এক গুচ্ছ কবিতা

সারাজাত সৌম

ফুঁ
কোথাও উত্তর নেই।

এমন বেঁচে থাকাই বাঁচব আমি—
ঘুরে ঘুরে সব জায়গায়
ফুটে থাকবে প্রশ্ন!

অথচ কোনো উত্তর নেই।

তুমিও প্রশ্ন! বিশদ প্রশ্ন! অনন্ত প্রশ্ন!

উর্ব্ধে, তোমাকে ধরে মারি যদি টান
শুধু ফুলের গায়ে ফুঁ দিয়ে
যেন কিছু ধুলো সরালাম।

তারপর, একরাতে খুঁজতে থাকব
মদ—পথ—মত, যে কোনো কিছুরই
এটা একটা অবাক চিহ্ন!

তুমি উল্টো শুয়ে থাকো—
আমিও উল্টো পায়ের কথা শুনব।

তুমি কিভাবে এলে!
কতদূর থেকে এলে!
মাধুর্য নিয়ে সংলাপে!

পৃথিবীর সমস্ত ঘরেই আমার তোমার রুমাল
তুমি উড়িয়ে দাও—লাল, সাদা আর কালো


এমনকি আমাকে থামাও—
আমি মিশে যাচ্ছি ধুলোয়, তাকে ফুঁ দাও

দ্যাখো, ছোট্ট বালি আমি—
তোমার চোখের ভেতর
এখনও কেমন যন্ত্রণা দিচ্ছি।


সুরত
আমি মৃত্যুর মতো একা একা হাঁটি—
এবং আমি তোমার সবচেয়ে কাছাকাছি।
যখন ঘুমাতে যাই—
বিশ্বাস হয় না
আবার ফিরবো কিনা!
কোথায় তুমি?

তোমার চোখ—
মাঠে প্রন্তরে, বাতসের সমস্ত আলোচনার ভেতর
কে এমন লুকিয়ে রাখে নিজেকে! তাকে বলো—
আমাকে ছাড়া কোথায় তোমার আল্লাহ?

তাকে ডাকো।

আম্মার ভেতর বানানো মিথ—
আব্বার ভেতর বানানো মিথ—

প্রতিটিদিন ই তো তারা ফসকে ফুরিয়ে যাচ্ছে!

এই আদালতে একটি পাখিরও মুক্তি নেই।

এখানে সকলেই রঙিন বিচিত্রা
মাটি আর গাছ সংলগ্ন ফুলমাত্র
ওহ! বসন্ত—খুব ছোট্ট সময়

আমি হারিয়ে যাই...

কিন্তু কোথায় ফিরি আবার!


এটা কোনো প্রশ্ন নয়—
শুধু তোমার দিকে তাকাই
আর ভাবি, আলো—

আবারও অপেক্ষা।

তাকে ডাকো এখনই—
এবং আমি যার সুরত থেকে পালিয়ে এসে

মানুষের ভেতর ঢুকে গেছি।


ঢিল
এখানে এসো—
আর মিলিয়ে যাও
মুখ, মথেরা আমার

লোহা পুড়ানো হচ্ছে, বাজারে—
কামারের à¦ªà§‡à¦¶à§€â€”à¦¶à¦¿à¦²à§à ¦ª মনে হচ্ছে
দূর থেকে, ঠাণ্ডা বাতাসে
শুধু এই শীতের জন্য।

কে পাঠাচ্ছে?

তুমি সেই রাগি বেড়াল—
লেজ ফুলিয়ে
যেন রোদকে শাসন করছো।

এটা ছোট্ট দিন—
আমি আমার ঘুম ভাঙ্গতে চাই না

তুমি এসো, যমদূত—
এখানে কয়লা পড়ে আছে
ধুয়ে দাও। মগজ—

আর ডেকো না আমাকে।

কি বলতে এসেছিলাম— তার কিছুই বলতে পারিনি
যদিও আমি, ঈশ্বরের ছুঁড়া পাথর

কখনও কখনও হয়তো—
একটুআধটু জ্বলে উঠি কোথাও
অন্য কোথাও—

জানি এর কোনো শর্ত নেই!

তবুও এসো, মিলিয়ে নাও—
আমরা হাঁটতে হাঁটতে
যখন লাফিয়ে উঠবো বাতাসে

দ্যাখো, শেষবারের মতো—
শেষবার বাতি নেভার আগে
যেভাবে জ্বলে উঠে—
হঠাৎ, আলো!
তারপর আমি যাই—
আরও দূরে, আকাশ থেকে ঢিল মারি

আমার চোখের মণি।


বন্ধু
যে আমার মসৃণতার দিকে তাকিয়ে থাকতো
আর বলতো, ওটা আমার—
আমি তোমাকে দিয়েছি
কিছুদিনের জন্য—
আমার ভালোবাসা সরূপ।

যত্ন নিও—খেয়াল রেখো
যেন সময়ের আগে সে নষ্ট না হয়ে যায়।

এবং আমার চোখের উপর চোখ রাখো
দ্যাখো—
কিভাবে পরিবর্তন হচ্ছি—
তোমার ভেতর!

একটা আলো ছড়িয়ে পড়ার মতো
এবং তা নিভে যাওয়ার জন্যই।

যদিও সে বিশাল অন্ধকার—
তুমি আমি একসাথে—
মাংস আর হৃদয়
গোর পর্যন্ত হেঁটে যাচ্ছি আমরা

কিন্তু কেউ কাউকেই ছেড়ে যাচ্ছি না কোথাও!