“ পৌষ-রজনী তাহার আশায়,.."

রাজর্ষি মজুমদার ও অর্পিতা বাগচী

নদীও পার রাঞ্ঝন দা থানা / কীতা কওল জরুরী যানা ”

মাল্লাকে মিনতি করি। আমাকে পারে নিয়ে চল – ভাষা শুরু হোক অভিসারের। এই দীন দরিয়ার সমস্ত প্রিয় নেশায়... সময় অল্প কমে আসে, যা আসলে ধার করা।

আমাদের কাল বহু আগে পড়ে আছে। সেখানে সরিষার ক্ষেত, নদীটির নাম চেহনাব।
তুমি ফিরে এসে দেখছিলে –
বাঁশি নয়, সত্যিই আমি কতটা বেজে উঠি।


“ কাচ্চি মেরি মিট্টি কাচ্চা মেরা নাম দি / কাচ্চিয়া দা হুদা কাচ্ছা আনজাম দি ”

ডুবে যাওয়া এক গল্পের শুরু করে দিল – এই ঘড়া তোমায় ভাসিয়ে দেবে প্রেম অব্ধি।
বুখারা প্রদেশ থেকে সওদা করতে এসেছি – কে তুমি কুমোর রমণী?

বাণিজ্য ছেড়ে দেব, গোচারণও শ্রেয় –
বা ধর বেরিয়ে এলাম আড্ডাটি ছেড়ে, প্রিয় ক্যান্টিনà¥
জেদ শিখেছ তুমি বহু – রাত বেড়ে গেলে তা না ফেরার সমান হয়ে ওঠে বর্ষায়।

আমাদের গল্প নদীর হোক! আমাদের গল্প ভাসার …
যে গল্পে মাহীওালের কাছে , সোহনি ফিরে ফিরে আসে।



“ Light the ember of love. Set the heavens alight, O Mirzya”

আলোর থেকে সরে, আবার প্রতিঘাতহৠন মৃত্যুর সুযোগ করে দাও। অ্যাম্বার ছিল সে গোধূলির রঙ – তুমিও হঠাৎ এলে। পেগ প্রায় শেষ হয়ে আসা সময়ে ...

ঠোঁটে সিগারেট - সন্ধ্যেটিঠচমৎকার মজেছিল। এই সুরে স্মৃতি জমা আছে।

সাহিবাঁ , স্পষ্ট মনে করতে পারি সেই বাবলা গাছের আশ্রয় -
তোমার অলঙ্কার আর আমার শস্ত্রগুলঠএকসাথে ধূলায় মিশছিল।

“ I meet you. I remember you. Who are you? You’re destroying me. You’re good for me.”

নাহয় দূর হলে,
এভাবে আমায় নষ্ট করছ ক্রমে।

আবেশ তৈরী কর – ডেকে নাও – পাঁচফোড়ন সে স্বাদ – আঙুল থেকে এ মোড় ঘুরে, আমরা তখন ময়দান। ছুঁয়ে দিলে তুমি এ শহর – শতকে প্রাচীন। এবার নবীন কর – প্রকৃতই কষ্টে আছি – যেন শ্বাস না চললেই ডেকে উঠবো কোন একদিন।
করিডোর আঁধার হবে, স্যিলুয়েট সে ফুটে ওঠায় গ্রাস করে নিও - নিতান্ত তুচ্ছতায়।



“ রতিসুখসারৠগতমভিসারে মদনমনোহরবৠশম্ |
ন কুরু নিতম্বিনি গমনবিলম্বঠমনুসর তং হৃদয়েশম্ || ”


সে ফিরে এসেছে – অদেখা বাঁশফুল। বাতাস বাতাস আবহে তুমি ঘুম সরিয়ে ফেলছ চোখ ঘষে। যদি যেতে চেয়েছিলে হলুদ নিওন টানা বাসরাস্তা , এ ভরা ভাদরের মরশুম
যদি যেতেই চেয়েছিলে কেশী ঘাট, নিধুবন আমার সমস্ত যমুনায় ...

