ওপারের সূর্যোদয়

সৌরাংশু



ছোট খাটো পা মচকে যাওয়া ছাড়া আমার তেমন কখনই বড় চোট লাগে নি ছোটবেলায়। ফলে চলতে না পারা বা স্বাবলম্বন ে প্রভাব পড়ার মতো কখনই কোন অবস্থার সৃষ্টি হয় নি। ভাগ্যবান বলতে হবে। তবে বছর দশেক আগে একটি স্কুটার দুর্ঘটনায় আংশিক লিগামেন্ট টিয়ার হবার পরে à¦ªà¦°à¦®à§à¦–à¦¾à¦ªà§‡à¦•à à¦·à§€ শব্দটির সঠিক অর্থ হাড়ে হাড়ে টের à¦ªà§‡à§Ÿà§‡à¦›à¦¿à¦²à¦¾à¦®à ¤
ছেলেবেলায় পড়েছিলাম, শিখর সম্বলিত, সমতলের থেকে উচ্চতর ভূখণ্ডকে পাহাড় বলে। এও পড়েছিলাম যে পঙ্গুর পর্বত লঙ্ঘন একপ্রকার অসম্ভব কাণ্ড।
আমাদের পাড়ায় খান দুই মানসিক প্রতিবন্ধৠছেলে ছিল। অন্য একটি ছেলে ছিল যার পোলিও হয়েছিল, খুব কষ্ট করে সে চলাফেরা করত। বাড়ি থেকে কিছু দূরে মানিকতলায় মূক ও বধিরদের বিদ্যালয় ছিল। তবে সেখানে খেলতে যাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু কখনই করি নি। কখনই মনে হয় নি যে যারা সম্পূর্ণভঠবে শারীরিক বা মানসিকভাবৠসুস্থ নয়, সোজা বাংলায় যাদের ‘প্রতিবন্ঠী’ ‘বিকলাঙ্গ⠀™ ইত্যাদি বা কোন কোন ক্ষেত্রে ‘পাগল’ বলা হয় বা বলে ক্ষেপানো হয়। তারা কি ভাবে প্রতিবন্ধঠতার পাহাড় ডিঙোয়?
দিল্লিতে বেশ কিছুদিন আগে একটি বাঙালী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়। সামাজিকভাঠে প্রতিবন্ধৠদেরও সংস্পর্শে আসি। এইডস প্রভাবিত (আক্রান্ত নয় কিন্তু) কিছু শিশু, যাদের বাড়িতে বাবা বা মায়ের এইডস হয়েছে বলে সমাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের নিয়ে দিল্লির একটি সংস্থা একটি হোম চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমার পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে একটা পুরো দিন কাটানোর অভিজ্ঞতা হয়।
এইভাবেই আপাত শান্তির ভিতর দিয়ে বেশ দিন কাটাচ্ছিলঠ¾à¦®à¥¤ সরকারী চাকুরী, মাঝে মাঝে ছোট খাটো ঝড়ঝঞ্ঝা এলেও নৌকা ডুবে যাবার সম্ভাবনা নেই যদি মাঝি সজাগ থাকে। জীবিকার স্বাভাবিক নিয়মের আশ্রয় নিলাম বিকলাঙ্গ বিষয়ক বিভাগে। পেট্রোলিয়ঠ¾à¦® থেকে এই বিভাগে আসতে যে খুব আনন্দ হয়েছিল তা নয়। তবু চাকুরীর দাবী। এই ভেবেই দিন গুজরান শুরু করলাম। কিন্তু আমার জন্য অন্য চমক অপেক্ষা করেছিল।
চমকের বিষয়ে বলার আগে আসুন দেখে নিই প্রতিবন্ধঠতা ক প্রকার এবং কি কি? না এটা সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন নয়। কোন বিষয় নিয়ে গৌরচন্দ্রঠকা করার সময় যদি তা পরিষ্কার করে ব্যক্ত না হয় তাহলে আপনারা বলতেই পারেন মশায় ভ্যানতারার শেষে পেলাম কি? যাই হোক প্রতিবন্ধঠতা বা à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¤à ¾ প্রধানত দৃষ্টিহীনঠা, ভাষাহীনতা বা শ্রবণহীনতঠ, বুদ্ধিহীনঠা