ডাক
প্রাণ ধরো প্রাণ ধরে
রাখো প্রাণ অস্থির
রাস্তা ঠেলে ফুটপাত
সরিয়ে ঘুমে ভেঙে চোখ
স্বীকারে পৌঁছবো
বিস্ময় ফেরানোর দরকার
নেই তার আগে
প্রয়োজন নেই আঘাতে
আঘাতে পাখি খুলে
সেই জানলা খোঁজা ...
ডানায় হরবোলা আর
উদাসীনের সেই প্রথম
পরিযায়ী পরিযায়ী বলে
দূরবীন ছুটবে এরপর
জান বাঁধো বাঁধো জান
কবুল করো খোয়াব
একবেলা ভাত পাবে
মীনচাষি
একঘুম সন্দেহ
পূর্ব পুরুষের মিলনে
ফেটে যাওয়া মাটিতে
এক শিরিষ গাছ উপড়ে
ইটভাটা তৈরি হবে
আকাশ ছোট হতে হতে গ্রাম
ফুরোতে
ফুরোতে
খেলনাবাটি হারাতে
হারাতে
ভয় লাগে, শিহরণ নেই
কোথাও
এমনকি নিশিও কেমন বড়
হয়ে গেছে
ডাকে না
প্রাপ্তবয়স্ক
সহ্য কী প্রাপ্তবয়স্ক
হল দিলদার?
তবু, রাখি। পুকুর
বুঁজিয়ে ফ্ল্যাট হয়ে
যাওয়া গেরস্থালির
তলায়
বৃক্ষ কেটে কেটে রাস্তা
চওড়া পিচের দেহে
ফাঁকা গঙ্গাধারে
গৌরনিতাই সংকীর্তন
দলের হাসিকান্না
আর যখন বিকেল খতম হয়ে
এসে আদর করে অন্ধকে?
সাইকেল নিজের বুকে তুলে
নিয়ে যায় গোধূলির বাঁট
সেই একজন আকাশ আর মাটির
মাঝখানে খুঁজতে থাকে
কোন বৃক্ষ অক্সিজেন
দিচ্ছে তোমাকে
শ্বাস কী
প্রাপ্তবয়স্ক হচ্ছে,
দিলদার!
দম ধরে থাকি তবু
হেইয়ো হেইইইয়ো সুর
একবার ঠিক পৌঁছে যাবে
তোমার অবহেলায়
উপায়
তোমাকে বিশ্বাস করা
ছাড়া উপায় নেই
ঘাম কখন শিল্প হয়ে উঠবে
আচমকা দ্যাখা হলে
বৃষ্টিতে হেলান দিয়ে
থাকি
আর তোমার দেহে কাশ্মীর
ফুটে ফুটে ওঠে
কী যে কুয়াশা কীরকম
আনচান কুচকাওয়াজ
জারুল ফুল চিৎকার করতে
করতে পলাশ ছুঁয়ে ফেলছে
আস্বাদ করা ছাড়া
তোমাকে উপায় নেই আমার
১৪৪ ধারাপাত ভেঙে পড়ে
জন্মদিনে
একহাতে বসত অন্যহাতে
আকাশ মুঠো করে চলি
কন্যার খোসা ছাড়িয়ে
রাখি
পুত্রের বয়ঃসন্ধি
রক্তদান শিবিরে ছুটে
যাচ্ছে
মাবাবাপতাকা
মাবাবাপতাকা
পাল্টামার ছাড়া উপায়
নেই কোনো
ভোলামন
ভোলামনের নিরুদ্দেশ
মনে আছে?
এক ধরনের শব্দ করতো আর
ঠোঁটের ভেতর পাখি ঢুকে
যেত
আকাশ নামতে পারবে না
বলে মেঘ বাজিয়ে বাজিয়ে
বুনো তেঁতুল গাছ ছুঁয়ে
ঝরঝর
সেবার কি ভিজেছিলে
তুমি! ভিজিয়েছিলে?
তিনফসলী মাটি ভেঙে
রাস্তা ছুটলো আত্মহননে
ভোলামনকে ঘিরে তখন
ধর্নাপৃথিবী
তুমি রসকলি গাঁথছিলে
তুমি কাঁপছিলে ...
চিরহরিৎ
লালশাকের ক্ষেতে মিশে
গেল তোমার ভুখাপেটের
বাচ্চা
সব রস মিলেমিশে কেমন
নার্সিং হোম রমরমা
ভোলামনের চোখে শান্তি
আর হাহাকার মনে আছে!
সেইসময় এমনকি সেই
স্খলনের মুহূর্তেও
কাক ও কোকিল একসঙ্গে
বাসা বাঁধছিল
মাথাপেটপাঁজরজঙ্ঘাকাঁ
টাতার
আর, ভোলামনের সহ্য ...
সহ্য