আমার সমস্যা আমারই এই
ভেবে আমি আর কাউকে
ডিস্টার্ব করি না। ফলে
সমস্যা এবং রোগ দুটোই
বাড়তে লাগলো তাল গাছের
মতো। আমি মিমিকে
ভালোবাসতাম বলে আমার
অসুখ করলো।
সিম্পটমগুলো মানে
অসুখের, এসব তো কাউকে
বলা যায় না, কেননা এসব
খুবই লজ্জার কথা। আমি
কম-পুরুষ ছিলাম, একথা
ভাবতাম। আমি প্রথমে
জাপানি তেল কিনলাম,
তারপর শিলাজিৎ, তারপর
ডি কে লোধ, তারপর চড়ুই
পাখির ভেজা ফ্রাই,
বিবাহিত পুরুষদের জন্য
কামনা-বাসনার বই ‘রঙিন
বসন্ত’, থ্রি নট থ্রি
ক্যাপসুল। ভাবলাম
সেরেল্যাকে কাজ হবে এবং
আরো কনফিডেন্ট ফিল করার
জন্য ফুঁ দিয়ে ফোলানো
যায় এমন মেয়েছেলে,
ফ্যান্সি মার্কেটে
পাওয়া যায় আজকাল। ফুঁ
দিয়ে ফোলানো যায়
মেয়েছেলেটিকে নিয়ে
দীঘা গেলাম, ব্যাগে
ফোল্ড করে। হোটেল
গীতাঞ্জলিতে রুম
নিলাম। ডবল বেড।
হোটেলের লোকটি অবাক
হলো। ঢপ দিলাম। হোটেলের
লোকেরা ঢপ বোঝে এটা আমি
জানি, তাও দিলাম।
দুপুরে আন্ডাকারি ভাত
অর্ডার দিলাম। ডিমে
সেক্স বাড়ে, দেবুদা
বলেছিল। খাবার ঘরে দিয়ে
গেল বলে আর হেডেক থাকলো
না। তারপর ফুঁ দিয়ে
ফোলানো যায় মেয়েছেলেটি
আর আমি খেলাম। পেঁয়াজের
দাম বেড়েছে বলে পেঁয়াজ
দিল না। কিন্তু মূলো
দিল। আমি আর ফুঁ দিয়ে
ফোলানো যায় মেয়েছেলেটি
মূলো খেলাম, কচকচ করে
শব্দ হলো, সেক্সের মতো।
তারপর হাত মুখ ধুয়ে
আমরা ভাবলাম করি। আমরা
করতে গিয়ে দেখলাম
দিব্যি হচ্ছে। ফুঁ দিয়ে
ফোলানো যায়
মেয়েছেলেটিরও হলো বলে
মনে হলো। তারপর ফিরে
এলাম। তারপর মিমিকে
বিয়ে করলাম। মিমিকে ফুঁ
দিয়ে ফোলানো যায়
মেয়েছেলেটির মতো মনে
হলো। তারপর আমরা দুজন
মানে ফুঁ দিয়ে ফোলানো
যায় মিমি আর ফুঁ দিয়ে
ফোলানো যায় আমি, আজীবন
সুখে শান্তিতে সংসার
করতে লাগলাম। ফুঁ দিয়ে
ফোলানো যায়
মেয়েছেলেটিকে গঙ্গায়
ফেলে দিলাম। ও ভাসতে
ভাসতে কোথায় চলে গেল গড
নোস।