দৃশ্যান্তরে
কতদিন পাশে থাকবে,
নীলাভ আকাশও ক্রমে
নীলান্তরগামী!
যে রাত তোমাকে
ভাবার—তোমার ঘাম, গন্ধ
ও নিশ্বাসের
হাসি ও তামাশার ছলে সে
রাত ভোর হয়
বিদ্যুৎচমকে।
যা কিছু ভঙ্গুর নয়, ভেবে
গেছি অহোরাত্র অটুট
বিশ্বাসে
তাদের অজস্র টুকরো ভাসে
আজ একা, নির্জনতায়...
যে জীবন যেতে পারতো
ঢেউয়ে ভেসে অথবা
ডানায়—
ধূসর ডাকবাক্স তা আজ,
চিঠি আসে চিঠি চলে
যায়...
নিঃসংশয়
যা কিছু গুছিয়ে
এনেছি—তার সব
বৃষ্টিদিন, শীতরাত্রি,
অস্তাচলমুখী।
শেষরাত্রির তারাগুলো
আজ সুসংহত মনে হয়।
আর পিঁপড়েদের সারি।
ভাবা যেতে পারে—
চিরভাসমান মেঘেদের কথা;
এমনকি সেইসব গুঞ্জরণও—
যারা আসে গাছভর্তি
পাতার আড়াল থেকে!
সাপে, সুড়ঙ্গে; ছন্দে,
পতনে ঝিঝিদের হয়ে
এই শহরের শেষ কোনো
গমরঙা তরুণীর শরীরের
বাঁক-ঝোঁকে
ওরা যেন আজ দিনমান
নিঃশব্দে ঘুরছে...
জন্মক্ষত
ফেলে গেছে রাক্ষসও,
কাটছে না কীট,
জানি—সংসারত্ব হবে না
আমার।
পাকা টমেটোর খেত ভেবে
ওরা এসেছিল, সবই বনবাসী
টিয়ে;
ফিরে গেছে।
ক্ষতবিস্তারী এ শরীর,
তুমি তারই একটি ফাটল—
ক্রমে ফুটে উঠছে অপরূপ
অজস্র-শোভায়
ভীত সার্কাসের চিতা।
সাপেরা এড়িয়ে যায়।
হীরার টুকরো ভেবে
অত্যুজ্জ্বল, আরো যাদের
আসার কথা ছিল...