\\\' হরিণীকন্যা
জ্যোৎস্নায় বাঁচতে
চেয়েছিল
পুরুষের অমৃতসঙ্গম
নষ্ট করল তাকে \\\'
সময় - রাত ৮ঃ ৫৬ মি।
স্থান - ফেসবুক ইনবক্স
।
# আর বোধহয় বলে দিতে হবে
না যে যা শুরু হয় তা আসলে
শেষ হওয়ার জন্যই হয় ।
## মাঝের সময়টুকু ?
ভরভরন্ত দুপুর , হাল্কা
শাল আর হেঁটে চলা ? আমরা
তো হাত ধরতেও ভুলে
যাইনি কখনো
# যে হাতের ছাপ প্রতিটা
গায়ে গায়ে গাছের ছায়ায়
রেখেছ তুমি। ঝড় উঠলে
তাদের ফিসফিসে ছড়িয়ে
পরে তোমার নাম , এক গাছ
থেকে আরেক গাছ তারপর
আরও এক গাছ এবং সমগ্র
অরণ্যানী মুখরিত হাওয়া
বইতে থাকে। সে হাতের
নিষ্কলঙ্ক উষ্ণতা নিয়ে
প্রশ্ন ওঠে ।
## হাতের উষ্ণতার হেরফের
এক এক বাঁক বদলে এক সময়ে
মরে যায় - এ কথা তুমিই
বলেছিলে । তোমার জন্য
কোন বাঁক আমি রাখিনি
শুধু মরতে দেবো না বলেই
।
\\\' চন্দ্রালোকিত দুপুর
। টান টান জন্মের
বত্রিশ নাড়ি । \\\'
সময় - রাত ১০ঃ১৫ মি ।
স্থান - ফেসবুক ইনবক্স
।
## চার চারটে দুপুর আমি
তোমার অপেক্ষায় ছিলাম ।
কখন তোমার ডাক আসে ।
তোমার শ্যুটিং এর
ব্যাস্ততায় একা হয়ে
যাচ্ছিলাম আমি । এত
দীর্ঘ অপেক্ষা ... এত
দীর্ঘ প্রহর ... শুধু
তোমার জন্যই যায় ।
ঝাপসা রোদে তখন জুলাইএর
ঝিরঝির এক বৃষ্টি দুপুর
। প্রত্যাশার শুরু ওখান
থেকেই । সেদিন কথা বলতে
বলতে শার্সিতে জমছিল জল
।শুনেছি বৃষ্টির জলে
কোন পাপ থাকেনা । থাকলে
কি আর পৃথিবী এত সবুজ হত
? আমিও বৃষ্টির জলকে
সাক্ষী রেখে তোমার
চশমার কাচে লিখে
রেখেছিলাম একবিন্দু
মুলাকাত ... আমাদের
আদিগন্ত বিস্তৃত ফসলের
গ্রাম ... এক নতুন
জন্মদিনের নামে । লেখা
কখনো থামিও না , যে ভাবেই
হোক লিখে চল বলে জানলা
হাট করে খুলে বৃষ্টিকে
ঢুকিয়েছিলে ঘরে ।
বিছানায় ফোঁটা ফোঁটা জল
একসময়ে সমুদ্রের নেশা
তুলেছিল । একটা নৌকা
জোগাড় করে তাতে নিরাপদে
চাপিয়ে দিয়েছিলে আমায় ।
নৌকা কোথায় পেয়েছিলে
তুমি ?
\\\' এসো পৌরুষ , এখানে
উপগত হও
ব্রহ্মচর্য চর ঢেকে যাক
নিভৃত পল্লবে ...\\\'
সময় - রাত ১ঃ৩৯ মি।
স্থান - হোয়াটস অ্যাপ
চ্যাটবক্স ।
# তুমি যে কোন মুহূর্তেই
আমার । জুলাইএর পর
তোমাকে না পেয়ে পেয়ে
অগোছালো আমার নির্জন
রেলরাস্তা । এই ফাঁকা
ঘরে অবৈধ আগুন অহরহ
আমাকে পোড়ায়। আমি শুধু
চেয়ে চেয়ে দেখি আমারই
সত্ত্বা কি নিপুণ
ভঙ্গিমায় ছিন্নভিন্ন
করছে আমার হৃদয় ।
## মশারির কথা মনে আছে ?
মশারির ভিতর গুটিসুটি
কথা ? মাঝরাতে হটাৎ ডেকে
ওঠা কোকিলের কথা ? বসন্ত
নেমেছিল ক্ষনিকের ।
অবশ্যই মনে মনে । কারন
আমরা কখনো পাপচর্চা
করিনি । পূত মন নিয়ে
কোকিলের দিকে
তাকিয়েছিলাম আমরা ।
একটা তীব্র অথচ নীরব
সাইরেন জানান দিচ্ছিল
উভয়ের পাশেই রয়েছে
খাপখোলা তরবারির উন্নত
গ্রীবা....
