...আর নাম ধরে ডেকে ওঠে কেউ

অনিন্দিতা ভৌমিক





(১)
MOTHER died today. Or, maybe, yesterday; I can’t be sure. The telegram from the Home says: YOUR MOTHER PASSED AWAY. FUNERAL TOMORROW. DEEP SYMPATHY. Which leaves the matter doubtful; it could have been yesterday.

এয়ারপোর্টৠর সিঁড়ি বেয়ে সরু একফালি ক্যারিবিয়ঠন সমুদ্র। নিরবিচ্ছিঠ্ন বসতির নিচে চাপ চাপ স্নায়ু। এইভাবে কেঁপে ওঠা একটা দৃশ্যের ভেতর অন্যরকম লাগে। বসার চেয়ার দুটো – মুখোমুখি, সময় ও দূরত্বের অনুপাতে। টেবিলের ওপর রাখা খবরের কাগজ। এইমাত্র উঠে গেল কেউ। পাশে খোলা চশমা, এখনও রাখা আছে।
অথবা এসব কিছুই না। ব্যস্ততানি র্ভর এই শহরে খুব বেমানান একটা বাড়ি ফেরার পথ আর কিছু নরম ছায়া পড়ে। যারা এসেছিল তাদের মাপা হাসি ও উজ্জ্বল পোষাকের সামনে নিস্তরঙ্গ থাকি। একপা একপা করে তুলে রাখি প্রিয় হাতের লেখা। যা দিয়ে মোলায়েম কোনো বৈশিষ্ট্য তৈরি করা যায় সহজেই। আর মেপে নেওয়া ধারণার স্তুপ থেকে নিশ্চিত বৃত্ত তৈরি হয়। একরাশ কালো চুল অথবা à¦…à¦ªà§à¦°à§Ÿà§‹à¦œà¦¨à§€à Ÿ কথার ভেতর খুব চেনা চেনা মুখ – মনে হয় মা হতে পারে।
(২)
It was a blazing hot afternoon. I’d lunched, as usual, at Céleste’s restaurant. Everyone was most kind, and Céleste said to me, “There’s no one like a mother.”

অনেকদিন ধরেই কেউ আসে। নিঃশ্বাসেঠগন্ধ গায়ে মেখে ভাত বেড়ে দেয়। আলতো হাত রাখে কপালে। অথচ এই যে খুঁজে-না-à¦ªà¦¾à ¦“য়া বোধ এই যে খুব চেনা অনুভুতি তাকেই তো সম্পর্ক বলি...আত্মগত বলি কতো অনায়াসে। আর প্রতি ক্ষেত্রেই সমস্ত হরফের মাপ বা ছোটখাটো কংক্রিট ডিটেইল আমার মনে থেকে যায় সহজেই।
ঝুঁকে আসে যে ক্যানভাস, তার লোকেশান নিয়ে পরপর দুটো লাইনের ফাঁক তখন হাতের মুঠোয়। দড়ি ও কাঠ দিয়ে বানানো ছায়ার গায়ে ত্রিমাত্রি ক সবুজ, আর্কাইভ করে রাখা। ফলতঃ à¦•à§Ÿà§‡à¦•à¦ªà§à¦°à¦¸à§à ¥ অবসাদ ভেসে ওঠে আবহাওয়ায়।
(৩)
I entered the mortuary. It was a bright, spotlessly clean room, with whitewashed walls and a big skylight. The furniture consisted of some chairs and trestles. Two of the latter stood open in the center of the room and the coffin rested on them.

নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার মূহুর্তেও
খানিকটা ভারসাম্য থাকে
বড় বড় হরফে যেখানে ঘুম হয়
নিজস্ব বালিশে খুলে যায় অতিক্রান্ঠ¤ রাস্তা
ক্লান্তিহৠন চলাচল
কোনো অভিমুখ নেই সমাধিফলকে
#
জন্মের ভেতরে জন্ম কতটা শূন্যতা ফেলে রাখে?
পায়ের ছাপ আর সেইসব নিহিত শব্দের আদলে
আমি চিঠি লিখি
বুড়ো জামরুলের পাতা ছুঁয়ে
মেলে ধরি তোমার শীতার্ত বলিরেখা
à¦šà¦¾à¦°à¦ªà¦¾à¦¶â€¦à¦•à§‡à ‰ নেই তখন উঠোনে
শুধু অভ্যস্ত হলুদ গন্ধে
একটা বাড়ি একা পড়ে থাকে, অনিবিড়

(৪)



স্পর্শ নেই। তাই ঠাহর করতে পারি না এই ঘরে আদৌ কেউ এসেছিল কিনা। মাঝেমধ্যে নিজেকে আর্ত মনে হয়। একটা আপাত ধারণা একটা অবয়বহীনতা... তবুও তো নাম ধরে ডেকে উঠছে কেউ। উচ্চারণগত সত্যতার বদলে যাকে নিজের করে রাখি সচেতনে। যে দূরের চেয়ে আরও কাছে। অনন্ত নাম-রূপ-à¦—à¦¨à§à ¦§à§‡ বয়ে চলে নিরবধি। পায়ে পায়ে হাঁটে – যে যৌথতা à¦†à¦œà¦¨à§à¦®à¦•à¦¾à¦²à§€à ¨... একান্ত নিজের।

মা, আমার চোখ বুজে যায় একটা শান্ত সমাহিত অনুভবে... তোমাকে একটু ছুঁয়ে ফেলার ভেতর একটু খুঁজে নেওয়ার ভেতর দেখি ...সারাজীবন ধরে চুপিসারে জমিয়ে তোলা এই বোধ, কিছুটা তো তুমি আর কিছুটা তো আমি।

[# ব্যবহৃত ইংরেজী অংশগুলো Albert Camus-এর লেখা “ THE STRANGER” থেকে নেওয়া
# ছবি – ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত]