অভিসার
তোমার গান শুনি...
দীর্ঘ অন্ধকার পেরিয়ে
প্রায় ভোরের মতো
ওই সুর জেগে থাকে
কিন্নর কান্নায়
মুক্তিকামী যারা,
মিছিলে মিছিলে
মিলনমগ্ন
প্রভু বুদ্ধের ব্যাকুল
ধ্যানে মগ্ন যারা,
রতিহত
তাদের চোখে গৃহবন্দী
তুমি।...
তোমাকে কণ্ঠস্থ করেছি
স্বপ্নে,
রাসপূর্ণিমায়,
দোলের আবীর শরীরে
মেখেছি শ্যাম
চেয়েছি স্পর্শ কলঙ্কের
অবসরে।...
ক্ষমা
তোমার শরীরে ক্ষমা, আমি
তাহা চাই
বিনয়ী বেড়ালের মতো অলস
ভঙ্গিমা
পাবো কোথায় আর?
হিংস্রতা ভুলে যাই
স্পর্শ পেলে তার
যেন শীতল নদী
এক—জালছেঁড়া
সারসীর দেহ থেকে মিশে
যায় পঞ্চশরী ঘ্রাণ
কত অবলীলায় হেসে ওঠো,
বাড়িয়েছ হাত
ওই সুর সন্ধ্যার মতো
রক্তে মিশে গেছে
দেবদারুর ক্লান্তিজড়
এই শহরে নিস্তার নাই
এতো এতো চোখ দিয়ে কী
করবো আমি
দেখার মতো দৃশ্য কই—
সুবর্ণ ঠোঁটে তার দোলের
আবীর
যেন প্রজাপতি, ঘাসফুল ও
হরিণের মিথ ...
বিষ
মধুতে ধরা বিষ, সেই বিষ
পান করি মধু ছেঁকে
ছেঁকে
মোমের মতো গলে যায় দেহ,
হৃদয়ের ছায়াপথ
কুষ্ঠ লেগে আছে চামড়ায়,
শিরায় শিরায় নীল উপমা
কণ্ঠ ধরে নেমে গেছে
ক্রুদ্ধ নিরব, তরল
বিবসন