১.
অবাক
ওই দেখুন অবাক কেমন
দ্রুত পায়ে এদিকেই
আসছে। ওর খুব হৃদ্যতা
পেয়েছে। আজ আকাশ বড় সহজ
সূত্রে হাসছে। আর
পাখিরা মেঘ ফোটাচ্ছে
শিস দিয়ে। শোন বিম্ববতী
নদী আমার ভেতর অসংখ্য
ধন্যবাদ ফুটে উঠতে দাও।
তার ভেতর ভরে রেখো
মুর্খের রবিবার—
গোলাভরা স্বাস্থ্য
পরিষেবা। মেয়ে আর
স্ত্রী আজ ঘুমের ভেতর
আনন্দ পেতে বসেছে। ওরা
আজ পুজো সংখ্যার
জামাকাপড় কিনবে। আর আমি
খুলে বসবো তারাভরা
কিশোর সমগ্র।
২.
অবসন্ন
আমরা দুই ভাই । আমাদের
কোন পুজো পরিক্রমা নেই।
আছে কিছু রোঁয়া ওঠা
গ্রামীণ ব্যাংক। এত যে
মহামন্দা। ঘরে ঘরে
সূচকের অধঃপতন। দুচোখে
বন্ধ কুটিরশিল্প।
তাদের সংকলন হলে আমাদের
নামও তাতে পাবে। সেলিম
আলির পাখি বিদ্যায় আমরা
কুসুমের ঘ্রাণ পেয়েছি
একদা। অবসন্ন— বিকেলের
পোস্টকার্ডে—তুমি—মান
ুষের ভেঙে যাওয়ার
আখ্যান লিখে রেখো। এর
বেশি কি আর পাবে বলো
সৌজন্য সংখ্যায়!
৩.
বিস্ময়
বিস্ময়ের কাছে হাত
পাতি। এ সম্পর্কে
সমীহকে কিছু জানাবো
না।ওর সবেতেই অভিধানের
তাৎপর্য। আমার
শ্রমজীবী ঠোঁট এখন
কয়েকটা হতবাক চায়। কয়েক
ফালি চুম্বন। অদ্য বয়স
আততায়ী। বাদাম রঙের রোদ
তাহাকে ডাকিতেছে।
চাঁদের ব্রাউজার
খুলিয়া দিতেছে স্তনের
আলপথ । আমি তার গায়ে
একটু অত্যাশ্চর্য
রাখি। কিছু যৌনকুটুম।
চকিত ভাঙে। পাখি খোলে।
আর স্মিত ফড়িং উড়ে যায়
বৃক্ষের জটিলতায়।
বিস্ময়কে আমি তখন আঁকড়ে
ধরে বাঁচি। খুন চাপে।
৪.
বেদম
অনন্তে কিছু দুপুর
জমেছিল। আমি তাকে
দেওয়ান-ই-আম দেখিয়েছি ।
বাকরুদ্ধ স্তনে ফুঁ
দিয়ে আমি তার আধো আধো
কথা ফোটাতে চেয়েছি ।
কেন্দ্রে স্থাপন করতে
চেয়েছি শ্যালো মেশিন।
জলে জলে সানাই হব আজ।
ধানগাছে নেমে আসবে
অসংখ্য জ্যোৎস্না। আর
বেদম তরল যখন বেড়িয়ে
আসবে—সাথে স্বচ্ছ আলো—
সম্পর্কের জিডিপি
পৌঁছাবে কাঙ্ক্ষিত
চাঁদে। ততদিন সাবধানে
ডানা খরচ করো পাখি আমার!
৫.
পাহাড়
প্রতি শুক্রবারে আমি
পাহাড় বসাই। পিঠ চিড়ে
সুউচ্চ লিখি। কোন কোন
পয়লায় আমি পাহাড়ের দাড়ি
কেটে শোভন সংস্করণ
ছাপি। মূলত রবিবারগুলো
সপরিপারে সমুদ্র বিষয়ক
সিনেমা দেখার রূপচর্চা
হয়। আবার কোনদিন
পাহাড়ের খসে পড়া দেখে
খবর দিই প্রিয়বন্ধুকে।
সে নিয়ে আসে
অগ্নিনির্বাপক
হ্যারিকেন। ছুটির দিনে
বউয়ের পাহাড়ে মই লাগাই।
শৃঙ্গে গান মাখাই।
পাহাড় বেচতে বেচতে আমি
এক এক সন্ধ্যায়
শ্রমদিবস খুইয়ে বসি।