এবং শারীরিক à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¤à ¾ এই কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। প্রতিটি à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¤à ¾à¦‡ প্রভাবিতকৠচরম পরীক্ষার মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় বটে। তবে মানুষ আজকের দিনে মানুষ হয়েছে তার মস্তিষ্কেঠ° এলেমের জন্য। তাই মস্তিষ্ক যদি সঠিকভাবে কার্যক্ষম না হয় তবে সেই à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¤à ¾à¦•à§‡à¦‡ সর্বাধিক সঙ্কট বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে। মানসিক à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¤à ¾ এবং অটিজম কিন্তু এক নয়। অটিজমের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধঠতাটি ব্যক্তির জ্ঞান আহরণের বা মত প্রকাশ করার ক্ষমতায় ঘটে থাকে। অটিজমের ক্ষেত্রে একটি শিশু আর চার পাঁচটা শিশুর মতই স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু তার স্নায়বিক সমন্বয় সঠিকভাবে ঘটে না বা তারা দেরীতে শিখতে শুরু করে। অর্থাৎ কি না সঠিকভাবে বলতে গেলে অটিজম হল জটিল স্নায়বিক বিকাশ সম্বন্ধীয় অক্ষমতা।
আরও একটি বিশেষ ধরণের প্রতিবন্ধঠতার কথা বলি, সেটি হল মাল্টিপল ডিস্যাবিলি টি বা একাধিক শ্রেণির প্রতিবন্ধঠতা। যেখানে শারীরিক প্রতিবন্ধঠতার সঙ্গে মানসিক বা দৃষ্টিহীনঠার সঙ্গে শ্রবনহীনতঠঅথবা অন্যান্য। এসব ক্ষেত্রে যেটা প্রবল হয়ে দেখা দেয় তা হল একত্রে দুই বা ততোধিক প্রতিবন্ধঠতার চিকিৎসা। যা কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীর পক্ষে নেওয়া সম্ভবপর হয় না। তখন তার জন্য বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি প্রস্তুত করতে হয়। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যেতে পারে।
বাকি প্রতিবন্ধঠতাগুলি নিয়ে পরিসর থাকলে আমরা আলোচনা করব কিন্তু শুরুতে আমরা এই দুই ধরণের প্রতিবন্ধঠতাকেই বেছে নিই, কি বলেন?
মানসিক প্রতিবন্ধঠতা এবং অটিজমের ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে তত দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে এবং তার কার্মিক সুস্থতা ততটাই সম্ভবপর হতে পারে। বর্তমান আলট্রাসনোঠ—্রাফির মাধ্যমে মানসিক প্রতিবন্ধঠতা চিহ্নকরণ জন্মের আগেই সম্ভব হয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে হয়তো সঠিক ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হয় (বিতর্কিত হতে পারে কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে ক্ষতি কি? যদিও এই নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে, তবে এটি বোধহয় সেই ক্ষেত্র নয়!)
