যারা বলেছিলো উত্তরে
যেওনা বাপু গেলেই
মিসটেক,তারাই বলেছিলো
পশ্চিম বা দক্ষিনে
গেলেও মিসটেক। অতএব
তুমি কি করবে হে
অমৃতস্য পুত্র ? যাবে না?
তুমি কি এখানে পর্যটনে?
যেন কদিন
থাকবে,খাবে,বাঁশি
বাজাবে আর ফুরুৎ ! এ
তোমার দেশ নয় ? দেওয়ালে
নোনা ধরলে,টেবিলে ঘুণ
ধরলে তার চিকিৎসার
প্রয়োজন নেই বলছো ।
চেয়ারের কথা এক্ষেত্রে
বলবো না। কারণ চেয়ার হল
চেয়ার ।আর জার্সি হল
জার্সি । সে নবান্ন হোক
বা অধ্যক্ষের ঘর তারা
বিরাজমান তাদের মহিমা
কীর্তনে,কারণ তারা কোনো
ভুল করতেই পারে না যে !
এমন ই মজা। কেবল
জার্সিই বদল হয়,বাকিটা
চেয়ারাগত।
তা বাবুরা জানেন এমন
সুখের বাতাস আর বাতাসা
পূর্ণ দেশে মানুষের
কোনো কষ্ট ছিল না। সব
মিষ্টি বাতাসার মত ।
এখানে সবাই হাসতে
জানতেন,জানতেন নীচু
গলায় কথা বলতে কারণ
বেশী কলরব যে রানী মার
পছন্দ নয় । আর ছিল এক
চন্ডী মন্ডপ ফেসবুক।
যেখানে পরস্পর
পরস্পরের পাছা চুলকে
দিত,হাত তালি দিত,কেবল
রাত বাড়লে কানে কানে
ইনবক্সে উগড়ে দিত
আগুণ,গুপ্ত-ঘাতক সব
অক্ষরমালা । যেমন টা
চন্ডীমন্ডপ কালচার আর
কি ! এসব ছিল সে দেশের
গোপন কথা। এখন মুশকিল
হল কালচার থাকবে আর
কালচার শক থাকবে না তা
হয় নাকি। তাই যা হওয়ার
তা হল। ইতিমধ্যে
কামদুনী হয়নি।মাঝদিয়া
হয়নি। রায় গঞ্জ
হয়নি।মধ্যমগ্রাম হয়
নি। রেপ হয়নি। শিক্ষক
পেটাই হয়নি ।মানুষ কিছু
দেখেনি,কারণ দেখতে নেই !!
যেমনটা নিয়ম,আইন
মোতাবেক ! ছিল একটা
প্রবল সর্বগ্রাসী শীত ।
শীত অবশ্য পড়েছিল অনেক
কাল আগেই । শৈত্যপ্রবাহ
পড়ার শুরু হতেই সাপেরা
সব হাইবারনেশনে চলে গেল
। আর মজা নিল রাজা-রানী
আর গজারা। কিন্তু?
ওই ‘কিন্তু’ টাই তো
মুশকিলের। কখন যে শীত
পার করে ‘কিন্তু’ নিয়ে
এসেছিলো এক দুঃসহ
গ্রীষ্ম চুপিসাড়ে তা
টেরই পায়নি ফীল-গুড এর
প্রচারক রাজা-গজারা।
গোপন প্রবল ঘামাচিময়
গ্রীষ্ম। যৌবন কাল কি
আর তা পারে সইতে ?
ফলে হল কলরব। শুধু
যাদবপুর নয়,মোলেস্টেসন
কতটা কিভাবে ও
নয়,ভিসি,সিপি,
ইল্লি - বিল্লি কোনো
কিছুই আলাদা করে নয় ।
রায়গঞ্জ
,মধ্যমগ্রাম,মাঝদিয়া,
যাদবপুর আরো এক দুই করে
সহস্র শরীর এর ভেতর
কতদিন ধরে বাসা
বাঁধছিল, অনেক ‘ না হয়ে
ওঠা’ গুলো। পুঁজ,বিষ -
রক্ত,কৃমি - কীট। সেসব
বেরোনোর একটা রাস্তা
খুঁজবে না?
অবশেষে ২০
সেপ্টেম্বর,২০১৪ সেই
সাপ জ্যান্ত হল। আর
নন্দন থেকে রাজভবন সে
তার আশরীর নৃত্য দেখাল
দীর্ঘ ব্যারেন সময়কাল
পর। প্রশ্ন উঠেছিল ? আরে
বাবা প্রশ্ন তো থাকবেই
। মদ,গাঁজা,চরস,কোলে
শুয়ে পড়া,বাবার মিছিল
হাঁটা ওসব নিয়ে যারা
আলোচনা করে তারা নটরাজ -
সর্প নৃত্য কে অস্বীকার
করতে চাইছে । গুলিয়ে
দেবার, ভেঙে দেওয়ার এ
ভারতীয় ট্র্যাডিশন ও
প্রায় সহস্র বছরের। তা
বলে এ আগুন মিথ্যে হবে
কি করে,তার সর্বগ্রাসী
অস্তিত্ত্ব ?
গোপন গ্রীষ্ম থেকে
আশরীর বৃষ্টির
অপেক্ষায় এই জনপদ
কতদিন... এখানেও তো
‘মানুষ’ থাকতো । যারা
তা বিশ্বাস করেনি
তারা,সেই অবিশ্বাসীর দল
আর তাদের মাথার ওপর বসে
থাকা সেই সব চেয়ারের
ভ্রু –পল্লবে দেখা দিলো
কুঞ্চন। এই প্রথম আগুন
আর বৃষ্টির সহাবস্থান
দেখলো তারাও।
২০সেপ্টেম্বর,২০১৪।
ইতিহাস কি,কেন,কোথায় তা
নিয়ে তাত্ত্বিকরা
আলোচনা করুক। আমরা কেবল
চেয়ার উলটে দেওয়া
সূচনাকারী এক ইতিহাস কে
ছুঁয়ে থাকার দায়বদ্ধতা
কে অস্বীকার করতে
পারলাম না। অস্বীকার
করতে পারলাম না চেয়ারের
মিসটেক, বৃষ্টি ও আগুণ
কে ও।
বর্ধিত হল মিসটেক
সংখ্যা ঠিক ১৬ দিন পর
সময়ের প্রয়োজনেই।
হোক আলোচনা,হোক কলরব।