সর্বনাম থেকে তুলে
দিচ্ছি সাক্ষাৎকার...
#
ঘন বয়স
উসকোখুসকো অস্তিত্ব
নিয়ে আসে
আলাভোলা দিন
তারপর নরম ছুটি
রোদের উপসর্গ
বিভ্রান্ত বিছানা
নিয়ে
মাঝ রাত্তির উঠে
পড়ে
অর্থদায়ক কোনো
চিহ্ন সন্দেহ করে না
বালিশ
টানাপোড়েনের
চাদর
দুঃখিত চৌকাঠ
অমীমাংসিত রাখে
যাতায়াত
##
মানুষ বড় ফ্যাকাসে।
অনেকদিন পর দেখা ঠোঁট
চেটে চেটে যেন সম্ভোদন
ভুলে গেছে। যেন মাংসের
দোকানে জীবিতের কথা
ভাবছে। যেন দাহর পরেও
অতিরিক্ত চিতাকাঠ নিয়ে
দাঁড়িয়ে। দক্ষতা
হারিয়ে ফেলছে
প্রস্তুতির সূত্র।
অজানা পাঠক্রম নিয়ে
শ্রেণীকক্ষের বাইরে।
যুক্তি মেরামত হচ্ছে।
সময় সেচ্ছাসেবকের মতো
বটি, কেটে যাচ্ছে।
যেকোনো ভূমিকার
অস্তিত্ব লোপাট হচ্ছে
ক্রমশ। মানুষ বেঁটে হয়ে
পড়ছে।
#
আর কতটা নিরপেক্ষ রাখা
যায় নিজেকে! ভুলে যাই
কোথায় কোথায় লাইন দিতে
হবে। পরিবাহক কে? কোথা
থেকে নিয়ে আসে আমাকে?
কোথায় ফেলে দেয়ে? কোনো
যোগ্য প্রশ্ন নেই, তাই
কান প্রত্যুত্তর পায়
না। থলে থেকে ফুটো হয়ে
গেছে বাজার। পাত থেকে
পাতে অপরিষ্কার খাদ্য।
কঙ্কাল পুষে রাখছে সবাই
পাকস্থলী মেনে। চামচে
চামচে বেড়ে যাচ্ছে হাঁ
বিপজ্জনক পদ্ধতিতে।
চুমুক শব্দে কবুল
আত্মীয় স্বজন। মানুষ বড়
নির্দিষ্ট। নির্দিষ্ট
তার সর্বনাশগুলোও…
#
ডবল ডেকার-এ ছেলেবেলার
সিট হর্ন ভেঙে আসছে।
সেই ছোটো ছোটো দেখার
জানলা। পা দানি পেরলেই
দেখা যায়না যতটা দূর,
তার থেকেও দূরে একা।
সন্ধ্যের আগে সন্ধ্যে
পর্যন্ত অপেক্ষা করি
কোনো সহযাত্রীর।
আমাদের যাত্রার কি আদৌ
কোনো বাস্তবতা আছে!!!
আপাতত সবাই নিরুদ্দেশ।
ঘর হয়ে আর ফিরে আসে না
কেউ।
#
ব্রহ্মান্ডের
বিষক্রিয়া। মুক্তির
দৈর্ঘ্য মাপা। সংশয়ের
ভাগ্য চারিদিকে।
পৃথিবী খুন হয়েছে
আরেকটা পৃথিবীতে।
কোথাও কোনো
প্রতিশ্রুতি নেই।
লুকিয়ে আছে প্রত্যেকে
চামড়ার নিচে। মাকড়সার
ডানা তৈরি হচ্ছে গোপনে।
লালায় লালায় জড়িয়ে পড়ছে
সুড়ঙ্গ আর সংক্রামিত
হচ্ছে ঠোঁট। তবু, আমি
ততক্ষণ ঠোঁটে ঠোঁট রাখব
যতক্ষণ না বাতাস পবিত্র
হবে আর বিশ্বাস করব
আমাদের কোনো অভিসন্ধি
ছিলো না। অজস্র
পোকামাকড় প্রসব বেদনায়
ছটফট করবে। আমার
প্রকৃতি থেকে উল্লাস
করবে বাদুড়েরা। ঘিরে
থাকবে মাতৃসদন। শ্মশান
থেকে ছড়িয়ে যাবে চুমু।
#
শেষাংশের বিজ্ঞাপন
ঝুলছে সর্বত্র। তাই,
আমি থেকে আমি কথা বলা
বন্ধ করে দিয়েছি...