গ্রামীন কেচ্ছার
দিকে
আমাকে পাঠিয়েছিলে
জানলা-দরজা তুমি, সফল
কাঠুরে
উলুধ্বনি, ইশারার চোখ—
খুলতে, বন্ধ করতে
পরিতোষ হয়
এসব ফুরালে
মাটিতে কাঠের মতো
সোজাসুজি শুয়ে পড়তে
সংকোচ করোনি
গ্রামীন কেচ্ছার দিকে
আমাদের যেতে ভালো লাগে
অদূরে জঙ্গল, হ্রদ, চাঁদ
উঠছে ওখানে গা ধুয়ে
কাহিনির মধ্যে তুমি
একমাত্র মনোযোগী
একমাত্র অলোক ছুতোর
শহরের শেষ বাড়ি
শহরের শেষ বাড়ি, তারপর
ভেষজ মৌজা
ওদিকে সাইকেল যায়,
ওদিকে লোভের কৌটো
হারিয়ে গিয়েছে
অথচ তোমার পোষ্য মুখে
যে পদার্থ নিয়ে ফিরে
আসছে
তা-ই প্রহেলিকা
প্রেমের কবিতা লিখতে
এখনও জানলা দিয়ে উঁকি
দিতে হয়
ধ্বজা
দেখেছি স্নানের পর
পারঙ্গম ধ্বজা
তখনও গড়াচ্ছে অল্প,
শরীরে আগের যজমান
হাওয়ায় ঝাপটাচ্ছে আর
খসে পড়ছে লম্পটের চোখ
নিশি-লবণের ঘাম এক
ফোঁটা কুয়োয় পড়েছে—
বলোনি কাউকে?