আমি আর সে পাশাপাশি । কত
শীতল আর চৌহদ্দি পেরিয়ে
, ধিক্কার গুণে গুণে ওর
পাশে আমি । যখন শুয়ে আছি
, ছুটন্ত আলোর কণার
অন্ধকারে দেখেছি ধীরে
ধীরে ও পরে নিচ্ছে আমার
পোশাক , আমার মুখ
আমি মুখ চাইছি না
তলে তলে জানি
চাতুরী
পোশাক বরাবর আমাদের
সাইলেন্ট জোন
ছলকে উঠছে রেডিয়েটর
ককিয়ে উঠেছি
মানুষ মানুষ
খাদের ধারে
আমি আর ও ড্রিবল করছি
পড়ছি
নীল ব্যাথা সামলে
আমার কৌশল
আত্মবিশ্বাসী হল
তারপর
এই বাড়িটার প্রত্যেক
দরজায় জানালায় বিছানায়
এবার আমার মুখ ।
হাওয়াতে ফুলে উঠছে । আজ
ও বেলুন শিকারী । আমিও
অধরা ।
কাপে কাপে চেখে দেখছি
নিয়ম
বার বার মুখে এসে
লাগছে
নোংরা রঙ চটা জামা
সরিয়ে দিচ্ছি
আবার এসে লাগছে
বাঁশি পড়ছে
আর
বয়স ছড়িয়ে যাচ্ছে মাঠে
এসব উপকরণ ওকে খুশি করে
তোলে । আমি হাঁফিয়ে
পড়ছি । ও ছুটে যাচ্ছে
গোল পোস্টের দিকে । আমি
দেখছি ওর বুকে ধু ধু মাঠ
ফুটিফাটা । সন্ধ্যে হল
। নদী এল না , বৃষ্টিও না
। আমার মুখ মৃত প্যাঁচা
হয়ে ঝুলে রইল ডালে ।
জালে জড়াল ওর বল , আর আমি
তখন
দুক্ষেসুুঅনুদিগ্নমনা
...
এবার যদি শিকার না হয়
কাকে বলব
মানুষ ডাকলেই
দল
বেঁধে অন্ধকার নামে
সেই অচেনা অন্ধকার
নাড়িয়ে দেয়
জন্ম ইতিহাস
অথচ সমাধান নেই
অথচ কিছুই থেমে থাকবে
না
আমাদের খেলার মাঠ
একদিন কেউ ডেকে তোলে ।
ঘুম থেকে উঠে শুনি
টাকাপয়সার গন্ধ ,
বুনফুল............।এবার আমার
সুযোগ । মানুষের দেওয়াল
ভেঙে এগিয়ে যায় লক্ষ্য
। আমি খেয়াল করি ঠাণ্ডা
দৃষ্টি । পার হয়ে যাই
অকাল্ বিরাগ । তির তির
করে কাঁপছে যে জীবন
...আবেগে ...সংরাগে...।
জাপটে ধরে ছুঁড়ে দিই
নিজেকে নরমে । গলে গলে
নীচে নামি অন্ধকার ।
অর্থহীন নরম বেয়ে
গ্রাউন্দ ফ্লোর ।
শ্লোগান শুনতে শুনতে
ঘুমিয়ে পড়ি কে জানে ।
চোখ খুলে দেখি মাথার
ওপর আকাশ । একদিকে রাত
একদিকে দিন । কেউ কম নয় ,
কেউ বেশি নয় । কিন্তু তা
বলে থেমে তো নেই কেউ ।
অতিক্রম করার তীব্র
চেষ্টা উন্মনা করে ,
বিষাদ গ্রস্থ করে ।
ক্লান্ত পায়ে এসে
দাঁড়াই গোল চক্করের
সামনে , মুখোমুখি ।
ভাঙতে হবে সমান হয়ে
যাওয়া আত্মবিশ্বাস বা
সমান হয়ে যাওয়া
হীনমন্যতা ......... আমাদের
টাই ।
ফলাফল হোক বা না হোক
সবসময়
আমাকেই বেশী দেখায়
দশটা হাত
দশটা মাথা
তার ফাঁকে দশটা
বেসামাল
কোথায় হারিয়ে থাকে
কে
জেতে
কে
হারে
আমাদের যৌথ অতিক্রম
ব্রেক এর মত শোনায়
জুবুথুবু একাকি ভয়
ওকে পেছনে বসিয়ে
নামী দামী কাপ নিয়ে
ফিরি