এক।।
বারিষ এসেছে আজ দুষ্টু
পায়ের সামনে।
একটা হাবুডুবু তার
কিনার খুঁজছে নিজের
অজান্তে।
বার্ডস বসানো ওপেন
এন্ডেড মিউজিক এই চাকায়
চাকায়।
আর স্কাইপার থেকে
সূর্যাস্তের মৃদু শেষ
হলে
আবার শুরু হবে দেখে
নেবার বাসনা।
বাসিয়া বাসিয়া হয়ে ওঠা
চূঁড়ার আসেপাশে বুঝিনি
আরেকটা
না চাহিলে যারে পাওয়া
যায়
আর এই অপরূপ আমি
ভাবিতেও পারিনা একটা
পাহাড় পেরোতে পেরোতে।
অনেক মিথ্যেরা যেন
কিভাবে বসিয়ে যায় কিছু
কিছু কেড়ে নেওয়া
অধিকারও।
তবু পা আর হাড় এর
মধ্যিখানে বসে আছ তুমি
সমস্ত হারপল নিয়ে...
অনেক ফ্ল্যাশ
নিয়ে...খুবসুরত
ক্যাম্প-ফায়ার নিয়ে।
হাঁটছি
আরো হাঁটছি
আরো আরো
হাঁটতে হাঁটতে
অচেন
চুনাভাটিকে দেখলাম
যখন
কিভাবে ফিক্স হয়ে
যাচ্ছে ছোট ছোট
হাসিগুলি এই চড়াই উৎড়াই
নিয়ে।
আর হাসতে হাসতে নেমে
যাচ্ছে কোন একদিন তোমার
বক্সা পেরিয়ে।
অনেক অনেক দিন পরের কথা
এইসব।
বক্সা জয়ন্তী
রাজাভাতখাওয়া আর
মহাকাল পেরিয়ে
কালিখোলার জঙ্গল
সীমানায় যেদিন সংকোশের
সামনে এসে দাঁড়ালাম
তুমি সবুজ অ্যাপ্রোন
পড়ে কাছে এসে তাকাতেই
টিনের চাল খুলে ভুটান
পাহাড় যেন কানে কানে
বলে উঠলো......
শেষ পর্যন্ত দেখা হল
তাহলে। দেখা হল তোমার
ম্যারিয়ামের সাথে
যার চোখ থেকে আজো নেমে
যায় অজানা পাঁকদন্ডী
কোথাও।
কেউ তার হিসেব জানে
না।জানে না ডিমা নদীটাও
যেদিন
অঝোড়ে বৃষ্টি হলে
পাহাড়ে পাহাড়ে লাগিয়ে
দেয় ধুম সমস্ত প্রথা
ধুয়ে ফেলার
আমাদের প্রিয় এক
জঙ্গল নিয়ে
একটা ব্রিজ
Lohar
জঙ্গলের গাছ
Guli
আর সোমরাদের লেবার লাইন
Theke
একের পর এক খসে পড়ছে চা
গাছ সব নতুন নদীটার
বুকে।
বাসন্তী মধুমতীরাও
আমার পাশে দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে তাদের
সন্তানদের ডুবে যাওয়া
দেখছে আগামীর ধ্বংস
শুনে।
এবারে আমরা কিভাবে
ওইপারে যাব?
কিভাবে ফিরে আসবে চেনা
পাহাড় প্রিয় পাখির হাত
ধরে?
শিকারের গান গেয়ে গেয়ে
এ কোন নিছক ছবি আঁকা নয়।
এইসময় আমার বিবাহ
জমানা।
যাবতীয় দুঃখ ভুলে বৌকে
নিয়ে মধুচন্দ্রিমার
আসন পাতলাম আবার প্রিয়
পাহাড়ের কাছে।
কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছে।
দুই।।
তুমি পাহাড় দেখেছ?
তুমি আগে দার্জিলিং
গেছ?
এরকম কিছু প্রশ্ন যখন
শুধু না আর না ই বলছে,
আমি আবার ১৩ নম্বরের
জন্য উচ্ছসিত হয়ে উঠলাম
এইভেবে
তাহলে আবার আমরা ঠিক
তোমার কাছেই যাব। তোমার
কুয়াশার কাছে। এইতো
আমাদের আমরা নিয়ে
সদ্য সেরে ওঠা হোলি আর
রং এর অনুবাদ। শব্দহীন
একনাগার আপাতত কপালের
দীর্ঘ আড়ালের পরে
একটা অপরূপ সকাল খুঁজে
পেতে চাইবে।
একটা ক্যানভাসের কাঁধ
বরাবর কিছু চিরকূট
রচনায়
যে স্পেস বাঁধা আলোর
কথা ভাবছি এখনো
সেখানে কামিজের
বুনোহাঁসগুলি সমস্ত
আনন্দ গড়িয়ে দিলে
ছবিটার ক্ষরণের দিকে
একটা ক্লোজড রাস্তার
রিভিউ করতে করতে
তুমি সরে যাচ্ছ ব্রিজ
থেকে
দূরের আচমকা পাহাড়ের
গায়ে আসছে নদীটার পায়ের
বিস্তারে
তখন প্রায় ভোর সাড়ে
তিনটে। আমার মেপে নেওয়া
ভাঁজের কিনারে
লেগে আছে রাতের আদাব আর
গাঢ় শীতের সেই সাইকেল
মালিকানা দেখ
ব্যাক হিল করতে শুরু
করলো দুহাতের মায়াটার
কাছে।
নিজের মত করে আরেকটা
হাইওয়ে তৈরী করলাম আমি
।
একটা ক্যামেরা
চাইলাম।
আর নিজেকে গুঁজে দিলাম
আশাতীত গানের পর্দায়
বৌ উঠছে।
কনকনে জলের শব্দটা যেন
মন্দিরের ঘন্টার মত ।
ব্রাশের শব্দটা ক্রমশ
দেখিয়ে দিচ্ছে বন্ধের
শুনশান রাস্তাটা
আবার।
ব্রা-এর দূরপাল্লায়
ফিরে দেখা চোখ এল।
হাতেও এল কিছু কিছু
সাজানো লাইনার ।
একটা অসম্পূর্ণ
রোজগারের তালিকা ছিল
আমার।
তুমি সেখান থেকে বাদ
দিচ্ছো সূর্যোদয়। বাদ
চলে যাচ্ছে
শাঁখায় শাঁখায় বসানো
রক্তের
প্রিয় টাইগার
হিল.........ওও
আমরা বেরিয়ে গেলাম। কি
অসামান্য চুপি আর
নীরবতায়
পাহাড়ের গায়ে গায়ে জেগে
উঠলেন সোনার বাউল।
শুরু হল গান আর......
পাহাড়ে পা