কোথায় তুমি ?
সেই অপেক্ষা যে এখনো
অপাপ জাহাজের মতো স্থির
সমুদ্রে ভাসমান তা কি
বোঝ
না ?
চলে গেলে ?
উফফ আবার না বলে চলে
গেলে ?
\\\' দিনান্তে নিভেছে শপথ ,
চকখড়িদাগ ...\\\'
সময় - রাত ৩ঃ৩০ মি।
স্থান - হোয়াটস অ্যাপ
চ্যাটবক্স ।
না , যাইনি এখনো , তবে
যাবো । খুব শিগগিরি এই
ঐন্দ্রজালিক মোহজগতের
বন্ধনমুক্ত ছন্নছাড়া
ভাসবো। এইসব
বাঁধাছাঁদা ব্যারাকের
জীবন আমার জন্য নয় । কি
হবে এই কূপমণ্ডূক
সংসারে প্রতি প্রতিদিন
শুধু আর্ত আহুতি দিয়ে ?
আমার সবটুকু প্রেম দিয়ে
যাবো তোমায়। অসুবিধে
হবে না প্রেমের স্তর
ভেঙে ভেঙে ভাববাচি
উপমায় উন্নীত হতে ।
মাঝে মাঝে কোন ছায়া
ছায়া জানলায় চোখ রেখে
দেখো নীলতারাটার
কফিমাগে তোমার নাম লেখা
আছে ।
না , না , এভাবে যেয়ো না ।
আমি চারদিকে কেবল
মৃত্যু দেখি রোজ । দেখি
কিভাবে মৃত্যুর নীল
শিরা আমার সমস্ত
ব্যাপৃত করে ধেয়ে চলে
অপ্রেমের দিকে। ধূসর
মালিকানার দিকে । তার
লম্বা হিমায়িত হাত
আমাকে ধাক্কা মারে ...
নিয়মিত প্ররোচিত করে
আত্মহত্যা লিখে দিতে
হলুদ বৃষ্টির নামে ।
এলোমেলো হোক তবু
তাকিয়ে থাকতে দাও সবুজ
জানলার দিকে। এভাবে
নিজেকে লুকিয়ে ফেলোনা
প্লিজ ।
\\\' ঘাসের শরীরে শ্যাওলা
ডুবিয়ে এবার বৃষ্টি থাক
\\\'
সময় - ভোররাত ৪ঃ২৭ মি।
স্থান - ওভার দ্য ফোন
আমি ---
আমার ঘুম পেয়েছে
সারারাত । অথচ একটা বই
তার যাবতীয় কথপকথন আঠার
মতো জড়িয়ে রেখেছে আমায়
। বইএর প্রতিটা অক্ষরে
সিক্সটিন্থ
জ্যানুয়ারিতে কাটানো
আমাদের অলৌকিক শরীরের
ঘ্রাণ । এত টান টান , এত
অনিবার্য বিভাস ।শরীরী
প্রেমের তীব্র বাঙময়তা
কাটিয়েও রাত জ্বেলে
রেখেছিল লাল আলো । সে
আলোয় কোথাও কোন এক
চৈত্রের মাঠে এক
নিরপরাধ বালক
শোনাচ্ছিল কিভাবে
লেবুপাতার সঙ্গে জড়িয়ে
পড়ে স্বপ্ন দেখার
দুঃসাহস । বালকের
চোখেমুখে তখন চৈত্রের
হাওয়া , যার
বানিজ্যকরনের কোন আশু
সম্ভাবনা নেই । হোটেলের
বারান্দায় দাঁড়িয়ে
সেদিন তুমি চিনিয়ে
দিচ্ছিলে রাস্তায়
হেঁটে যাওয়া মানুষের
পায়ে চলার ছন্দে কিভাবে
বেজে ওঠে সাংগীতিক
মূর্ছনা । আর আমি
দেখছিলাম পথচলতি
মানুষের পায়ের ছাপে
রাস্তায় ফুটে উঠছিল এক
একটা বিনম্র রাগিণী ।
তুমি রাগিণীর নাম
বলছিলে , বলছিলে
প্রহরের কোন সময়ে তাদের
ঘুম ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে আলো
আর নিশ্চুপ শুনছিল
ডোভারের আকাশে ফুটে
থাকা মুগ্ধ তারার দল ।
বই ---
চলে যাবো বললেই চলে
যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়
। যাওয়া - না যাওয়ার
মধ্যে বিস্তর বাধা
দাঁড়ায় ফেলে যাওয়া ।
ঠিক কি কি ফেলে যাবো ,
নিয়েই বা যাবো কতটুকু ?
