অর্থ
ক্ষমা চাইছি মাতৃভাষা
আকাশে উড়ন্ত ডানা নই
নৌকো ভাসলে ভাই ডাকত
ভাই নসিগঞ্জে গেলে
পাখি
চঞ্চুতে ঠিকানা আনত জল-
গানে ভাটিয়ালি বাকি
কথা সঞ্চয়িত
মধুমালতীর অর্থ জানত
সই
অর্থের ভিতরে গিয়ে
পাতা দিয়ে ঢেকেছি শরীর
ছড়ানো শরীর-যন্ত্রে
নাটবল্টু কাঁটা ও
কম্পাস
জ্যামিতির ভাষা নিয়ে
কারুদেশে দ্রবীত
সন্ন্যাস
সন্ন্যাসে অব্যক্ত
কাঁপে অব্যক্তের
দুপায়ে মঞ্জীর
সুব্যক্ত অক্ষর হলে
যতিচিহ্ন সীমানায়
টানা
মাইগ্রেন্ট বাতাস এসে
খুঁজে মরে বাড়ির
ঠিকানা
মাটির গহীন রাত্রি জল
খুঁজে পিপাসার স্নান
পিপাসা ঘুমন্ত যদি
নৈঃশব্দের বক্ষ ফেটে
যায়
চক্ষু অর্থ জল হলে
বহুকান্ত কবিতা সহায়
ক্ষমা করো বাংলাভাষা
অর্থ ভোলে পানি কী
পাষাণ
ভাত
সংযত করো নি তাই রতি
কল্পে গাছেদের সুখ
ঊর্ধ্বমুখী বাড়িরাও
চেয়েছিল উড়তে মাটি
ছেড়ে
ঊর্ধ্বগামী রাত পাখি
ফেলেছিল ডানা যে শহরে
সে শহর শারীরিক
ছড়িয়েছে প্রসিদ্ধ
অসুখ
লীলাবতী ভরে নেয়
বিসমিল্লাহ খানের
সানাই
দুঃস্বপ্নে ফোয়ারা
তুলে নিভিয়েছ দোজখের
গান
মাধবের ঠিকানায় পৌঁছে
দাও শ্রীরাধার প্রাণ
জাতবেতা অগ্নি রুদ্ধে
মুক্ত দলেগান বাঁধে
সাঁই
কবির বিষয়ে আস আশয়ে
বুনেছ বুনোঝাড়
ঘরে পুড়িয়েছো ঘর
জিনগৃহে নেমেছে আষাঢ়
বাঁহাত ছিঁড়েছে শিরা
পালক ছড়ায় ডান হাত
রাখো গুল্ম কবিতায়
ছন্দে নেমে খুলেছ ঘুঙুর
মূর্ধায় আগুন শোয়
চক্ষু নিয়ে গিয়েছে
দুপুর
ঠোঁটে মুদ্রা ব্রম্ভ
কীট খুঁটে খায় রক্ত
মাখা ভাত
সহজিয়া
ধান নিড়ানির শব্দে
জাগ্রত হয়েছে ভূমিহার
পাতার রহস্য ভেদে বাংলা
কাব্য গিয়েছে সহজে
বিষন্ন ধারিণী যে মা
তাঁর নির্লিপ্ত
মধ্যাহ্নভোজে
পড়ে থাকে যে রোদ্দুর
বিম্বিত তাতেই
সারাৎসার
সে রহস্য সহজিয়া? আমি
শূন্যে স্নান করে উঠি
শূন্যের সাত আকাশে
অ্যালজেবরা- গণেশ পাইন
কাটাকুটি খেলে ছিল তাকে
বুঝবে অলীকের জিন?
কাশের ঝালরে পোকা ক্ষত-
রোদে শস্য চায় ছুটি
ছুটি যন্ত্রে শ্বাস
ফেলে কামদারী জলদস্যু
ঘেরা
আমার নিন্মাঙ্গে তার
নখ উর্ধাংগে মাল্লার হা
হা
বিষেররও সর্বাঙ্গ
জুড়ে সমুদ্র বিছের
অতিমার
দেহযন্ত্রে স্তন পড়ে
জিহ্বাও পোড়াও মা
তোমার
ব্রম্ভ যোনি মেলে ধরো
সব বৃষ্টি তাতে ধরে
রাখা
বৃষ্টি বজ্রের ভূয়ে
রাত্রি চাটে অযোনি
মেয়েরা
নিয়তি
পরিতাপ তাম্রবর্ণ
পরিণতি শীর্ষ
ভ্রান্তিময়
ক্ষতময় গুহ্যে ধরি
ধূর্জটির জটাতে
আশ্রয়
নেয় যদি ভাগীরথী বঙ্গে
আমি ভাড়াটিয়া হই
না -সিদ্ধের ঘোর লাগে
মাটিতে ফুটেছে লতা
জুঁই
ভয়েতে সামান্য ক্ষতি
কামে এসে কামিনী
কাঞ্চন
অতি বড় বৃত্ত আঁকে
ফকিরের ঝোলাতে কখন
শূন্য এসে জমা হয়
মহাশূন্যে ঘোরে
নাভিশ্বাস
ঘরের ভিতরে ঘর তাতে
কিন্তু চৌষট্টি নিবাস
মুখ খুললে কালফণী হাত
নাড়লে বিছেরা তড়পায়
পরকালে মাহেশ্বরী
ইহকাল দুকূল হারায়
পাখি ডাকলে জাগরণ
রাত্রি জাগলে লিবিডো
প্রলাপ
আলো ডাকলে গড়করি
অন্ধকার ছোঁড়ে
অভিশাপ
চাবুকেরা ব্যভিচারী
অতিচারে রক্তেরা
ছলকায়
আগুনে আলজিভ পোড়ে
আশরীর মিশ্রবৃত্তে
খায়