প্রতিভা
এক বৈদ্যুতীন
সুপার-সার্কিটের নকশা
করেছে বিজ্ঞানীরা।
সার্কিটটি এতটাই বিশাল,
সূক্ষ্ম ও জটিল যে, কোন
কম্পোনেন্টের ভেতর
দিয়ে কতটা বিদ্যুৎ বয়ে
যাবে, শত সমীকরণ লিখে,
হাজার অঙ্ক কষেও তা বের
করা যাচ্ছে না।
তবে বাস্তবে সার্কিটটি
বানিয়ে সুইচ অন করা হলো
যখন, কাউকেই লাগল না,
সার্কিটের জড়
ব্যাটারিগুলিই
মুহূর্তের মধ্যে
নিখুঁত অঙ্ক কষে একদম
ঠিক-ঠিক পরিমাণ বিদ্যুৎ
পাঠিয়ে দিল ঠিক-ঠিক
জায়গায়।
এতটা প্রতিভা জড়বস্তুর!
যোগসূত্র
এও এক জটিল
জালিকাবিন্যাস।
এই যে হারান মণ্ডল
মাঝে-মধ্যেই বউ পেটায়
সার্কাসের
অতিপ্রশিক্ষিত জোকারও
মাঝে-মাঝে ভুল তামাশা
দেখায়
এসবের জন্য নাকি
কোনো-না-কোনোভাবে দায়ী
থেকে যায়
বহু-দূরে-থাকা
বিশ্বব্যাংকের
চেয়ারম্যানও।
বহুদূরে বাড়ে সুদের
হার, এইদিকে বাড়ে নারী ও
শিশুর প্রতি সহিংসতা।
ক্ষমতা
ক্ষমতা থাকলে কাজ হয়।
তেলেসমাতির মতো।
মুহূর্তের মধ্যে যে যত
বেশি কার্য বা
দুষ্কার্য করতে পারে,
বলা বাহুল্য, তার
ক্ষমতা তত বেশি।
পদার্থবিজ্ঞান ও
ক্ষমতাবিদ্যা উভয়েই
একই কথা বলে।
ক্ষমতা
হস্তান্তরযোগ্য, এবং তা
ভাগ-বাটোয়ারাযোগ্যও
বটে। যেমন, পাওয়ার
স্টেশন তার পাওয়ার ভাগ
করে দেয় একই
সার্কিটে-থাকা বড় বালব,
টুনি বালব, বড় ফ্যান,
পাতি ফ্যান, পাম্প,
স্ক্রু ড্রাইভার, ড্রিল
মেশিন, ধোলাইযন্ত্র ও
আরো কত কিছুকে।
দুশ্চিকিৎস্য
বহুবক্র কাষ্ঠখণ্ডে
গড়া মানব, মানবতা--
যা থেকে হয় না সরল কোনো
কিছু।
--ইমানুয়েল কান্ট
সুস্থ স্বভাবিক হয়ে
উঠবে মানুষ একদিন--
বিশ্বাসযোগ্যতার
সূচকে এই আশাতথ্য যেন
জাতকের সমুদ্রশোষণ...
পঙ্গুর অলঙ্ঘ্য
অট্টালিকা-লঙ্ঘন...
সুখী সুদর্শন
সংসারিজনের গাভিগমন...
জিরাফের অশ্বারোহণ...
বলাৎকার
বলাৎকার হলো বলবানের
বাসনা চরিতার্থতা।
বলাৎকার করে বলশালী,
যখনই তার বাসনা জাগে আর
সে-বাসনা হয় অদম্য ও
বেপরোয়া। ঊনবল যে, সে হয়
অসহায় শিকার।
যে-মুহূর্তে যে-অবস্থায়
ভেঙে পড়ে বলের
ভারসাম্য, সে-মুহূর্তে
সে-অবস্থায় দেখা দেয়
সম্ভাব্য বলাৎকারের
আশঙ্কা।
স্থান-কাল-পাত্র-
পরিস্থিতিভেদে এই বলের
রূপ বিভিন্ন ও বিচিত্র--
পেশিবল, অস্ত্রবল,
অর্থবল, কর্তৃত্ববল,
সর্বোপরি ক্ষমতা ও তার
নাটবল্টু
স্ক্রু-ড্রাইভারদের
বল। যে কোনো বলাৎকারের
ক্ষেত্রে ঘটে বলের এক
বা একাধিক বা সবগুলি
রূপেরই দৃশ্যমান
দুঃসমাবেশ।