কিন্তু ধরুন, যে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হল তার মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধঠতার লক্ষণ ফুটে উঠতে শুরু করল। তখন কিন্তু সত্বর চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত জরুরী। এই জরুরী কাজটা কিন্তু জন্মের কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় শিশু চিকিৎসকের হাতেই। তাঁরা প্রচলিত বৃদ্ধি চার্ট অনুযায়ী মিলিয়ে দেখে নেন à¦—à§à¦°à¦¹à¦£à¦¯à§‹à¦—à§à ¯ সীমার মধ্যে বৃদ্ধি হচ্ছে কি না! না হলেই বিশেষজ্ঞদৠর মঞ্চে প্রবেশ।
এইখানেই সেই চমকের গল্প। গত বছর সেপ্টেম্বঠ° মাসে আমার প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা à¦¸à§‡à¦•à§‡à¦¨à§à¦¦à§à¦°à ¾à¦¬à¦¾à¦¦à§‡à¦° মনোবিকাশ নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউঠŸ অফ মেন্টালি হ্যাণ্ডিকৠযাপড-এ একটা পুরো দিন কাটানোর সৌভাগ্য হয়। তার কয়েক মাস আগেই আমার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম উপলক্ষে ইতিমধ্যেই আলট্রাসনোঠ—্রাফি এবং তৎপরবর্তী পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তঠুলির সম্মুখীন আমরা à¦¹à§Ÿà§‡à¦‡à¦›à¦¿à¦²à¦¾à¦®à ¤ তাই কিছুটা পড়াশুনো ইতিমধ্যেই করে রাখা ছিল। কিন্তু উক্ত সংস্থায় গিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধৠএবং অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের একদম গোড়া থেকে নিয়ে তিলে তিলে প্রশিক্ষণ à¦¸à¦‚à¦¬à§‡à¦¦à¦¨à¦¶à§€à¦²à ¤à¦¾ এবং যত্নের মাধ্যমে পৃথিবীর সম্মুখীন হবার জন্য আংশিকভাবে সমর্থ করে তোলার প্রচেষ্টা আমাকে মুগ্ধ করল।
প্রথমে শিশুদের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে তার অপারগতার স্তর নির্ণয় করা হয়। তারপর তার জন্য সহায়তা এবং চিকিৎসার দৈনন্দিন রুটিন তৈরী হয়। সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা শুরু হয়। তার মোটর অ্যাক্টিভঠ¿à¦Ÿà¦¿ (হাত পা সঞ্চালনের ক্ষমতা) স্বাভাবিক করার জন্য কিছু নিউরোমোটর ক্রিয়াকলাঠª, তারপর ধীরে ধীরে তাকে প্রত্যুত্ত রে যতটা সম্ভব সক্ষম করে তোলার চেষ্টা এবং শেষে জীবন যুদ্ধে আংশিক বা সম্পূর্ণভঠবে স্বাবলম্বৠকরে তোলার চেষ্টা। সবটাই ধৈর্য এবং অধ্যাবসায়ৠর ফল। পরিষেবাকাঠ°à§€à¦¦à§‡à¦° জীবিকা হিসাবে খুব লোভনীয় না হলেও এক ধরণের মানসিক উত্তরণ উপলব্ধ হয়।
অন্তত পারিশ্রমিঠকে পরিষেবার পাশাপাশি রাখলে সেই রকমই মনে হয়। শুধুম জাতীয় মনোবিকাশ সংস্থাই নয় আরও অনেক বেসরকারি সংস্থা এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ §à¦¯ কাজ করে চলেছে। কর্ণাটকের একটি বেসরকারি সংস্থা মানসিক প্রতিবন্ধৠদের বিশেষ কর্মাবস্থঠর সৃষ্টি করেছে যেখানে চারপাঁচজনৠর একটি দল একজন à¦¨à¦¿à¦°à§à¦¦à§‡à¦¶à¦•à§‡à ° দায়িত্বে নির্দিষ্ট কিছু কায়িক পরিশ্রমের কাজ করতে পারছে স্বাভাবিকঠার দিকে প্রথম ধাপ হিসাবে। পরবর্তীকাঠ²à§‡ হয়তো এদের মধ্যে দু একজন নিজক্ষমতাৠস্বাবলম্বন ের পথে পৌঁছতে পারবে।
অটিজমে আক্রান্ত শিশু, কোন বিশেষ দক্ষতা নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করে স্বাবলম্বৠহয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে। যদিও স্বাবলম্বৠবা স্বাভাবিকৠর মধ্যে সামান্য হলেও কাপ আর ঠোঁটের ফাঁক থেকে যাচ্ছে। আর এই ক্ষেত্রে পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের নিরলস অধ্যাবসায়ৠর মাধ্যমেই এই রুক্ষ কঠোর কর্কশ পৃথিবীর মুখে আক্রান্তরঠ¾ ছোট্ট মরূদ্যানেঠ° ছোঁয়া পেয়ে শিকড় গাড়তে পারছে বাস্তবের গভীরে।
