শেষ স্টিমারের
যাত্রী
১৯১
স্টিমারে ভাবি নি দেখা
হবে শেষ যাত্রা দিনে
অনুশোচনার অঙ্গারে
পুড়িছি জিভকাটা ঋণে।
১৯২
তারপাশার স্টিমারঘাট
নেই এখন আর,তবু শুনি
প্রফুল্ল রায়ের রাজেক
মাঝির মানবিক হুংকার।
১৯৩
মলিদা মাখানো
কুয়াশারা আর নাই এই
পথে
রিফিউজি স্পেশাল
স্টিমার থামবে
ফিরিঙ্গিদের রথে।
১৯৪
মরা কাক মরা বাদুরের
ছায়া লেপ্টে আছে গায়
ফিরিঙ্গিদের স্টিমার
রেআর কখনো খুঁজোনা
আমায়।
১৯৫
দণ্ডকারণ্য যায়নি তবু
বুকের ভিতর শিরা ছিঁড়ে
অনিমেষে
ছেলেটি ফেরেনি মেয়েটি
ফিরেছে দেহ বিক্রি
শেষে
**দোযখের
ঘরবাড়ি(এপিটাফ
পর্ব)
১০১
মনের কোন ঘরে পরমের
খোঁজে তুমি যাও
স্বর্গবেশ্যা আড়ালে
মুচকি হাসে ,কিছু কি টের
পাও।
১০২
কেউ একজন পায় আসলে কি
পায় তারে লড়াইটা জারি
রেখে যায় ,বাসন্তী
আঁধারে।
১০৩
আমিতো ধ্যানস্ত থাকি
আমার লেখায়
তোমরা যাকে কবিতা বলো
সে তো প্রার্থনা
শেখায়।
১০৪
এমন কোনো আনন্দ
স্মৃতি পরে কি মনে
যা পবিত্র বেদনার চেয়ে
হৃদয় বাজে খনে খনে
১০৫
এতদিনে জেনে গেছি
দেহখানি সমগ্র বিশ্ব
আমি তার কর্তা বিবেক
যার একান্ত শিষ্য।
১০৬
শামীম দেখো ,তোমার
শবদেহ গোসলের যে পানি
এ তো সেই প্রেমিকার
চোখের জল,যে কখনো
বৃষ্টিতে ভেজে নি।
১০৭
এমন আত্মঘাতী বসন্ত কে
দেখেছে দিবালোকে
প্রতিটি সকাল আসে যেন
ক্ষুধার্ত হায়নার
চোখে।
১০৮
স্মৃতির গাছে সবুজ
পাতার চেয়ে বেশি ঝড়ে
মৃত ডাল
পড়ন্ত আলোর কাছে কি
চেয়েছিলে ? শুধুই
সকাল।
১০৯
তুমিতো জুয়ারু মরেও
বেঁচে থাকো নেশায়
বিকার
অস্বীকারের ভেতরেও
বেঁচে থাকে সামান্য
স্বীকার।
১১০
ফেরেশতারা মানুষের
চেয়ে মহান কেউ নয়
মুনকার-নাকির সে আর কী
লিখবে আমার পরিচয়।
১১১
আমার সমাধিতে ঝরবে
শিউলি বকুল প্রিয়ার
অশ্রুর মতো গোপনে
ঝরবে এইসব ফুল।