তবে সব বৃথা করে আবার চাইছি – বৃষ্টি ফিরে যাওয়ার এই মাস, আর বলা না বলার মাঝের এক মোড়ে পাঁচমিনিট দেখা করে যেও।
**********

বাঁধা নৌকো খুলে দিই , সাদা পাল তুলে, সন্ধি প্রস্তাব পাঠাই তোমার মুলুকে। একা কোন দূর দেশে একা একা বাঁচো। যুদ্ধ না শান্তি তুমি আজও ভালোবাসো। শূন্য পরে শূন্য সাজাই তারা খসা দেখি, কোথা থেকে এলে তুমি দু নয়ন ঢাকি । নুপুরের ধ্বনি তাই ফিরে ফিরে আসে। যে নৌকা বয়ে যায় সন্ধি আশাতে। পথ ভুলে পাল তুলে নৌকা এলো ঘাটে । আমি তাকে তুমি ভাবি,জল মাপি রোজ। জোয়ারেতে বয়ে যেয়ো, জোয়ারের করো খোঁজ । মনসা পাতায় কাজল পাতি, কাজল পাতি তাই। অলঙ্কারে মন মানে না নৈবেদ্য সাজাই ।জানি তুমি জয়ী হতে চেয়েছ বহু বার। যে আমি নম্র হই, নতজানু হয়ে দেখি বিজয়ী হওয়ার সুখে সন্ধ্যা মালতি। সমস্ত বাসনা ছাড়ি শয্যা পাতি মাটির কাছাকাছি। আলো না আঁধার প্রিয় অন্ধকারে বাঁচি। কোনও এক চেনা স্রোতে পা ভিজে যায়, ময়ূর কণ্ঠী রঙ যা ছিল তোমার, তুলে রাখি সবটুকু মানঅভিমান গোধূলির আলো মাখা পুরুষালি ঘ্রাণ ।
বাজ পরে গ্রাম জুড়ে আমার ঘর ফাঁকা মাঝে মাঝে নূপুরে বাজে মাঝে মাঝে একা। । জানি তুমি যুদ্ধ প্রিয় অশ্বমেধ ঘোড়া, থামাবে যে রণক্ষেত্রৠ‡ শত্রু বন্ধুরা। চতুরঙ্গ সেনা তোমার নাম অক্ষৌহিনী, আমি থাকি সঙ্গপনে সাথে অনীকিনী।
নৌকা জুড়ে বৃষ্টি পড়ে ,নৌকা বেসামাল আমি কেশ খুলে থাকি নামিয়েছি ঢাল। জানি তুমি নিয়ম মাফিক বাঁচতে শিখে গেছ নীল ক্ষেতে ঘর বাঁধবে বলে পাহাড় চূড়ায়ে আছো। আমি ঠিক সামলে নেব গায়ের কালো চাদর, জোনাকি রাত বৃষ্টি ভেজা তোমার অনেক স্মৃতি । গা ভিজে যায় তোমার দেওয়া সোহাগ সোহাগ জলে ,গাঁ জুড়ে আজ বার্তা রটে তুমি আসবে বলে।তুমি আসবে তুমি আসবে বাতাস বয়ে যায় । ঘরের দুয়ার ভেঙ্গে গেছে এখন উপায়? যেদিন প্রথম এসেছিলে আগল ছিল ঘরে কলরবে ভাসিয়ে ছিলে সেবার দোলৎসবে। নিবেদনের ডালি আমার আজও পুষ্পে ভরা জোয়ার লাগে চেতনাতে বাহির জুড়ে খরা।মৃত্যৠআছে জেনেই আমি ভুলতে শিখেছি মৃত্যু আছে বলেই আমি জীবন বেচেছি।
কুয়োর পাড়ে জল জমেছে বজরা এসে লাগে পসরা সব পরেই আছে জলেরই অভাবে।
সোহিনী আজও মাহীওালের অত্যন্ত প্রিয়, প্রতিবেশী তুমিই আমার তুমিই আত্মীয়। সাক্ষাৎ ঘটেনি আর অনুভবে পাই বাঁশিতে যে সুর ছিল সেই সুরে বেজে যাই। কুমোর রমণী আমি, শিরে রসকলি। মধ্য যামিনী জাগে আমার কলোনি। তোমার অস্ত্র গুলি আর কোহিনুর আঁচলে রয়েছে বাঁধা আগামীর সুর। বরফে সমাহিত তিনটি বেলপাতা তোমার দুচোখে অলঙ্ঘ্য গভীরতা। এলোমেলো তুমি এক আমার কাছে এলে বাউল বাউল গানে রঙ ঢেলে দিলে। তবু বর্ণ ঝরে যায় বর্ণ পরিচয় রাজা আর রাজা নয় রানির সংশয় । জল জমে অবসাদে জল জমে ওই ঘাটে আছে নৌকা বাঁধা নৌকার সই। সন্ধ্যা আরতি শেষে কীর্তন হয় তুলসি তুলসি ছায়া তুমি ঘরময়।
।