অপর দিকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউঠŸ ফর এমপাওয়ারমৠন্ট অফ মাল্টিপল ডিস্যাবল্ড সংস্থাটি একাধিক শ্রেণির à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¦à ‡à¦° নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
সারা ভারতেই আজ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¦à ‡à¦° জন্য অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারও এই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি প্রদানের কারণে বছর দুয়েক আগে সামাজিক ন্যায় এবং সশক্তিকরণ মন্ত্রণালয় ের অধীনে নতুন বিভাগও সৃষ্টি হয়েছে।
এই অবধি লিখেই আমি একবার পড়ে নিলাম লেখাটা। পড়েই মনে হল আদ্যপান্ত সরকারী সংবাদ প্রতিবেদন হয়েছে। তাতে হয়তো খবর দেবার উদ্দেশ্য সফল হবে কিন্তু। লেখাটার আত্মা থাকবে না। অথবা অতৃপ্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াবে। মোদ্দা কথা হল এই যে এই লেখাটাই কেমন যেন প্রতিবন্ধঠতায় আবদ্ধ।
তাহলে আসুন ভিতরে ঢুকি-
মানসিক à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¦à ‡à¦° নিয়ে বা অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদেঠ° নিয়ে à¦•à§à¦¯à¦¾à¦°à¦¿à¦•à§‡à¦šà ¾à¦°à§‡ দাঁত কেলিয়ে আমরা জীবনে কতবার হেসেছি? আচ্ছা, যদি হেসে নাও থাকি তাহলে অন্তত প্রতিবাদটু কুও কি করেছি? মূক ও বধিরদের নিয়ে মশকরা তোতলামি নিয়ে জোকারমো। সবই কোথাও না কোথাও আমাদের à¦¸à¦‚à¦¬à§‡à¦¦à¦¨à¦¶à§€à¦²à ¤à¦¾à¦•à§‡ প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাই না?
কোশিশ দেখেছেন? ওম শিব পুরী, জয়া বচ্চন এবং হরিভাই জরিওয়ালা (সঞ্জীব কুমার আর কি!) ফাটিয়ে অভিনয় করেন এক অন্ধ এবং দুই মূক ও বধিরের সংসারের গল্পে। খুব হাততালি, খুব চোখের জল, হাল্কা হাসি মিলিয়ে জম্পেশ মনোরঞ্জন। কিন্তু তারপর? কেউ চুপ করে বসে থাকলে “বোবা নাকি?” শুনতে না পেলে “কালা কোথাকার!” হোঁচট খেলে “অন্ধ” আর স্বাভাবিকৠর থেকে অন্য আচরণে “পাগল” বা “মাতাল” বলে অভিহিত করা। যেন মাতলামো আর পাগলামো সমার্থক।
অন্যভাবে যারা এই পৃথিবীতে বিচরণ করে তাদের পদে পদে স্তরে স্তরে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তুমি প্রতিবন্ধৠ। তুমি এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট নও। তাই মানে মানে কেটে পড় ভাই। একটু জায়গা হোক। হাওয়া আসুক। কিন্তু দাদারা ও দিদিরা, হাওয়াটা তো আমাদের মনের ভিতরে আসা দরকার।
বিশেষ করে সেই পরিবারগুলঠর কথা ভাবুন যাদের ঘরে প্রতিবন্ধৠসন্তান জন্ম নিয়েছে বলে তাদের সামাজিকভাঠে একঘরে করে দেবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। না না সে ঠিক সাদা চোখে দেখা যায় না যে। আরে ওর ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত তাই আসতে পারবে না, তাই ডাকা হচ্ছে না। আরে ওর মেয়েটা তো শুনতে পায় না, অন্যদের মাঝে awkward feel করবে যে। তাই বয়কট! মেলাতে পারবে না বলে বয়কট। দুম করে যদি কিছু করে বসে বলে বয়কট। রাস্তায় একা বেরোলে টিটকিরি মেরে মজা করা। à¦¸à¦‚à¦¬à§‡à¦¦à¦¨à¦¶à§€à¦²à ¤à¦¾ একটু বেশী হলে হয়তো সমবেদনা জেগে উঠবে। কিন্তু সমবেদনায় কোন হাতি ঘোড়াটা হবে বলুন তো?
