১> দিনদুপুর রাতদুপুর
মুঠি খুললে যাদবপুর ২
বৃষ্টি পড়ছে তো
পড়ছেই।অথচ ফাগুন
'লেগেছে বনে বনে'.... এরকম
একটি কল্পদৃশ্য যখন মনে
মনে সেলিব্রেট করছি
তখন, ঠিক তখন,মুঠো খুলে
দেখি, আশ্চর্য, কোথায়
যাদবপুর আর কোথায় গানের
সুর,কিছু নেই,বদলে
বংগীয় আরাবুল-অধ্যুষিত
ও শংকু-সমৃদ্ধ এক খানি
ন্যাড়া চৌকোণা মাঠ এবং
একটি সরস্বতী-শাসিত
সমুদ্র,যে-সমুদ্র অতীশ
দীপংকর-য়ের আমলে
এস্টাব্লিশড একথা বললে
নিশ্চয় বাড়াবাড়ি হয়ে
যাবেনা। এই ফাঁকে অডিও
-আউট পুটে যে সংলাপগুলি
শোনা যাচ্ছিল, তা
আপনাদেরও শোনা
দরকার,যেমন ১ম বালক
-আচ্ছা ম্যা'ম,সমুদ্রটা
বুঁজে ফেললে কেমন হয়? এত
বড় সমুদ্র দিয়ে
গভরমেন্টের কী লাভ হয়?
তার চেয়ে ওটাকে মাটি
দিয়ে ভরাট করে,মাটি তো
আমাদের 'ব্র্যান্ড',
একটা পার্ক করে
দিন,সেখানে আমরা
খেলবো,খুলবো, ধরবো, চরবো,
লড়বো, ঝরবো,জিতবো রে.....
ম্যা'ম -আঈ,দুষ্টু
দুষ্টু কোরো না তো!
২> বালক - আচ্ছা ম্যা'ম,
যদি এই মাঠটাকে একটা
গোটা ক্যারাম বোর্ড
বানিয়ে দেয়া যায়,তাহলে
কেমন হবে তুমি বলোতো?
শুধু নীল গুটি সাদা
গুটি, আর একটা কালো গুটি,
না কোনো লাল ফাল
চলবেনা, আর
স্ট্রাইকারটা কেমন হবে
সেটা তুমিই ঠিক করে
দিও..... অডিও থাক,বরং,
মিডিয়ায় তখন কী আলোচনা
হচ্ছিলো সেটাও শোনা
যেতে পারে.... " মাঠ
চাইছে সমুদ্রকে গ্রাস
করতে,সেটা কি সম্ভব?
"...."সমুদ্র যদি চায়,
তবে তো সে এক চুটকিতেই
গিলে ফেলতে পারে কি
পারেনা? "....এরকম একটা
তুলনামূলক ক্যাচালের
সম্ভাবনা নিয়ে নন-স্টপ
আলোচনা ঠিক তখন ঝপাৎ
করিয়া আলো নিভিয়া গেলো
এরপর নাগা আল্ফাবেটের
মতো কিছু সংকেত-চিহ্ন
গেঞ্জি পুলিশ চটি পুলিশ
বুট পুলিশ লাঠি পুলিশ
হাত পুলিশ খিস্তি পুলিশ
শিক্ষা পুলিশ তৎসহ
লক-আপ মার্কা চিৎকার
আমরা আর ওই অডিওতে
যাবোনা,এর চাইতে ছড়া
লিখে ফেলা খুবই সহজ,
যেমন ছুপা রুস্তম উপা
চার্য করেন ধার্য পুলিশ
ডেকে ছাত্রধোলাই
শিক্ষামূলক কার্য ।
৩ > আলো যখন নিভে গেলো,
কে নেভালো কে নেভালো, কে
আগে এসে পরে চলে গেলো, কে
পরে এসে আগে চলে গেলো, আর
এরকম তো হতেই পারে, এসব
নিয়েই তো চলতে হবে,হুঁ
হুঁ বাবা,কালের ইতিহাস
কিন্তু সব কিছু
রেজিস্টার করছে,এমত
আলোচনা, আমরা যারা
ফেসবুকে,
ফরাসডাঙ্গায়,ফুলু
পিসির ড্রঈং-রুমে
কিম্বা ফ্যাতারুদের
ব্যারাকে গিয়ে কিছু
কিছু পোলিটিকাল
সমস্যার চান্স পেলে
ঝেড়ে আসি,তখনো আমরা
আসলে কিচ্ছু জানিনা,যত
জানে ওই ভিডিও
ক্যামেরা।কেননা
ক্যামেরা সত্য।বোধ হয়
ক্যামেরা একবার ঘাড়
ঘুরিয়ে আমাদের মতো
পোংটামিপ্রিয়দের
চেঁচিয়ে ব লার চেষ্টা
করেছিলো,"আমাকে কি
তোমার গাধা মনে হচ্ছে?
