¦®à¥¤à¦œà§€à¦¬à¦¨à¦•à ‡ তিনি বলবেন “একটু দাঁড়াও নয়তো কাগজ ছিঁড়ে ফেলে à¦¦à§‡à¦¬à§‹â€à¥¤à¦¹à¦¾à¦°à ¿à§Ÿà§‡ যাওয়ার আগে তাঁর দুটো আঙুল তিনি তুলে ধরবেন দরজার ছিটকিনির দিকে।আসলে দরজা কোথাও ছিলনা।রুদৠধদ্বার ঘরের ভেতর তাঁর অপেক্ষা ছড়িয়ে পড়তে পড়তে চুরমার করে দেবে গন্তব্যের অস্তিত্ব।ঠর গভীর রাত্রে হঠাৎ কোনো রেডিয়ো চলতে শুরু করবে।বলতে শুরু করবে-

আমার জন্য রাত দশটায়
*****************
আমার জন্য রাত দশটায় কোনো ঘর খুলে যেতে পারে
আমি কিন্তু আদৌ জানিনা আমার জন্য কয়েক জোড়া জুতো
বাইরে চন্দ্রালোঠমেখে আছে কিনা
আমি কি কয়েকটি হৃদপিন্ড বাইরে আঢাকা রেখে পাপ
কোরে যাচ্ছি ক্রমাগত
আমি কোনো বন্ধুর নাম ভুলে গেছি-কোনো
অবশ্য সাক্ষাৎ এড়িয়ে অব্যবহৃত জঙ্গলে আছি
আমার জন্য কেউ আজ ঘন ঘন মৃত মানুষের মতো
খারাপ সুইচে হাত রেখে
আমার জন্য রাত দশটায় কোনো ঘর খুলে যেতে পারে


**[ একটিই কাব্যগ্রনৠà¦¥ আছে ওনার-“আমি,ত ¦¬à§â€à¥¤à¦à¦¬à¦‚ আছে তাঁর আরো কবিতা,যা তিনি লিখে রেখে দিতেন ঘরের গোপনে,কুলু ¦™à§à¦—ি এমনকী জুতোর à¦¬à¦¾à¦•à§à¦¸à§‡à¦“à¥¤à¦¸à ‡à¦‡à¦¸à¦¬ অমূল্য কবিতা উদ্ধার করে ‘কবিতা ক্যাম্পাস†™ প্রকাশ করেছে তাঁর “নির্বাচিঠকবিতা” শীর্ষক বইটি ]