১
আজি, হে বিজন ঘর, কে
আসিবে শূন্য হাতে-হাতে
মসৃণ হয়েছে সবই - কররেখা,
রাত্রি, জেগে ওঠা
বাইরে জলের শব্দ - সিঁড়ি
ভাঙল - দরজা আলো করে
জ্যোতির্ময় এলে নাকি,
মড়াকান্না পাশের
বাড়িতে
ওসবে ভয়ার্ত নই,
বন্ধুভাবে বসিয়েছি
ঘরে
থইথই করে দিচ্ছি
হাঁড়িকুঁড়ি, দেবতা,
আসন
তোমাকে ঘটনাচক্রে ঘুম
ভাঙতে দেখেছি এবার
আমার অস্তিত্ব ভাঙো,
আরও যা করার আছে, করো!
২
কী হবে সঞ্চয় করে! শুষে
নিচ্ছে প্রবাহ তোমার
জানু কেটে তারপর কত
জন্ম নাইয়া গাঙের
'তুমারে ছাড়ান দিয়া
তুমারেই ভক্তিভরে তুষি'
-
সর্বস্ব-হারানো রাত্রি
একা-একা বেরোল রাস্তায়
কত কী দেখার আছে,
অভিশাপে চমকে ওঠা আছে
শিরোপরি বৃক্ষ নিয়ে
যাওয়া আছে তারায় তারায়
সে যেন সচল থাকে, লক্ষ
কোটি বছর পরের
অদেখা দেশে ও গ্রামে
আলো দিয়ে অভাব মেটায়!
৩
আর যা ভেসেই রইল,
জলাকীর্ণ, মাতৃমুখী
ভাষা
আহত বৃক্ষের গায়ে ডুরি
বেঁধে প্রার্থনাসকল
তাঁদের প্রণম্য মানি,
অপরাহ্নে ভাতের
কুয়াশা
অখণ্ডমণ্ডলাকারে নেমে
এসো উনুনে সবার
এসো হে ভিটের চিন্তা,
খুঁটে খুঁটে বেড়াটি
বাঁধার
অবসর এসো স্পর্শ
প্রসাদী গানের
জবাফুলে
যা-কিছু পেয়েছ স্বস্তি,
ওঁ স্বস্তি, উঠোনে লবণ -
ত্রাণের সামগ্রী এসে
জড়ো হচ্ছে প্রাইমারি
স্কুলে