একা একা
একা একা ঘুমের ভিতর
নদীর কিনার ধরে হেঁটে
যেতে যেতে
যদি মনে আসে
পাশ ফেরা মুখের গোধূলি
যদি তখনও পাড়ভাঙা
শব্দের গভীরে
নাম ধরে কেউ ডেকে ওঠে
চুলের খোঁপা খুলে পড়া
ঢেউয়ের মতো
কেউ যদি সত্যিই মনের
কোণে
ভেসে ওঠে সহসাই
তখনও কি রোদ ছায়ার
অন্তরালে
মনমরা বিকালের আলো
দূর থেকে আবারো
চোখাচোখির ভাষা থেকে
খুলে নিবে আমাদের মায়ার
আয়াত!
বৃষ্টি ভেজা
গাছ
কেউ আর অপেক্ষায় নেই
এখন নীরবতার গভীরে
লুকিয়ে ফেলো ক্রোধ
লুকিয়ে রাখো ক্লাউনের
দমকা হাসি
ধীরে ধীরে সঙ্গোপনে
মুখোশের ছায়া থেকে
সরিয়ে রাখো সম্ভ্রম
দেখো অনুভবে দেয়াল
চিত্রের
অবলুপ্ত নদী
দেখো নিজস্ব চিন্তার
কাঠখোদাইয়ে ছুটন্ত
হরিণ
ফিরে আসার পর
সে ফিরে এসেছে যার
চোখের ভিতর
গুম হয়ে আছে মহাকাল।
তার সমস্ত প্রান্তর
প্রদেশ ঘুরে দেখেছি
ঘুরে ঘুরে দেখেছি
উত্তপ্ত ফলের ভারে নুয়ে
পড়া গাছগুলি
প্রাচীন ধসে পড়া
দেয়ালের পাশে—
গজিয়ে উঠেছে ঘাসের
জঙ্গল
বেলা শেষের আলোয় তার
গাঘেঁষে
ফুটেছিল পদ্মকুসুম—
ছুঁয়েছি তার গভীর
মগ্নরঙও।
লালমরিচের রক্তমুখের
মতো
এইসব স্মৃতি—
পাকা ধানের রঙে
জড়াজড়ি করে মিশেছে
ডাঙায়।