শুষ্ক বুনো
ছন্দ-অপূর্ব,
অস্থির
একাধিক পানশালা বেয়ে
নেমে আসা
তুমি এক অদৃশ্য গোলাপ,
বিষণ্ণ দুপুরে-
পাড়ি দাও ধু ধু চর,
স্পর্শ করো মানুষের
অনিদ্র সাঁতার,
জ্বরগ্রস্ত ধূলির
বয়ান--
ডুবতে ডুবতে বেঁচে
যাওয়া
খেয়াযাত্রীর চোখ ফেটে
ঝরে পড়া
মাঝিদের পায়ের
শব্দগুলো ' একদিন সব
ঠিক হয়ে যাবে '-র মতো
বেজে ওঠে যেন--
ঘাটের সন্ধ্যায় পড়ে
থাকা গোধূলির রঙে
তুমি জোনাকির ঘন নীল
পাজামায়
লিখে রাখো--
মধ্যরাতের আলো-নেভা
নৌকোর তৃতীয় নয়ন,
শূন্যপাড়,
নিজস্ব গদ্যের
আয়ুষ্মতী বনলতা,
শুষ্ক বুনো
ছন্দ-অপূর্ব, অস্থির
পাতালের অন্ধকার
সিঁড়ি
এই কুয়াশার দেশে
কাকের অমঙ্গল ধ্বনিও
ভিজে ওঠে
রক্তে ও বিষাদে-
চরের দীর্ঘশ্বাসে ভেসে
আসে মৃত কচ্ছপের
কপাল চুঁইয়ে ঝরে পড়া
হাহাকার,
বিয়ারের যে শূন্য ক্যান
নদীর গভীর হয়ে
নেমে গেছে পাতালের
অন্ধকার সিঁড়ি
তার কিছু ক্ষতচিহ্ন,
গোপন খবর-
জলে ভেসে আসা এক বেহুলা
নূপুর,
একগুচ্ছ ধানশিষ, শবদেহ-
শক্ত মাস্তুলের
মতো বুকে বাঁধা প্রেম,
গ্রামে গ্রামে জল,
ক্ষুধা ও অসুখ, ভেঙে আছে
আকাশের
দাঁড়, অতঃপর দেখি- ভেসে
যাওয়া হালে
সেতারের ছড়ের মতো
বিষণ্ণ কারো মুখ
ডানকানা মাছের সাথে
ভাংছে সীমানা--
বিশ্বাস ও সীমানার আদিম
জঙ্গলে
তোমার দাঁড়িয়ে থাকা,
পাশে প্রচণ্ড দুপুর,
ফেটে যাচ্ছে অদম্য
কার্পাস, কার্ফ্যু
ভেঙেছে যে
প্রাচীন শালিকেরা, তুমি
তারই মাঝের খবর
কটা বৃত্ত আর ভাংতে
পারো তুমি
কটা সিংহদ্বার পার হবে
ছোট্ট ডানায়--
সামান্য আকাশ
একটি ঘুঘু-ধরা ফাঁদের
ভেতরে আসমানী কালিতে
লেখা—
যিনি প্রয়াত হয়েছেন,
তিনি সেই কমরেড, যিনি
প্রতিটি পথের
মাতলামি বুঝতেন; যিনি
জীবন ও মৃত্যুর
অংক কষে বসাতে পারতেন
কমা, সেমিকোলন কিংবা
দাঁড়ি---।
আহা, কমরেড! পুরনো
জানালায় যে একটু হাসি
পড়ে আছে, তা তোমার
শেষবিন্দু ঘাম,
তোমার শ্রমের গন্ধে
নেমে আসা সামান্য
আকাশ--