অনর্থকোষ

শৌভ চট্টোপাধ্যায়

১. অপেক্ষা

চলে যাওয়া আর ফিরে আসার মাঝখানে, একফালি সরু বারান্দা রয়েছে। লাল মেঝের ওপর গ্রিলের দাগ, দুপুরের রোদ। চল, দেখে আসি।

অপেক্ষা, আসলে একটি শূন্যতা বই তো নয়, যা বেড়ে ওঠে বারান্দার আনাচে-à¦•à¦¾à¦¨à¦¾à ¦šà§‡à¥¤ তাকে ভরিয়ে তোলার চেষ্টায় আমাদের কোনো খামতি নেই। বাতিল কাগজ, ঘুড়ি, ছেঁড়া জুতো, এরোপ্লেন, à¦¡à¦¾à¦¨à¦¾â€”à¦…à¦¯à¦¤à§à ¨à§‡ ছড়িয়ে রাখি কতকিছু, একটা গোটা সংসার, একটা এলোমেলো জীবন।

অপেক্ষা এমন একটি শূন্যতা, যা কখনো পূর্ণ হয় না। সন্ধ্যা হলে, বারান্দায় জ্বালিয়ে দিই একটি ধুলো-পড়া হলুদ বালব। কেউ কি আসবে?

২. আয়না

যে কখনো আয়নায় নিজেকে দেখেনি, সে জানতেও পারবে না, তার থুতনিতে, হালকা খয়েরি-রঙের একটা তিল আছে কি না। সে জানতেও পারবে না, তার চুলে কতখানি পাক ধরেছে, তার চোখের রঙ কালো না বাদামি, হাসলে তাকে ঠিক কীরকম দেখায়।

রাস্তায় বেরোলে, নিজেকে কবন্ধ বলে মনে হবে তার। পাশের মানুষটির দিকে, আড়চোখে তাকিয়ে থাকতে-à¦¥à¦¾à¦•à¦¤à §‡, দু-চোখ ঝাপশা হয়ে উঠবে। ঠিক বুঝতে পারবে না, সে হাসছে না কাঁদছে; তার মুখে, যথাযথ বিস্ময় ফুটে উঠল কি না।

তারপর একদিন, নিজের জন্য সে কিনে আনবে একটি মাপসই মুখোশ। পালটে ফেলবে গলার স্বর, আর কথা বলার ভঙ্গী। নিজের সঙ্গে কথা বলতে-বলতে, নিজের কাঁধে হাত রেখে, সে বাড়ি ফিরবে একদিন।