লয়

সৈকত সরকার

১.
তোমার রুপোর চেন তেতুল জলে ফর্সা হয়ে উঠেছে ততক্ষণ
চোখের প্রকট ভাষা গিলে নিচ্ছে ; প্রেমিকার আয়ু
চাপা ছিল চাঁদে থাকা অগভীর কুয়োর ভ্রমরে।
চালের দোকানে তুমি হতশ্রী কিছু পুরনো পুঁথি পেলে,
লিপি শিখতে এসো এ থানায়।
জ্বলছে কপাট, জ্বলছে নিষাদ অধ্যুষিত ভূমা,
জ্বলেছে এই মেথিশাকের চুড়ো, এখানে কোন বৃদ্ধপাতা নেই।
কপাল জ্বালিয়ে তবে জ্যোতিষ অভ্যুত্থাঠে যাও, জ্যোতিষ তুমি দুহাত পাতো
তোমার রাশি নিহত হলে পর, দশচক্রে প্রেত ও কারফিউ ;
ছলাৎ কোন সংকেত শব্দের, অর্ধাংশ খেয়েছে নীলমণি।
ভো রাজন! মুগ্ধ হও, জানালায় বৃষ্টি যত স্থায়ী,
তাহারও দ্বিগুন বেগে “আস্তে লেডিস” স্বরে থেমে যাচ্ছে পৃথিবী ঘূর্ণন!
ভো রাজন!

২.
মাছের চোখের কাছে রেখেছি স্মৃতির কিছুদিন
কখনো বিদ্ধ হলে চুঁয়ে চুঁয়ে রক্ত ভরে যাবে।
পাখির কোটর ; তার কোটরে জমিয়ে রাখা খুদ
ঠোঁটের তোরণ যদি খুলে যায় অভিভাবকের
তূণীরে জমানো রাগ শুষে নেব আদরের ছলে।

৩.
উঠোনে শিউলি পড়লে বিচলিত হলো না
সমস্ত শরতেরই থাকে গুটিকয়েক ভিজে অন্তরাল।
আগমনী বিজয়ার মাঝে আমরা গুটিকয়েক
কমলাকান্ত সেজে আছি।
বায়না হয়নি বলে কাঠি তার পড়েনি বাজনায়
জমির দুপিঠ চিড়ে কাশবন জ্বলে গেছে নিজে
উঠোনে শিউলি পড়লে বিচলিত হই না এখন।

৪.
কাঠামো থেক খসে পড়ছে মাটি
যেন চুল্লি থেকে ছেঁকে নিচ্ছে ঈশ্বরের ছাই
গরম ঘরের পাশে নাভিকুন্ড অক্ষত, পরম
বরং জ্বালিয়ে রাখে স্মৃতির সমূহ উপাচার
আমার ঘিয়ের যত্নে সাড়া দেয় পিশাচ পাহাড়
যাবতীয় অস্থিচর্ম সাঁকোর প্রস্তাবে নড়ে ওঠে।