এক।।
ফিরে তাকানো আর হল না।
সেই বেরিয়ে পড়া মানুষের
সাথে আজো সূর্যাস্তের
দিশেহারা পথ এই বসন্ত
যখন লুকিয়ে রাখে
তখন
অপেক্ষা ফুটে উঠছে
দুইপারেই
প্রতিপদের ময়মনসিং
আর মাঘীপূর্ণিমার এই
শহর
কত কত গোপন কেটে গেল ঘুম
ছাড়া। শোয়া ছাড়া।
ছাপাখানায় একটা
কাঁঠালগাছ ছিল। উঠোনের
ওইপারে ডালিমগাছের
পাশেই ছিল ছেঁড়া
রান্নাঘর। আর বাবার
অ্যাটলাস সাইকেলে করে
নিয়ে আসা অজস্র
পান্ডুলিপি।
ব্যক্তিগত বাঁধাই থেকে
আজও শোনা যায় নাভির
ডাক। বন্ধুদের
নিরুদ্দেশ।
তোমাকে যেদিন বারবার
যেতে হয় বৈকুন্ঠপুর
জঙ্গলের দিকে।
ইস্কুলের কপাল থেকে এই
তালু পর্যন্ত যে
নৈঃশব্দ নিয়ে এতদূর
এলাম
তাকে কপাল ভাবলে মুঠোয়
করে আনতে হবে মোম।
আমাদের কোনদিনই
মোমদানি ছিল না।
ছিল না মা...... মায়ের
বিষ্ময় আর ছোটবোনের
জন্য সামান্য
ঝুমঝুমি।
সাত ভাইবোনের এই ঢেউ
সামলাতে বাবার পায়ের
চাপ পৌঁছে যেত বুকের
কাছাকাছি। আর আমরা
এপাড়ায় প্রতিদিন
রাত্তিরে বেরিয়ে পড়তাম
ব্যাঙ শিকারের শুন্য
নিয়ে। বাবার চোখের ভাঙা
ছাউনি নিয়ে।
আমি এরকমই জানি আমার
দেশ। আমাদের এইদেশে চলে
আসা।
দুই।।
তবু এখনো কাজলের
বারান্দা বসিয়ে
সেদিনের পুকুর আসে।
চাঁদের বানানটা যেন
কারা আবার ঠিক করে দিয়ে
গেল ভেবে ফরিদপুরের
দিকে ঝুঁকে থাকা
ফারাকটুকু আমাদের গল্প
খুলে নামিয়ে দেওয়া শৈশব
চিঠি র উত্তর আসতে শুরু
করলো লন্ঠন সমেত।
কোন এক অসম্ভব
জলপাইগাছকে স্বাক্ষী
করে কোনদিন ভাবিনি
বোতামের ঘর থেকে নড়ে
উঠবে দুপুর। আর পড়ার
টেবিলের পাশে মায়ের
হেলান গুলো কিছুতেই
পেরোতে দেবে না মাঠের
সংলাপ।
আমার প্রথম অধ্যায়ে
স্নো ছিল বাবার
সাইকেলের জন্য। ছিল
মায়ের ছেড়ে যাওয়া কাপড়
নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা
কোয়াটার।এভাবেই ফিরতি
ঋতুর ডাকে উঠে পড়া।
নিজেকে আয়নায় দেখতে
গিয়ে যে দুকলম মেখেছি
তাওতো তোমার বাকল থেকে
নেমে আসা ছবির বাহানা।
বিস্ময় জ্বলছে এই
তাঁতবাড়ির আনাচে
কানাচে। প্রিয় জন্ম আর
জন্মস্থান ওই তাকিয়ে
আছে তোমাকে স্লেট থেকে
না বলার বিন্দু
পর্যন্ত। যাকে আমি
বেহালা বলবো। বলবো
চোখের কোন অনুবাদ হয়
না। হয়না জলেরও
আর পরম থেকে একদিন
সমস্ত আলাপ বাঁধিয়ে
তুমি আমার
সন্ধ্যাতারা।
আমার বিবাহজীবনে শুধু
মেহগনি রেখে যাও
লিপিদের শীত হয়ে।
এই টুকিটাকির বেহাল
মাখানো আশাহীন গল্প
হয়ে