গনগনে লাল চুল্লিটায় মা
ঢুকে যেতেই আমি একটা
সিগারেট ধরিয়েছিলাম।
আমি চাইছিলাম চুল্লির
ওই লাল আগুনের খানিকটা
অন্তত নিজের কাছে ধরে
রাখতে, নিজের করে পেতে।
বাইরে তখন জ্যোৎস্না
ছিল না, ছিল একটা
ক্ষয়াটে হলুদ আলো। সেই
মলিন আলো মেখে অনেকেই
ঘুমাচ্ছিল। তাদের ঘুম
আবার ভাঙবে, আবার শুরু
হবে একঘেয়ে দৈনন্দিন
কাজ। মা সেই একঘেয়েমি
থেকে মুক্ত। ভেবে ভালোই
লেগেছিল। খুব ভালো।
ভাবনাগুলো ভাষায়
অনুবাদ হয়ে বেরিয়ে
এসেছিল মুখ দিয়ে। হয়তো
একটু জোরে। পিছনে আরও
লাইন দিয়ে পড়ে থাকা
শবদেহগুলোর একটা হঠাৎ
চিৎকার করে বলে উঠেছিল-
“ও ছেলে, তোমার মা যে মরে
গেল, তুমি কাঁদবে না
একটুও?”
“কান্না! মা আমায় ভাবনা
শিখিয়েছে, ভাষা
শিখিয়েছে, কাজ
শিখিয়েছে, কিন্তু
কান্না তো শেখায়নি!”
চুল্লির ওই লাল আগুনটা
এখনো ধরা আছে আমার
কাছে। তার জল শুষে
নেওয়ার অদম্য ক্ষমতা
সহ।