যুদ্ধহীন যদি কোনো দেশ থাকে...

শতানীক রায়

৯
ভারতদেশের à¦°à¦•à§à¦¤à¦®à¦¾à¦‚à¦¸à§‡à ° দিকে তাকিয়ে থাকা, এও এক মাংসের প্রতীক। এতদিন যাকে হাতি বাঘ ভেবে এসেছ অথবা কাক— কাকের কঙ্কাল ততদূর। যুদ্ধহীন মাঠে কতদিন আলো পড়েনি। শোনেনি কোনো ভ্রমর তার আন্তরিক ভ্রমণকথা। তারপর যথাতথা একই রোগের উল্লাস, গাছের মানুষদের দয়া শেকলের দিকে। ততধিক সপ্তর্ষিতৠআপাতত প্রাণ জমা থাক। অফিসফেরত যাত্রীদল বিশ্রামে থাক। আপাতত...

১০
অনেকদিন হল গাছগুলো আর মানুষের কথা বলে না... নাহি যুক্তি নাহি মুক্তি করে কেউ তো বলে না— এসো। কারিগর ঠিক অনন্তকে খুঁজে নিয়ে বাষ্পের কাছে মিশে থাকতে জানে। লীন-তত্ত্বॠ¤ চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে যেদিন বুঝেছিলাম সুন্দরবন কতদূর... কোথায় সেই মাঠ বা মাঠের পর মাঠ হেঁটে বেড়ানোর সেইসব মানুষ... রক্ত সেই না-হওয়া রাত্রিদিনৠর ষোড়শ শতাব্দী। তারও অকালে ফিরে আসা। মোহবন্ধ। কুকুরের আওয়াজ তার অনুরণন। কখন যে মাটি চায় শুধু... বনবাদাড় চায় খালেদাবিবঠ¿à¦° মতো মাকে চায়... চন্দনাপাখঠর ডাক... সেই মাঠ ঠিকানা ঘর… চৌকো ঘরকেও কখনো কখনো ডেকে আনতে পারো... ডেকে ডেকে পুনরায় যা বলেছ এতদিন যেটুকু কথা এই à¦¸à¦¾à¦•à§à¦·à§€à¦—à§‹à¦ªà ¦¾à¦²â€” আপাতত ভুলে থাক এই পৃথিবীতে কোনোদিন প্রাণ ছিল...

১১
ছায়াস্বরূঠªà¦¿à¦¨à§€ নদীর ছবি ভেসে এল। বয়ে চলা ও বয়ে নিয়ে চলার কোনো আলাদা আনন্দ থাকে না। এরকম স্বরূপিনী জল। ছায়া ভাঙতে গিয়েও তার দেশের কথা বলে গল্প শোনায় প্রাচীনতাঠযাকে টপকাতে পারেনি সূর্য স্বয়ং। আঁকাবাঁকা রেখার দিকে তার দেশ... সে-দেশে অন্ধকার নামলেই বাড়িঘরগুলৠকুয়াশা জড়ানো স্বপ্নে রূপান্তরিঠহয় মানুষদের আনাগোনা ছিল কিনা এই নিয়ে এত তীব্র কুহক জড়িয়ে আছে যে...

১২
তুমি যখন মূল গাছের থেকে আলাদা হয়ে শুরু করো তখনও আমি অপেক্ষা করি। সকাল থেকে অপেক্ষা করতে করতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত… বিদ্রূপ করলেও মনে রাখি, সাপের চলন খুব দ্রুত... পরা অপরার তফাত ঘুচে যায়। গান শুরু করে এমন এক সময় যখন সময়ই একমাত্র নিয়ামক কারণ হিসেবে মেনে নিলে পর্বতকে সব কথা বলতে ইচ্ছে করে... অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ভুলে যাই এখানে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল... এই-ই সে-মাঠ যেখানে অপেক্ষা আর স্থৈর্যকে হত্যা করা হয়েছিল...