একবার নিজেদের ওই জায়গায় রেখে দেখুন তো। পাহাড়ের ওপারের সূর্যোদয়টঠ¾ দেখা যাচ্ছে কি? খালি একটু লাল আভা আর বাকিটা অন্ধকার। সেই অন্ধকারকে ঠেলে প্রতিবন্ধৠদের à¦¨à¦¿à¦œà§‡à¦¦à§‡à¦°à¦•à§‡à ¦‡ এগিয়ে যেতে হয়, হবেও! দরকার আপনার সংবেদন মনে সহায়তা এবং বিশ্বাসেরॠএকটা চলতি কথা আছে জানেন তো? যখন একটা দরজা বন্ধ হয়ে যায় তখন অন্য কোন দরজা আপনাআপনি খুলে যায়। আর আমরা যারা নিজেদের সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ বলে গর্ববোধ করি তারা সেই খুলে যাওয়া রাস্তার হদিশ পাই না।
এক কাজ করুন, নিজের চোখটা একবার বেঁধে নিয়ে চলার চেষ্টা করুন। বেশ কিছুক্ষণ চোখ বাঁধা থাকলে দেখবেন বাকি ইন্দ্রিয়গৠà¦²à¦¿ সজাগ হয়ে উঠছে। অন্ধকারে চোখ সইয়ে যাচ্ছে তখন আলোর রেখাটাও চোখে পড়ে যায়।
সমাজ সেবার নামে আমরা যখন ক্রাই বা অন্য কোন সমাজ সেবী সংস্থায় সামান্য অর্থ প্রদান করে বছরের শেষে হিসাব করতে বসি কত টাকা কর বাঁচানো গেল। তখন কোথাও না কোথাও সঠিক সংবেদন মন ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়তে শুরু করে।
উপকার করতে গেলে সহায়তা করতে গেলে মূল কথাই হল হিসেব নিকেশ ছেড়ে দিয়ে করা। পঙ্গুর পর্বত লঙ্ঘনে আপনি তার যষ্ঠির ভূমিকা নিতে না পারেন কিন্তু সামান্য হলেও পথের কাঁটা দূর তো করতে পারেন! নিজের বাড়িতে যদি না থাকে তবে আশেপাশে অথবা তাও না হলে পথচলতি মানুষের সহায়তা বা একটা দিন মাসে কাটিয়ে আসুন কোন একজন à¦…à¦ªà¦¾à¦°à¦™à§à¦—à¦®à§‡à ¦° সহায়তা করে। নিদেনপক্ষৠ‡ মানবিক করে তুলুন নিজেকে।
কোন এক জায়গায় বহুদিন আগে প্রতিবন্ধঠতা শব্দটায় আপত্তি উঠেছিল, à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¤à ¾à§Ÿà¦“à¥¤ শব্দটি আসলে কি তা খুঁজতে গিয়ে যে নতুন চোখ খুলে গেল তা হল বিকল্প ক্ষমতা সম্পন্নতা বা differently abled person।
যুগ বদলাচ্ছে, দৃষ্টিভঙ্ঠি বদলাচ্ছে, আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সামাজিক আবর্জনার পাহাড় সরিয়ে আসুন না এই বিকল্প ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেঠ° জন্য পথ তৈরী করতে শ্রম দিই। নিজে শিক্ষিত হই, অপরকে শিক্ষিত করে তুলি। সমাজের এই মানবিক প্রতিবন্ধঠতা দূর করি ওদের জন্য।
নীচের ভিডিওটি মূক ও বধিরদের উচ্চারিত জাতীয় সঙ্গীতের। অনেকেই দেখেছেন, তবে এটি তৈরী করতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে আলি ইয়াভর জং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউঠŸ ফর হিয়ারিং হ্যাণ্ডিকৠযাপড। হ্যাণ্ডিকৠযাপড? হ্যাঁ সেই নামগুলোও পরিবর্তনেঠসময় এসেছে বোধহয়।
https://www.youtube.com/watch?v=jTtPSm4aAik