শে
তাকে দেখো, শ্রীবাজারে,
পাগলিনীপ্রায়
’চুল তার কবেকার
অন্ধকার’ ত্রস্ত
দিশেহারা
’মুখ তার’ বিরহিণী
প্রেতিনীর ন্যায়
ঘাট
জলের ঘাটে সেদিন গিয়ে
দেখি
কৃষ্ণ চোরা ফোকলা দাঁতে
হাসে
কলস দুটি লুকিয়ে রেখে
বসি
উলটো স্রোতে ভাসিয়ে দিল
শেষে।
কলস দুটি ধরতে গিয়ে
দেখি
বুকের নিচে ভীষণ এক
ফুটো
সেদিন আমি কলসটাতে
লিখি
আমায় বুঝি ভেবেছ
খড়কুটো?
এখন থেকে জলের ঘাটে
গেলে
ভীষণরূপে আমায় যাবে
দেখা
সবাই ভাবে রাইকে
অবহেলে
দূর-মথুরা পালিয়ে যাবে
একা!
এখন থেকে কলস হাতে
রাধা
নামবে জলে একাকী
নির্ভয়
বৃন্দাবনে কৃষ্ণরূপী
বাধা
কখনো আর পাবে না
প্রশ্রয়।
অসময়ে
এই খরস্রোতে যারা খুলবে
পেখম
কেবল তাদের প্রতি,
বৃষ্টিস্নাত রূপবান
চোখ
আমার চোখের পাতা
বহুরূপে বহুভাবে ভারী
আমার নয়ানজুলি, উলুঝুলো
মেঘে মেঘে ঢাকা
নিকটে পাহাড় বটে,
নির্জলা, অরূপ জঙ্গল
লাউড়ের গড়ে যারা দেখে
এসেছিল
বল্মীকের স্তূপ, প্রত্ন
পাললিক মাটি
তারাই এসেছে শুনি, পান
করে, পুণ্যতোয়া জল
এই বর্শাস্রোতে যারা
খুলবে পেখম
কেবল তাদের প্রতি,
বৃষ্টিবিদ্ধ রূপবান
চোখ