চন্দ্রযান
অনেকদুর উঠে চাঁদ আর
জলট্যাঙ্কি পেরতে
পারছেনা
সত্যি তো! কেন এমন হবে!
আহা মৌসুমিদিনের চাঁদ!
তার শতরঞ্চি পেতে বসার
কথা এতদিনে
সব মেঘাছন্ন
মদ্যপ চাঁদের আলো তাই
আর বারান্দায় এলনা।
আজকাল মানুষের ছায়া
পড়েনা কোথাও!
অনেকেরই মাথায় শিং
উঠেছে।
হতশ্বাস চাঁদ উঁচুতে
উঠতে না পেরে ক্রমশ
গড়িয়ে নামছে
পরাজিত নৃমুণ্ডের মত,
অনির্নেয় দিগন্তের
দিকে।
ব্যাধি
সকাল দেখতে দেখতে
বিকেলের দিকে যাচ্ছে
সময়ের এই চাবুক আর সহ্য
হচ্ছেনা।
সূর্যকে ওঠবস করাচ্ছে
সে
চাঁদকে করেছে কন্দুক।
সময়ের ব্যাধি আমাকে
আয়নায়
আরেকটা লোকের মতো দাঁড়
করাচ্ছে
আমারি মতন কিন্তু
আমি কিচ্ছুতেই নয়।
মানুষ ফিরছে ঘরে
টিলার উপরে উঠে
সূর্যাস্ত দেখার সাধ
তার চিরদিনের মতো মিটে
গেছে।
সে উঠেছে ,সে নেমেছে
জীবনের কার্যকারন বুঝে
থম মেরে গেছে
সূর্যাস্তে এখন রক্তের
ঝর্না টুং-টাং বাজে
আকাশ অপেক্ষার মতো নীল
থেকে ক্রমে গেরুয়া ও
কালো হয়ে এল
খুচরো কথোপকথন আর গান
শোনা যায়।
মানুষ ঘরে ফিরছে
গৃহ!আমার গৃহ নাই।
বৃত্ত
বহুদিন পরে বাইরে
বেরোলাম।
সত্যি বলতে, কবিতা
লেখার জন্য আমাকে
সামনের রাস্তাটাও
পেরতে হয়নি এতদিন।
আজ কলেজস্ট্রিটের
দোকানে দোকানে পেলাম
লজেন্সের মত কিছু
সহৃদয়তা
আকাশ,ঘুড়ি, কাক-চিলের
অবাধ্য
মাজিক।প্রয়োজনের
পাশাপাশি কিছু খুচরো
কবিতাংশ এখানে পেলাম।
বহুদিন কলকাতা
ছাড়িনি।
বহুদিন উপন্যাস
পড়িনি।
প্রায় সম্পূর্ণ
বিস্মৃত কবি হওয়ার
কাজ,সম্পূর্ণ হয়ে এল।