১.
বিপ্লবের ভোজসভা
কেউ জীবনপঞ্জি চাইলে
আমি দিতে পারিনা।
আমার তো ডিগ্রি নেই,
ছেঁড়া ফাইলে শুধু একরাশ
খিদের যোগ্যতা।
জীবন আমাকে শিকার করেছে
বলে এই হাত
বারবার হ্যাংলার মতো
খুলে যায়।
বারবার
অন্ন আর অন্ধকার
অন্ধকার আর অন্ন
জায়গা বদলাবদলি করে
দরিদ্র আত্মীয়ের মতো
জড়োসড়ো অযোগ্যতা
দাঁড়িয়েই থাকে
শংসাপত্রহীন,
ঠিক আমার মতো।
বিপ্লবের ভোজসভা শেষ হয়
না!
২.
বীরেন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়
শ্রদ্ধাস্পদেষু
শতবর্ষ পরে ফিরে আসার
কোনো মানেই হয় না;
মোরগের তুমুল তরজা
ছাড়া
এই জাহান্নামে কোনো
কবিতাই আর নেই!
আপনি মানুষের যে সুগন্ধ
ফেলে গিয়েছিলেন
তা আদিগন্ত বদলে গেছে
পুরীষে।
নিরন্ন রাত্রির গলিতে
কান্না শুনবে বলে কে
হাঁটে আজ
আশ্চর্য ভাতের গন্ধ
চমকে উঠে কে টের পায়!
যদিও সবার পিঠেই
প্রতিবাদের দামী
বিজ্ঞাপন
যদিও সবার হাতেই অন্যকে
জাগতে বলে নিজে ঘুমোবার
পোস্টার।
এখানে এখন আগুনের নামে
জালিয়াতি
বিদ্যুতের নামে
চোরাকারবার;
মহাদেবের দুয়ার ভেঙে
আলো নেই
যুধিষ্ঠিরের কুকুরের
ঘুম ভাঙানোয় ভয়!
৩.
আলোয় গন্ধপোকা
ছুঁয়েছে আঙুল এসে, ঘাস
নয় রাত, রেখাহীন
পার্থেনিয়াম ফুলে টুনি
জ্বালা জোনাকির ঝাঁক,
সন্ধ্যাতারার টিপ
আলেয়ার মতো যেন চেনা।
আলোকবর্ষ ধরে একপাল
হাঁস এইবার
উড়ে যাবে, পালকের
ক্ষতময় ছেঁড়াছুটো দেনা
ফেলে যাবে চুপিসারে,
জানবে না বাতাসগহীন;
আলোয় গন্ধপোকা
স্বপ্নের ছাই মেখে
থাক।