কবিতাগুচ্ছ

হিন্দোল ভট্টাচার্য

হারবার্ট


একটি অমোঘ চাঁদ ভেঙে পড়ে যায় মধ্যরাতে
হারবার্ট বুঝেছিল বুকে কোন দিকে ব্যথা হয়
ময়লা তোলার গাড়ি নিয়ে রোজ ঈশ্বর আসেন
ভাঙা একটা গাড়ি, তার চাকাগুলো গত শতাব্দীর
সামন্ততান্ ত্রিক ধুলো লেগে থাকে তার স্টিয়ারিঙà§
হারবার্ট বুঝেছিল বুকে কোনদিকে ব্যথা হয়
শ্মাশানচাঁ পার গাছে জল দেয় অলৌকিক ডোম
সে জানে কোথায় কার শরীরে গোপন তিল ছিল
সে বোঝে কখন কার নাভি ছাইভস্মে ভেসে গেছে
রাত যত বাড়ে তত কারা যেন হাঁটে কোনদিকে
তাদের কখনও কোনও নাম ঘর সমাধি ছিল না
হারবার্ট বুঝেছিল ঈশ্বরের ইতিহাস নেই
একটি সমাধির নীচে কয়েকশো হাজার মৃত্যু নীরবে ঘুমোয়

কোরাস


থিয়েটার বলতে কোনও নায়কের কাহিনি ছিল না
একটি চরিত্র শুধু নাটকের তুচ্ছ কুশীলব
আসল কথাটি থাকে অগোচরে, ছদ্মবেশে মোড়া
হয়তো জনতা শুধু, অথবা গলা মেলায় তার
হয়তো দর্শক একা, হয়তো বা আবহসঙ্গীত
নায়ক বোঝে না কিছু,নায়ক সে কথাটিই খোঁজে
যে কথা একাকী বলা, যে কথা নিভৃতে বলা কাজ
হয়তো ভিড়ের মধ্যে, হয়তো মায়ের মতো মুখে
থিয়েটার শেষ হয়ে গেলে তার কথা শুরু হয়...

মহাকাল


নাটমন্দিরট ি ভাঙা, তবুও জাগ্রত হয়ে আছে
ভিতরে মন্দির নেই,দেবতাও সমুদ্রে বিলীন
দুপাশে কয়েকটা ভাঙা তোরণ, কয়েকটা সিঁড়ি শুধু
ধ্বংসস্তূঠªà§‡à¦° দিকে উঠে গেছে গাইড ছাড়াই
এইখানে ঘর ছিল,কোষাগা ¦°, মন্দির, দেবতা
ওই যে রন্ধনশালা, এখন সেখানে পোড়া দাগ
কিছু নেই আর, কিছু নেই শুধু উপেক্ষিত কিছু
জাগ্রত নাটমন্দির এবং তোরণ পড়ে আছে
রয়েছে ভগ্নাংশ শুধু, সিঁড়ি আর চৌষট্টি কলায়
কালভৈরবের মূর্তি, উপেক্ষিত, প্রতিটি তোরণে

শূন্য


যারা অন্ধকার খায়, বলি আমি কার অন্ধকার?
যে আঁধার মানে চাঁদ অমাবস্যা অথবা পূর্ণিমা
সে আঁধার ভুয়ো, তার মায়াকাচ সরালে তুমিও
সে আঁধার পাবে, যার নক্ষত্রমণৠডলী জেগে আছে
অনেক অতীত থেকে অনেক অতীতে ছুটে যাওয়া
সেই অন্ধকারে তুমি অন্ধকার ছাড়া আর কিছু
কখনও পাবে না। এত লীলাময় প্রিয় হে আঁধার
হয়তো তুমিও তার কাছে ক্ষুদ্র à¦†à¦²à§‹à¦•à¦¬à¦°à§à¦¤à¦¿à •à¦¾
যেমন ফুটেছে ফুল, নীরবেই, ঝরে যাবে ব'লে


লীলা


এ মাটি আমার নয়, এ জল এ হাওয়া এই আলো
সময় বোঝে না কিছু, কাকে বলে সফলতা আর
কেই বা মৃত্যুর আগে ব্যর্থ হল, কেই বা ইঁদুর
আমিও জীবনানন্দ লিখি রোজ নশ্বর পাথরে
দেখি ব্যর্থ যারা, তারা ব্যর্থতাকৠকখনও বোঝেনি
দেখি যারা জিতে গেছে তারাও বোঝেনি তারা মৃত
সমুদ্র এসেছে শুধু বারংবার, ভালোবাসা যেন
বুঝি, চলে গেছে সেও, ক্ষণস্থায়ৠফেনা পড়ে আছে