"(সৌজন্য : জে কে হোয়াইট
ওয়াল্পুট্টিস)
৪> অন্ধকারে শোনার
জন্য একটি গল্প দিতে
পারেন? এরকম একটি কচি
আব্দার-আলা আইটেম নিয়ে
যখন বাংলার নবকুমারেরা
ভেবে যাচ্ছিল, তখন
বন্ধুভাগ্যে, 'একান্নটি
খচ্চর এবং ঊণপঞ্চাশটি
ঘোড়া ' এই ধরনের একটি
আবছা কহানি, হাঁটতে
হাঁটতে নবকুমারদের
কাছে,এবং যার পুরোটা না
শুনেই বলে দেয়া যায় ১
সংখ্যাতথ্যের বিচারে
খচ্চররা সবসময় জয়ী
২প্রাণীখচ্চর নশ্বর।
ইহাদের কোনো পরিবর্তন
নাই ২ প্রাণীঘোড়া ন
হণ্যতে।
গতিপরিবর্তনের সাথে
সাথে মেধারও পরিবর্তন
হয় এবং একটি
অনুসিদ্ধান্ত
"ইতিহাসগতভাবে
ঘোড়াসম্প্রদায়
এলিট-ক্লাস। ইহাদের
মধ্যে কেহ কেহ
দুর্বিনীত, সংঘর্ষ
-প্রবণ হইয়া পড়িলে
রাজ্য বা রাষ্ট্র নিজ
উদ্যোগে যুগপৎ সামরিক ও
বুদ্ধিজীবীসুলভ
কায়দায় ঘোড়াগুলিকে
খোঁড়া করিবার চেষ্টা
করে তাহলে নবকুমারেরা
এখন কী করিবে? তাহারা
বরং কিছু ধর্মনিরপেক্ষ
ছড়া লিখিতে পারে,যেমন
'ছায়া সুনিবিড় শান্তির
নীড় যেন এই রাজ্য
পঞ্চবটি পেশীশক্তি
বেশি হ লেই গেঞ্জি
কিম্বা চটি যেমন পুলিশ
তুমি মারছো মারো ছাত্র
মেরে হাত পাকাও ছাত্রী
মেরে নাম করেছো
লালবাজারে মিথ্যা
হাঁকাও যেমন এলাঠিং
বেলাঠিং ভাই লো
বহিরাগতং অস্ত্রং
টস্ত্রং চাই লো তাই
নাকি তাই তাই লো সক্কলে
এক গান গাই লো কিম্বা
গন্ডা গন্ডা গন্ডা
আমাদের চাই মন্ডামিঠাই
নীল-সাদায় সব কিছু ঠাঁই
চাই আমাদের শয়নে-স্বপনে
শংকামূলক পন্ডা
৫> লেখাটি শুরুর সময়
বৃষ্টি ছিলো এবং আগুন
'লেগেছে বনে বনে' এরকম
একটি কল্পদৃশ্যের
সেলিব্রেশন ছিলো। সেটা
ভুলিনি।ইতিমধ্যে
রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া
একটি দার্শনিক
মন্তব্য,"নিজের
শরীরের ওজনের চাইতে
নিজের বিষ্ঠার ওজন
যাদের বেশি মনে হয়,
তাদের আস্ফালন ঈশ্বর
ক্ষমা করেননা" এবং এই
বাক্যের
যথার্থতা,নিরপেক্ষ তা,
ইত্যাদি 'তা 'তা (যেমন,
এতদিন কোথায় ছিলেন?
আগের কথা মনে নেই?দেখিস,
যেন অন্যকেউ ফয়দা না
তুলতে পারে! এটসেট্র)
নিয়ে নাজেহাল ও
বিপন্নবোধ করছি, তখন
কয়েক লাইন লেখা
হোলো,সেটা বৃষ্টি ছিলো
বলেই... দল নেই তবু আছে দল
আকাশে আকাশে অনেক অনেক
বাদল মেঘ বলছে 'ওগো আমার
সন্তানেরা বৃষ্টি দিয়ে
এখনি কি বেঁধে দেবো
বেড়া? না না, আজ বৃষ্টি
দিয়েই হোক সব প্রতিরোধ
না না,বৃষ্টি ডাকুক
আমাদের সব প্রতিশোধ '
আমি আছি, আমরা আছি, অনেক
দূরে আমাদের ঠাঁই বোধ
বলছে, এক্ষুনি যেন এই
মিছিলে চলে যাই ৬ সব
আন্দোলনে 'সঠিক জয়' নাও
আসতে পারে তাতে কিছু
এসে যায়না সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ আপনার
'সঠিক অবস্থান' সব
আন্দোলনে কিছু লোক থাকে
যারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে
ভালোবাসে, তারা আছে,
চিরকাল থাকবে এবং তাতে
কিছু এসে যায়না সব চেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ 'সঠিক
জমায়েত ' এই বৃষ্টিভেজা
মিছিল সত্য এই মিছিল
যখন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে
নিজেই একটি ইস্তাহার
হয়ে উঠতে থাকে, তখন সব
জয়-পরাজয় তুচ্ছ।