১
লকডাউন ছাদপর্ব
লকডাউন পর্বে আমি ভোর।
পাই। ছাদ। পাই। দীর্ঘ
চৌষট্টি। বছরের। যাপন।
পালটে। যায়।
কিছু গুঁড়ো শব্দ। কিছু
টানা শব্দ। ছাদ।
জল।গাছপালা। ফল। আর।
পাখি এক। পাখি দুই।
পাখি সব…
বকবক। বকম বকম।
বণিকদার বাড়ির ছাদ।
একটা গুমসো মতো। হালকা
গোলাপি। মস্তান
পায়রা। দাপিয়ে দানা
খাচ্ছে। ছাদ-মাঠভরতি
রেশনের চাল। পাশে ঘুঘু
গড়নের। আরও একটা পাখি।
সেও আস্তে সুস্থে। যেন
ব্যাঞ্জন মেখে খাচ্ছে...
এমন পরিতৃপ্ত। ভাব।
হালকা ছাই রং। গলায়।
সামান্য কালো ছিট ভাব।
মন ভালো হয়ে যায়।
ধীরে। সুস্থে। খাওয়ার
ভঙ্গি দেখলে।
পায়রা আবার এমন
ঝাণ্ডাবাজ হয়ে গেলে
কেমন করে! একা। কেন? তার।
এই ভাব। ভঙ্গি। দেখে।
সঙ্গী পালিয়েছে
বোধহয়।
হেমের বাড়ির ছাদে
যে-বকম হালকা পায়ে
পায়চারি করছে সে কি ওই
মাস্তানের। পালিয়ে।
যাওয়া। সঙ্গী?!
বকবকম। ঝুঁকে হাঁটা।
পাক খাওয়া। গলা ফোলানো
ব্রীড়া ভঙ্গি নেই।
কিন্তু। বেশ
রিল্যাক্সড।
হাফপ্যান্ট পরা। লাল।
চা হাতে। রিনি যেন...
২
ব্ল্যাক লাইফ
ম্যাটারস্
সাড়ে পাঁচটায়। উঠে।
ছাদ। খুব গরম। ছিল।
রাত। এই মরশুমে। প্রথম।
গরম। আকাশে। মেঘ।
ঝিপঝিপ। বৃষ্টির মহড়া।
তবে। হল। না। জোর
হাওয়ায়। বড়োসড়ো। আমগাছ
দুলে উঠলে। কেমন
বাস্তুবুড়োর। তহবন পরে
দাওয়ায় বসার ছবিটা।
মনে আসে...
একটা কেঠো কাক। ছিটানো
চাল। খুঁটে খেতে এলে।
বিরক্ত হই কেন? খটখটে
ঠোঁট দিয়ে। একটা দুটো
চাল খুঁটে খাচ্ছে—
এ-দৃশ্যটা চোখের আরাম
নয়… ছোটো। পাখি। ছোটো।
ঠোঁট দিয়ে। দানা
খুঁটবে। ঠোঁটে। নেবে।
ঘুরবে। চিড়িক পিড়িক।
এদিক-ওদিক। এ ছবি এমনই
চোখে এঁটে গেছে… কালো।
আখাম্বা শরীরের। কাক।
পচা আম। ঠোকরাচ্ছে। হাড়
ঠোকরাচ্ছে। ঠোঁটে।
নিয়ে আসছে মাংসর। হাড়।
নাড়িভুঁড়ি খাচ্ছে...
এইসব ছবি এমন চোখে লেগে
থাকে! শ্রাবণের। প্রথম
সবুজে। ছাদে। উঠোনে।
ফুলের রেণুর মতো।
শস্যদানা। কালো। শরীর।
মাংসাশী। ঠোঁট। নিতে
পারি। না।
সিঁড়ি ঘরের টঙে। একটা
গোলাপী তিতির। আনমনা।
নেমে। খুঁটে। দানা
খাওয়ার। উৎসাহ। নেই
যেন। অ্যাঞ্জেলিনা
জোলির মতো গ্রীবা।
দৃশ্য তৈরিতে উৎসাহী
মানুষ বলে। এসো। নেমে
এসো। ওই কোমল ঠোঁট
ছুঁয়ে যাক। নশ্বর। শস্য
শরীর।
কী কেলো কীর্তি দেখো।
ওই বুড়ো কাকটা। লাইটের
পাইপে। বসে। কুমড়ো ডগার
ফাঁক দিয়ে। মাথা।
নাড়িয়ে। নাড়িয়ে। বলেই
চলেছে। কিছু। বোঝে। না।
বোঝে না। আমরা ভোরে। এই
সব। কা-কথা। শুনতে
ভালোবাসি না। ভা। লো।
বা। সি। না।
ব্ল্যাক-লাইফ্
ম্যাটারস্...