আমাকে যখন আদালতে তোলা
হল আমি দেখলাম চত্বরে
তখন সন্ধ্যা হামাগুড়ি
দিতে শুরু করেছে,আমিই
শেষজন,বাইরে একটা পুলিশ
ভ্যান কালো কাপড়ে মুখ
ঢেকে অপেক্ষা করছে
আমাকে নিয়ে ফিরবার
জন্য,আমার সামনে যেখানে
উকিলদের বসবার
কথা,সেখানে কয়েকটি
কাকতাড়ুয়া বসে আমি
চিৎকার করে
বললাম,গুজগুজ-ফিসফিস
করছে নিজেদের
মধ্যে,আমার একজন উকিল
চাই যে কেসটা লড়বে,আছে
কোনো মাইকা লাল যার
পেছনটা হলুদ হয়ে
যায়নি,তাকে পাঙ্গা নিতে
হবে রাষ্ট্রের
সঙ্গে,উপেক্ষা করতে হবে
বিনামেঘে
বজ্রপাত,রাষ্ট্রের
তৈরি
পেচ্ছাপখানাগুলি,দেখত
হবে সারমেয়দের সংগমের
পবিত্রতা,মানুষ নামের
আজব প্রাণি যারা কৃষ্ণা
চতুর্দশীর রাতে লাইন
দিয়ে ভোট দেয়
রাষ্ট্রনায়কদের
চতুরতায় নিজেদের
আচ্ছন্ন রাখতে গর্ববোধ
করে এবং যে উকিলের
সংগমের রাতে লিঙ্গ
কখনোই শিথিল হয় না
উপুর্যুপরি সারারাত
সংগমের শেষেও
সহকর্মিণীর শীৎকারের
খেয়াল রাখে অর্গাজমের।
একটা কাকতাড়ুয়া উঠে এসে
বলল,আমিই তোমার উকিল।
আইসো হের হিটলার বলি
ঘাড় নুইয়ে হাত প্রসারিত
থাকবে সন্মুখের দিকে
যেখানে
তিনি,মুষ্টিবদ্ধ।
আমি প্যান্টের ভেতর হাত
ঢুকিয়ে মাসাধিককাল
না-কাঁচা জাঙ্গিয়ার
দুর্গন্ধতে আমার
আঙুলগুলি নিজেদের নাক
বন্ধ করলেও জাঙ্গিয়া
কাঁচা যায়নি কারণ পেছনে
আমাকে হায়নার মত তাড়া
করছিল পুলিশ,আমি
জাঙ্গিয়া কাঁচব না
পালাব,সমস্যাটা নিয়ে
বুদ্ধিজীবীরা
ভাববেন,আমি
পালাচ্ছিলাম এবং
বললাম,কোনো কাকতাড়ুয়া
আমার উকিল হতে পারে না
র্যাদার একটা
কাকতাড়ুয়া আদতেই
কাকতাড়ুয়া যে ফসলের
খেতে মহাজনকে আজো বাধা
দিতে পারেই তো নি বরং
সাহচর্যে নিজেকে ধন্য
করেছে যেমনটা এই
আদালতও,আমি একজন খাঁটি
উকিল চাই ভ্লাদিমির
ইলিচ উলিয়ানভের মত একজন
খাঁটি উকিল যাকে দমানো
যায়নি।
আমি বিচারকের চেয়ারের
দিকেও তাকালাম,দেখলাম
তিনির বদলে একটা কালো
মুশকো বেড়াল সেখানে বসে
চোখে ভারী চশমা আমার
ফাইলের পাতা ওল্টাতে
ওল্টাতে মুচকি হাসছে
সেই চশমাটা।
আমি একটা
যথার্থ,ন্যায়সংগত,নিরপ
ক্ষ বিচার চাই চোখে
চশমা না থাকলেও
চলবে,চিৎকার করে বললাম
আর সেই চিৎকার ছড়িয়ে
গেল বিশ্বে তারপর
মহাবিশ্বে...।