কার্তিকের নদী
রাত গভীর হলে দূরবাসী
ঘুমন্ত মায়ের মুখ মনে
পড়ে ইনসোমনিয়ায়,যেন
সব সন্তাপ নড়ে উঠে এক
পৃথিবীর
হাস্নাহেনা গন্ধের
মসৃন অন্ধকারের নীচে
মনে হয় মাটির
গ্রন্থিগুলো রিরং
তুলছে সব স্মৃতি ও
কথার
বলি রেখার কপাল ভাঁজ
করে মা শুয়ে আছে
পৌরাণিক কোনো গাছের
মতো,বহু দূরে ,আর এখানে
রাত বড় বেশী নিকষ
সময়ে মনে করিয়ে
দিচ্ছে আমাকে তাঁর
আঙুলের কড়,যেনো
পাতাদের বোটায় দুলছি
আমি ঝিরঝির অনাদিরকাল
মা একদিন আরও গভীর একটা
ঘুম দিবে জানি,তাঁর বলি
রেখাগুলো আরও বেশী নদীর
মতন মনে হবে সেদিন, যেন
এক কার্তিকের নদী
•
এই মহাজীবনে
অর্থহীন অস্তগামী মন
নিয়ে তাকিয়ে থাকছি
মাটিফুঁড়; চিৎকারে,
যেন এক অজর বিকাল থেকে
উড়ে আসা বিকল বাতাসে
ডুবে যাচ্ছি বিলুপ্ত
গুল্মের মতো,শুকনো ফুলে
করমচা বর্ষার জলে
বিস্তারিত হই, কালো রঙ
জড়ো হওয়া সময়ে আরেকটা
প্রস্থানে দস্তাবেজের
দাগ নিয়ে ভুল আয়োজন
ঢেঁরশ ফুলের খেতে যদি
চোখ রাখে কেউ,দেখা যায়
অপরুপ স্ফটিক,যেনো জীবন
এক অপার শুন্যতার মূর্ত
হেয়ালীটা চেয়ে আছে
আমার দিকেই
ছায়া দেখে যদি বুঝে
ফেলা যায় গুমটের নন্দন
ও সুখ,আড়ালে থাকে না
কিছুই
মনে হয় প্রলম্বনের এক
ছল-ঘোলাটে নদীর জল আছে
উছলে ওঠার কসরতে, তারার
উঠানে
যেখানে মিলেছো তুমি, আর
তাকিয়ে থাকছি আমি বেলা
পড়ে আসা কোনো ডুমুরের
আলোর মতো,এই মহাজীবনে
বয়াত
কোনো দখিনা জানালা, এই
দেশে আমারতো ছিলো না
কোনোদিনই, আর এই না
থাকাটা যেনো আমাকে
তীব্র পরশ পাথরটা
বানিয়েছে, তিলে তিলে
আজীবন অকাতরে ছুঁয়েছি
নীরস সব দিক ও বিদিক আর
সামান্য ধুলার পালক,
হীন কোনো
নুড়িটা-নদীর,বুকে
আলগোছে ঘষে পেয়েছি
পাখিটা, আর জরিন জহর
জানি এ পৃথিবী ; নিরন্ন
নিরালের গাছটারই জাত;
ভাঙা তিঁতি-মুখ নিয়ে
কেউ পায়নি বাতাস তাঁর
ডালে, রোদে পুড়ে বাতাই
মাছের মতো কালে; এটাই
ধ্রুপদ
মেনে নিয়ে সব, যদি কেউ
ভ্রান্তিটা হয়ে গুনে
যেতে পারে ঢেউ তাঁর
সাগরের তাতেই বয়াত,
কাঁদা-সোঁদা,
টুটকা-ফাটকা সব ইচ্ছা ও
বিলুপ্ত মৃগ,যেন
আশ্বিনা আমের মতোন
বিস্ময়ে দুলিয়ে
দিবে
যেমন তুমি, মুছে যাবারও
আরও বহূ দিন,বছর পরে
খপ করে কোন এক অজানা
বাজারে, গাদাগাদা
মানুষের ভীড়ে,ধপ করে
চোখের সামনে এসে জ্বলে
উঠো সোনালী আগুন,তাকে
ছুঁয়ে দেই আমি এক
ফিনফিন ঘোমটার মতো