নলিনীকান্ত-৪
নলিনীকান্তরা আসলে
নিঃসঙ্গ। দলছুট হাতির
মতো বিষন্ন ও একা। একা,
একা, একা এবং বোকা। বোকা
মানুষের কোনো দল হয় না।
দল পাকাতে গেলে বুদ্ধি
লাগে। চালাক হতে হয়।
ক্রিমিনাল হতে গেলেও
বুদ্ধি লাগে। নলিনীর
ক্রিমিনাল হওয়ার
মুরোদও নেই। তাই ওর
কোনো দলও নেই।
#
এবং এমনকি সল্ট লেকের
নির্জন রাস্তায় চারটে
স্মার্ট মেয়েও ওকে দেখে
পেছন থেকে সিটি দেয় আর
টোন কাটে।
নলিনীকান্ত-৬
নলিনীকান্ত, সম্ভবত
এতদিনে বুঝেই ফেলেছ যে,
একাকীত্বই হল নিয়তি
তোমার। তাই কি নির্জনে
রোজ গোপন লকার খুলে
কষ্টদের গায়ে আদরের
হাতটি বোলাও? উহাদের
যত্নেই রেখেছ বেশ।
#
বিবাহ কি চিতার আগুনে
বসে তুষারের মতো রুমাল
নাড়ানো? নাকি ওই
জীবনবাবুর মতো বিষন্ন
চাকার দিকে হাঁটা? সেসব
করনি তুমি। সারল্য আসলে
কোনো কাজেই লাগে না, কী
জীবনে, কিংবা কবিতায়।
তুমি কি জানতে না,
অত্যধিক সারল্যকে
আজকাল উহারাও বোকামির
নামে ডেকে থাকে।
#
এবং বোকারা জেনো, কখনই
ডিভোর্স করে না, যতক্ষণ
না তাহাদের ঘরে
ডিভোর্স-লেটার উড়ে
আসে।
ছেলে খেলা
তুমি জানতে ভীড়ের মধ্যে
একা একা
ঠিক হারিয়ে যাব আমি
পৃথিবীর বাজারের এই
গলিঘুঁজি আমার জানা
নেই
পাঁচমাথার মোড় থেকে
কোনদিকে ঘুরলে যে
বাড়ির রাস্তাটা শুয়ে
আছে
তাও নিতান্তই জানা নেই
আমার
#
কোনদিকে লতা বাই-এর
মেহফিল
কোন মোড়ে 'খাম' বিকোয়
অন্ধকারে
কোথায় বটগাছের নীচে ছকু
গুণ্ডার
ভোজালি চকচক করে হেসে
ওঠে
কিছুই, কিছুই জানা নেই
আমার
#
তবুও নিতান্তই খেলার
ছলে
আঙুল ছেড়ে দিলে এই
বিকেল বেলায়
দ্যাখো, এখন জোয়ারের
শ্যাওলার মতো পাক
খাচ্ছি
আর ইছামতী ফুলে ফুলে
অট্টহাসি হাসছে
দশদিকে।