সকাল ৯ঃ৩০ মি. ৩০শে
মার্চ, ২০১৫
...........................................
বাস চলছে । সমবেত শ্বাস
পিং পং বলের মত এদিক
ওদিকে গুতো খাচ্ছে ।
জামাকাপড়ের ফাঁক দিয়ে
উঁকি দিচ্ছে আধবুড়ো
পুরনো লজঝড়ে ক্লান্তি ।
বাসি ঘুমের মাঝে নড়ে
চড়ে উঠছে একটা মাছি ।
নিজের খেয়ালে ওটা উড়ছে
। সব কটা সম্ভাব্য
স্থানে ওকে দেখা যাচ্ছে
। একটা জানালার ঘোলা
কাচ তুলে দিলেই ও চলে
যেতে পারে । কিন্তু
দেবে কে? অনেকে
মাছিটাকে দেখছে । মাছিও
দেখিয়ে চলেছে কতরকম
সমতলের গল্প ।
শুধুমাত্র সমতল বলে
উল্টোও লটকে থাকা যায় ।
গন্তব্য এসে গেল , মাছির
শুরুও নেই , শেষও নেই ।
বড়জোড় একতল থেকে আর এক
তল । সমান নিশ্চিন্ত
চারকোণা স্পেস ।
প্রত্যেকটা স্পেসে
লেখা -আমি । লেখার ফন্ট
কালি সব একরকম । সকাল
৯.৩০ মি. -এ এই আমি-রা
চলেছে এক সমতল থেকে আর
এক সমতলে । কত পুঞ্জ
পুঞ্জ চোখ । তবে ভিশন
খুব দুর্বল । একটা
টানেলের মত দৃষ্টি
তাদের সাহায্য করে
দেখতে নয় , ঘ্যানঘেনে
মাছি হয়ে যেতে ।
সকাল ৯ঃ৩০ মি. ৩০শে
মার্চ, ২০১৫
..........................................
রান্না চলছে । ধোঁয়ায়
আবছা সামনের রোপওয়ে যা
কিনা জিনিসপত্র লোড আর
আনলোডের ।
কালজিড়ে , সরষে , পেঁয়াজ ,
আদা, জিড়েবাটা , ধনে ,
মেথি
মেথি , ধনে , জিড়েবাটা ,
আদা , পেঁয়াজ , সরষে ,
কালজিড়ে
শুকনো পড়ে আছে পেঁয়াজ
রসুনের এ -জগৎ । যাকে
মধুময় বলে জানা ছিল ।
আঙুরের রস থেকে বেরিয়ে
পড়েছে একফোঁটা দুফোঁটা
অন্তর । রোপওয়ে থেমে
গেছে রান্নাঘরে
। বুকনির গন্ধ উঠেছে
চিকেন কারীতে । শাকভাজা
আর ডালের ভেতর ঘনিয়ে
উঠেছে সসেজ । ডাল থেকে
লাঠি হাতে ইভনিং ওয়াক ।
হাজারবার মুছলেও এই দাগ
যে রঙ চটে যাওয়া তা কে
বোঝায় । জানালার পাশ
দিয়ে বাজার টুকরো টুকরো
ছবি দিয়ে যায় । এমন কি
পটল শুদ্ধ গাছও জুল জুল
করে তাকিয়ে থাকে । আর
কতই বা পটল তোলা যায়! এই
জাতক কথা......
সকাল ৯ঃ৩০ মি. ৩০শে
মার্চ, ২০১৫
...........................................
অভিযান সম্পূর্ণ হল ।
না , চূড়ো জয় করতে কেউ
যায়নি । শুধুমাত্র
ভেড়াদের পেড়িয়ে যাবার
একটা চেষ্টা ছিল ।
রোদের পশমিনা তখন সদ্যই
জড়িয়ে ধরেছে আঙুল ।
কানের পাশ দিয়ে ধোঁয়া
ওঠা চায়ের গন্ধে হালকা
কেঁপে উঠছিল পাহাড়টা ।
বরফ গলা জলে ধরা পড়েছিল
কিছু চলতি স্ন্যাপ ।
বঙ্গ রঙ্গের
ট্রায়াঙ্গেল । বুড়া
মাফলার পর .... ওকি ! কি হল ...
অম্বল...সকাল সকাল কাঁচা
পাউরুটি ... ওঃ কি বিউটি ...
রবীন্দ্রনাথ থাকলে জমে
যেত ...ও বৌদি ধর না... ওই যে
ওটা ... চুপ কর চেঁচিয়ো না
... আমিও গাইতে পারি । এমন
সময় গাড়ীর ঘ্যাচ্ ....।
একটা দুটো তিনটে হাজার
লক্ষ লক্ষ ভেড়া । মাত্র
সারাদিনের চেষ্টায়
উভয়েই পৌঁছোন গেল মকারী
টপে ।
সিদ্ধান্ত
..............
২০১৫ সালের ৩০শে মার্চ
সকাল ৯ঃ৩০ মিঃ তে এই যে
তিন সম্ভাবনার ছবি দেখা
গেল এর তিনটেই সত্যি ।
পাত্রপাত্রি এক ও
অভিন্ন । এবার কোন
সম্ভাবনাকে সত্যি বলে
ধরে নেওয়া যেতে পারে ?
তিনটের কোয়ান্টাম
যেহেতু এক তাই এই ছবি
থেকে এর বেশী কিছু
পাওয়া যাবে বলে মনে হয়
না । আপনি যেটার দিকে
তাকাবেন ৯ঃ৩০মিঃ -এ
সেটাই সত্যি ।
পুনশ্চ
.........
অভিযান এখনও সম্পূর্ণ
হয় নি । রুমটেক
মনাস্ট্রি থেকে যে
বাতাস প্রায় ভেঙে পড়া
ঢংকর মনাস্ট্রি
পর্যন্ত বয়ে চলে তারা
আজও বেঁচে আছে ।
ঝোড়াটাও থামেনি ... পাগলা
ঝোড়া ......