ঘুড়িহীন সুতোর বিবাহ

অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়


এক।।

অশৌচ ভেঙে যায় আড়াল গন্ধে



à¦¬à¦°à§à¦£à¦ªà¦°à¦¿à¦šà§Ÿà §‡à¦° সন্তানরা দুইহাত দিয়ে এই বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে রেখেছে।
আর আড়ালের বয়েস বাড়ছে সেই ফর্সা হয়ে ওঠা নিয়ে।
ফলের চারপাশে এখনো রস।
কিম্‌বা ভেতরেও বেড়ে উঠছে স্বাদের মধুরিমা।
এরপরেও আড়ালের মাখামাখি।
যখন
রোদ থেকে ফিরে আসছে নোনতা ফেনারা। আমাদের মাঝামাঝি ঢেউগুলিও।


আমরা
একটা প্যালেটের বাড়িতে থাকতাম। রঙ্গের স্পর্ধাও ছিল সেখানে। সুসময় আসতো ভাঁজ করা বৈশাখ নিয়ে।একটা গাড়িও ছিল আমাদের। ওর বনেটের ওপর বসে থাকতো ছায়াদের আড়াল। আকাশে মেঘ হলেই ওরা আরো নিবিড় হয়ে উঠতো যখন এই বাড়ির কেউ কেউ মুক্তির খোঁজে, আনন্দের খোঁজে ওই বনেটের বুকে মাথা রেখে আমায় কানে কানে বলতো,

ভীষণ লজ্জা লাগে......à¦•à¦¿à¦¨à§à ¤à§ এইযে আড়ালের হাসি আর ওড়নার বৈশাখ কুচি কুচি হয়ে এবার ঝড়ে পড়বে শরীরের এধারে ওধারে

তুইকি তা দেখতে পাস অলীক।

আমি
শুধু কাটা দেখতে পাই। কাটাদের ঘুরতে থাকা দেখতে পাই। আর অপেক্ষা করে থাকি তোর জন্য। তোদের জন্য।এখানৠএত ঐশ্বর্য লুকিয়ে আছে যে মানুষ ফুরোলেই তুলির আড়ালগুলি নেমে আসে ভেতরের ক্ষমায়।

খটকারা পালিয়ে যায় তখন। আর উবু হয়ে ইঙ্গিতের কাছে বসে থাকে ওদের ছবিরা।

ভরাট নদীটার চুলে আরেকটু আড়াল থেকে এবার বেরিয়ে আসছে তোমার নৌকো।

সাদা...ধবধবৠসাদা... স্পারের দেদার নিয়ে শুয়ে থাকা ছৈ-টার নেড়ে ওঠা হাতের আশায়।

আড়াল পরিচিত হয়
আলাপটাও
দৌড়োতে দৌড়োতে বর্ণদের কৈশোর চলে যায় আষাঢ়ের কাছে।

আশ্চর্য লম্বা সেই দূরত্ব। আমি, আমরা ক্রমশ দূর হয়েই উঠতে থাকি। যখন তোমার কাঁধ থেকে ঝাপ্‌সা হয়ে আসে

প্রিয় সূর্যাস্ত
প্রিয় রামধনু আর রেখে আসা বনেটের ঘরোয়া আড়ালগুলি


দুই।।

ঘুড়ি আমাদের জ্বলন্ত চার্লি


পৃষ্ঠা সরিয়ে রাখলে তোমার জুতোই দেখতে পাই।
চুল সরিয়ে রাখলে à¦†à¦•à¦¾à¦¶à¦—à§à¦°à¦¾à¦®à ¤

এই মাঝ বয়েসের মুখোশ থেকে তবু ফিরে আসে খুন। আর জখমের ভালবাসায় চেনা পাড়ার মাঠটা। ঠিক দুপুরবেলাৠআমি আর আমার লাটাই যখন ফাঁকা মাঠটার জ্বরের কাছে আসতাম একটা বেড়াল থাকতো পেছন পেছন। মনে পড়ে যায় সেই তাকানোর শব্দ। আর আমি দৌড়োতে দৌড়োতে তোমাদের বাড়িটা ছাড়িয়ে যাচ্ছি একদমে। তোমার বেরিয়ে আসা হাসি আমার আকাশটার গায়ে হাত রাখতেই নীল রোদের কথায় ছুঁড়ে দিতাম আগুনের ঘুড়ি। গানের চেয়ে থাকা গুলি।

কবে ফাঁস হয়েছিল আমাদের আড়াল...... মনে পড়ে?

কবে মাথা মুছতে মুছতে তুমি বড় হয়ে উঠলে স্নানের প্রজাপতি নিয়ে?
আর আমার মাঠ তোমাকে চক্রান্ত করে শুধু দেখিয়ে যেত নানা রঙের কাগজ
তেতুলের গন্ধ দিয়ে, বর্ষার লন্ঠন দিয়ে।

লাটাইএর স্বরলিপি দিয়ে কোন সন্ধ্যায় কপালের অসুখ এই ছায়া নেভালো

আমাদের উড়ে যাওয়া চিঠির মাঝে ছিল কুয়োতলার মাঞ্জা আর পয়সায় বোলানো যুবতীর রুমালে রাখা
কিছু প্রান্তের কথা। কিছু একটানা রেখে আসার কথা......

ঘুড়ি উড়ছে। আর ছাড়িয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা মেঘ। মেঘের পেট থেকে বেরিয়ে আসা রান্নাঘর। সাম্প্রতিঠ। জলের আসেপাশে ছায়া। দূরের রাস্তা দিয়ে কারুর সাইকেলে করে চলে যাওয়া। আর পেছন ঘুরতেই অজস্র রং আর রঙের বারান্দায় যেন এই নীল শূন্যে শুধু আমাকেই চাঁদ লিখতে বলছে। আমাকেই ভাবতে বলছে সুতো নিয়ে। আরো অনেক অনেক বাক্সে রাখা ঘুড়িদের চুল বাঁধা নিয়ে।

এবার কাটাকুটি খেলবো। তারপর ভো-à¦•à¦¾à¦Ÿà§à¦Ÿà¦¾à¦“à ¥¤ নতুন শীতের কাছে চিঠি লিখে পাঠাবো ঘুড়িবাজ গল্প সাজিয়ে।

ঠাকুমার সিঁথি আমি দেখি নি। খালি চড়কাটার কথা মনে আছে। আছে...... ছুটি ছিল বলেই আমার আঙুলে লাগিয়ে রেখেছিলাম রূপাদের আঠা। ফেলে আসা পোষাকের বিস্তর দৃশ্যগুলিà¥

অক্ষরহীন লাটাই থেকে ঘুড়ি উড়ে যাচ্ছে এখনো পাঙ্গা নদীটার দিকে। ওর কথা আর কেউ শুনবে না এবার। সে চলে যাচ্ছে অন্য কোন দেশে। আমাদের আকাশটাও। দেখ আমার হাতে সেই কেটে যাওয়া লাটাইটাই। খালি সুতোয় ভোলানো।

নীল আবার দৌড়ে গেল দেবেশের দোকান। চোখ চলে যাচ্ছে জানালার দিকে। দরজার গানে ছাড়িয়ে।

সুতোটা প্লিজ বেঁধে দাও আরেকবার । আমি ছাতার কাছে চলে যাই মাথায় রক্ত করে। ঘুড়ির শত্রু করে।

আর বেড়ালটা তাকিয়েই থাক

আড়ালের দিকে
কবেকার মতলব নিয়ে