রসধারা
খুঁজে পেয়েছে কেউ
হারিয়ে যাওয়া চাকা।
আত্মহত্যা করতে চেয়ে
ফসকে গেছে
স্বেচ্ছাচার থেকে। যে
সন্ন্যাসী বাস্তবে ছিল
তাকে উপেক্ষা করে অন্য
কোনো সন্ন্যাসীতে
পেয়েছিল অরুনেশকে।
তাপমাত্রা পরিবর্তন
করে আমরাও মলয় সমীর বা
অরুনেশ হয়ে যেতে পারি।
বিশু পাগলা বা নন্দিনী
হতে পারি। নিজস্ব
আঙ্গিকে বারবার পাল্টে
যায় আমাদের নৌকো।
সন্ত্রাসের বিভিন্ন রঙ
মুছে, প্রতীকের
প্যারাডাইম শিফট কোরে
কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত
কোরে নিচ্ছি আমরা।
অপৌরুষেয় রঙ ছুঁতে
ছুঁতে গাড়ি অনেক ওপরে
উঠে আসে। চাঁদেও লোকেরা
নৌকো চালায় নক্ষত্রের
মিথ ডাউনলোড কোরে। যাকে
বলা হয় ভায়োলেন্স,
আত্মকথনে সেও অন্য কোনো
উপমা হয়ে যেতে পারে...
পারানি
থেমে যাওয়া বৃষ্টি
পুনরায় শুরু হলে পোড়া
স্পাইন আলোয় ফিরে আসে...
ধারালো
নখ ছোটো হয় আর
ডাবগাছগুলি প্রাণের
ঋদ্ধিকে ওস্কাতে থাকে...
শিয়রে ছুটে
যায় গঙ্গার বিস্ময়...
যে কটি পাখি ভুল পথে
পাড়ি দিয়েছিল,
তাদেরকে ফেরানো হয়
নিজস্ব ব্যালেরিনায়...
হঠাৎ বৃষ্টি এসে
গেলে যাবতীয় গেমস
মর্মাহত হয় ঠিকই,
স্কোর থেমে যায় না...
অরুচি ধরার আগেই
ঝুপঝাপ বৃষ্টি নামে সকল
করিডোরে...
মৃত্যুর আগে, আত্মহত্যা
বা নিরুদ্দেশ হওয়ার
আগে, বিনম্র মেঘ এসে
হাসপাতাল
থেকে বাড়ি ফেরা
নিশ্চিত করে যায়...
পরবেশী
হৃদয় থেকে সম্মুখে আসা
পথ জানলায়, বাইরে
আকাশের হ্যালো, আকাশের
হাইপ্রোফাইল... জানলা
থেকে হৃদয়ের র্যাপো
গিয়ে মিশছে
প্রতিবেশীর বাসনায়...
জলে ছেটানো সৌরকার্য,
আলোয় ছিটকে পড়া
এপ্রিল অথবা যেকোনো
বাইবেল মোহিত করছে
শিরাউপশিরা... পথচারী
বৃক্ষের উৎস হৃদয়লগ্ন
ভূমি... জানলায় বসা
প্রতিবেশী পিন্টুদা,
জানলা থেকে দেখা শ্যাম
ও শোভা পুনরায় কাহাদের
মানচিত্রে উড়ে যাবে...