ফেলে যাওয়া , নিয়ে
যাওয়ার উচিৎ - অনুচিতের
ঘেরাটোপে বিলম্ব বাড়ে
রোজ । এটা তো ঠিক , সব গান
এখনো শোনানো হয়ে ওঠেনি
পৃথিবীকে । তাদের জন্যই
সম্পর্ক থেকে নেমে
দাঁড়াতে হবে খোলা
জায়গায় । আমার হাড়ভাঙা
অমানুষিক পরিশ্রম ,
তোমাকে সময় দিতে না
পারা বারবার বিক্ষুব্ধ
করবে তোমায় । ঝড় উঠবে
শান্ত ঠিকানায় - এ বোধ
বারংবার আহত করে আমায় ।
আমার যন্ত্রণা তুমি ;
আমার উপশম তুমি -- অথচ
যন্ত্রণা থেকে উপশমের
দুরত্ব নাম না জানা
সংখ্যার রাত দিন । উফফ !
কী অসহ্য সহ্য করা এই
দিনদিন মৃত্যু । আমি
বিপ্লবী নই , স্বপ্নের
ভিতর দিয়ে আরেক
অমরত্বের স্বপ্ন
জাগিয়ে রাখি শুধু ।
তুমি লিখবে আমাদের কথা
। আমাদের নিভৃত
আলাপচারিতায় যাদের কথা
বলেছি , যারা আসলে
অপ্রেম ছাড়া পায়নি
কিছুই , যাদের এক পৃথিবী
ব্রাত্য করে রেখেছে
অন্য পৃথিবীর কাছে ,
তাদের কথা লিখবে ।
কবিতায় স্বাক্ষর থাকবে
রাতের
যন্ত্রণাক্লিষ্ট
রাগের ভিতর দিয়ে ভোরের
মিষ্টি রাগিণীর দিকে
হেঁটে যাওয়ার দীর্ঘ অথচ
না-থামা সংগ্রামের
ইতিহাস ।
সময় - ভোর ৪ঃ৪০ মি ।
স্থান - ডায়েরীর ২১ শে
ফেব্রুয়ারির পাতা
হরিণীকন্যা
জ্যোৎস্নায় বাঁচতে
চেয়েছিল
পুরুষের অমৃতসঙ্গম
নষ্ট করল তাকে
চন্দ্রালোকিত দুপুর ।
টানটান জন্মের বত্রিশ
নাড়ি
এসো পৌরুষ , এখানে উপগত
হও
ব্রহ্মচর্য চর ঢেকে যাক
নিভৃত পল্লবে
দিনান্তে নিভেছে শপথ,
চকখড়ি দাগ ...
ঘাসের শরীরে শ্যাওলা
ডুবিয়ে এবার বৃষ্টি
থাক
এরপর এক নতুন ভোর ।
পুণ্যবতী মাতৃভোর ।
মায়ের কোলে কথার ভোর ...
ভাষার ভোর ... সদ্য
জন্মানো কবিতার ভোর ।
মাতৃদুগ্ধের অনাবিল
স্রোতে ধুয়ে যাচ্ছে
জঠরযন্ত্রণার দাগ ।
এখানে কোন ফিরে যাওয়া
নেই , ফিরে চাওয়া নেই ।
পিছনে তাকিয়ে দেখে
নেওয়া নেই আমাদের মিলন
প্রসূত আগুনের
দানাগুলিকে । রয়েছে
শুধু জননীর বুকে
সন্তানকে বুকে জড়ানোর
আদর আর কোন এক স্বপ্ন কে
বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ ।
চাতালের ধুলো ফুঁ দিয়ে
উড়িয়ে দুনিয়া জুড়ে
ঘরবসত গড়বে আমাদের
সন্তান ... আমাদের কবিতা
\\\" আমি জীবনেরই কথা
বলি যখন তোমার মৃত
চোখের পাতার
ওপর থেকে অদৃশ্য
হাত সরিয়ে নিয়ে কোটরে
কোটরে রেখে যাই আমার
অধিকারহীন
আপ্লুত চুম্বন --\\\"