আমার শৈশবের বাড়ীটা
কেমন একলা হয়ে গেছে।
বাড়ীরও একটা সময় থাকে।
চুপচাপ বাড়ীটা এখন------
একা,বৃষ্টি। জানলাগুলো
তো কবেই উড়ে গেছে।
দোতলার বারান্দার
কোণটা বহু দূর ছুঁয়ে
যায়। অর্জুন গাছ ছুঁয়ে
যায় বারান্দার
রেলিংগুলো। সাইকেলের
চলমানতা ,বাজার, স্কুল
বা স্টেশনের যাপন। মাঠ
ফিরতি নানান্ বয়স ঢুকে
পড়ত ওই জানলারই ফাঁক
ফোঁকর পথ ধরে। আচমকা
হাওয়ায় গভীর প্রদেশের
মাটিও তখন ঝুরঝুর। তখনও
বাড়ীর কনিষ্ঠতম
সদস্যাটির অন্দরে, শিকড়
গজানোর সাড়া পাইনি।
গাছেরও
নাকি কোন পছন্দসই অঞ্চল
থাকে। এমনটাই মনে করে
পলাশ। কোথায় যেন
লিখেওছে সে কথা। হবে।
বারান্দার ওই কোণটার
নীচে দিব্য ফুটফুটে এক
পিপুল ফুটেছে। যা
ব্বাবা............ ওই কংক্রিট
চৌহদ্দির মধ্যে মাটি-জল
তুই পেলি কোথায় ভাই?
পছন্দসই অঞ্চল হলো ওটা?
ফ্রেমের উল্লাস খসিয়ে
আধো হাসির শিশু
মহাদ্রুম...............
মাটি
কার? মাটির মুখে মাটি
ফোটে। পলি নয়, জলই সরে
যায়। দীর্ঘ প্রসব
যন্ত্রণার পর বিন্দু
বিন্দু সাইমা (Sima) জমে
অচেনা কোণে। শ্বাস নিতে
নিতে মৃত্তিকা খলবলে।
তখনও গায়ে ত্যানাটুকু
নেই। একদিন টের পেতে
শুরু হয় আঁকিবুকি। চেন-
থিওডোলাইট
-ফেন্সিং-পোস্ট
-সার্চলাইটের
মাস্তানিতে, তখন দাপের
মাটি। হাজার
নামাবলীতেও মাটি
নৈর্ব্যক্তিক, উদাসীন।
কার মাটি?
নদীর ওপিঠে পতন
নিবীর্যে একটা অমেঘ
ছিল
ভারী মাছরাঙায় উড়ন্ত
বক্ররেখা
একটা শাদায় জন্ম
হচ্ছে
জন্ম নিচ্ছে
ফ্যালোপিয়ান
উৎসবে তরঙ্গ বাজবে সজল
বাজবে
প্রার্থনার ফুলস্কেপে
ঘাতকও বসে ছিল
আবার একটা গাছ টের
পাচ্ছি। পাচ্ছি আমার
সমস্ত সত্তা দিয়ে। এমন
তো হওয়ার কথা ছিল না।
হিসেবে ভুলচুক? না
চাইতেও নেচে উঠছে
রক্তপ্রবাহ। আর বাড়তে
দেওয়া চলে না ওই
অঙ্কুরকে। উজ্জ্বল
গার্হস্থ্য, কর্মযশ,
উচ্চকিত যাপন আমার। সবই
নিকোনো মটি---------- আহা
সবটুকু মাটিই আ-মা-র।
তাকে আপসেট করার মত
ট্যানট্রাম আমার ধাতে
সয় না। ফ্রেমের মধ্যে
মসৃণ দৌড়ে ছুঁয়ে ফেলি
সীমানা। খুঁটিকে আদর
করতে করতে এবার ভুল করে
বৃষ্টি ঝরাই।
জ্বর বাড়ছে
মল্লিকাবনে
বৃষ্টির পৃথিবীকে
জন্মনিরোধক লাগে
একলা ক্যাপসুল
চাষের হাত ধার দি
শাশ্বতোহয়ং পুরাণে
ভিজে যাচ্ছে তামাম
ল্যাপটপ
যোনিপথে জল গান ও ধান
উঠল
মা হিংসী আলোর টিস্যু
সযত্নে দিন পুঁছে
বড়ি ও বেলুনের
ব্র্যাণ্ড খুলে দি
রাত চমকে দিয়ে
মশালমুখো মানুষগুলো
উল্লাস করছিল। সময়কে
বাজি রেখে কাঁটাতারের
মধ্যে ঢুকে পড়ার আনন্দে
ওরা বাজী পুড়িয়েছিল।
ফুলকিগুলো আমার উপর
পুড়তে পুড়তে কেমন শান্ত
হয়ে এসেছে, দ্যাখো। আর
ওদের উল্লাসের মুখে যত
ছাই। প্রসব যন্ত্রণা
বাড়ছিল আমার। বিন্দু
বিন্দু সাইমার আকৃতি
টের পাচ্ছিলাম নিজের
মধ্যে। নহবত শুনছিলাম
কোথাও। উস্তাদ
বিসমিল্লা রাঙিয়ে
দিচ্ছেন শরীর। ভাবের
ঘরে ছাই উড়িয়ে এক নো
ম্যানস্ ল্যাণ্ডের
জন্ম দিচ্ছি আমিও।