তোমার সহিংসতাটুকু
আমিই তোমার হয়ে
সেরে আসি বাইরে গিয়ে।
তবেই-না তুমি
সম্পূর্ণ অহিংসরূপে
দিবানিদ্রা যাও।
সন্ধ্যাবেলা জেগে উঠে
বলো-- বাহ্! করেছ কী
কাণ্ড!
বাইরে কী অপরূপ
রক্তবিকিরণ!
স্প্রাং রিদমের
তালে-তালে জম্বি ছন্দে
চলছে যজ্ঞ মেষমেধ--
ওই যে থ্যাঁতলানো দেহ--
প্রতীকপ্রতিম,
ছিটকে-পড়া ঘিলু--
রূপক-সমান,
পোড়ানো হাত-পা মুখ-মাথা--
উপমেয়হারা উপমান,
কাটা মুণ্ডু, ফাটা জিভ,
বিমূর্ত চিত্রের মতো
নাড়িভুঁড়ি, অনুপ্রাস,
থকথকে কূটাভাস, চকচকে
চিৎকার, সত্রশিখা, উগ্র
আগ্নেয় তুফান...
থেকে-থেকে যজ্ঞপটে জেগে
ওঠে ভৌতিক জবান।
যোজনগন্ধার
গন্ধকাহিনির মতো
চমৎকার মেষরক্তের
সুবাস
ভেসে আসছে জানালায়।
সেইসঙ্গে এও বলো--
জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে
ফেলো সব আর্ট,
তাড়াতাড়ি।
বিমূর্ত চিত্রের রূপ--
মূর্ত তো থাকে না
বেশিক্ষণ।
পচে। গলতে থাকে। চণ্ড
গন্ধ হয়। জীবাণু ছড়ায়...