ভবিতব্য
ছেড়ে যাচ্ছি জলঙ্গীকে ,
ছেড়ে যাই ঘাট ।
কারা বন্ধু , মনেও
রাখেনি কারা--
ছেড়ে যাচ্ছি হাতছানি আর
পিছুডাক
মঞ্চ ছেড়ে চলে যাচ্ছি ,
লাইট , ফোকাস...
ছেড়ে যাচ্ছি নীল
অভিমান
প্রেমভক্তি—জলন্যাকড়া
, মুছে যায় কী তপ্ত
সিমেন্টের শান
ছেড়ে যাচ্ছি বটতলা
,চায়ের দোকান
বাঁশপাতাঝরা ভয়ছমছম
রোগাপথ
ঝুপ করে সন্ধ্যে নামে
বুকের ভিতর
ভেঙে যাচ্ছে হাট ... ছেড়ে
যাচ্ছি
ফাঁকাপৃষ্ঠামাঠ
ছেড়ে যাচ্ছি অহং ,ইচ্ছে,
জিলিপির প্যাঁচ
পুরোনো মন্দির ছেড়ে
এগোলেই জোড়াদিঘি ,
নেমেছে আকাশ ....
ছেড়ে যাচ্ছি সদ্যজাত
কবিতার টান :
হোক সবার কল্যাণ
অতীত নদীয়াকাল
ভবিতব্য বুঝি নীলাচল
তীর
অসি চালনার ক্রমাগত
ঝনঝন ঝনঝন
অদৃশ্য ঘোটকের প্রচন্ড
হ্রেস্বা, ক্ষুরধ্বনি
...
দীর্ঘ কেশ ওড়ে ধারালো
বাতাসে
নিজেকে করেছি বন্দি
অক্ষরের তরবারি আছে
পাহারায়
কার কাছে হেরে আসি
শব্দের আঘাতে ?
ফের প্রত্যাঘাতে কোন
বিজয়ীর
অলীক প্রাসাদ : কে করে
ঘেরাও !
কার জন্যে এই নির্বাসন
রক্তে বেজে চলে
অট্টহাসি
তবু ফলমূল রেখে আসি
বনমধ্যে ,
সামান্য কুটিরে জ্বেলে
রাখি তুষের প্রদীপ
বিদুর কি সত্যি আসবেন ?
কেউ নয় প্রতিপক্ষ কারো
তিনি তা জানেন ।
যুদ্ধ তবু কখনো থামে
না
কুরুক্ষেত্রে রচিত
কবিতা শরশয্যা ...
জলতেষ্টা পেলে ছুটে আসে
একখানি
উপযুক্ত তীর !
দোপাটিফুল
ক্ষিতিমোহন সেনের মতো
বিদগ্ধ রোদ্দুর আজ
গান কুড়োবার দিন
দেখা হবে কবীরের সঙ্গে
সমভাবের দোপটিফুল
ঘরময়
গোলাপি নরম
ইচ্ছে করে সব ফেলে
অভিসারে যেতে
শব্দের নিকটে গিয়ে
ফিরে পেতে নিজেকেই
শব্দ কি আমাকে শুধু
কষ্ট দেবে ?
কাছে নিয়ে যাবে না কবীর
?