সামগান
এই প্রলম্বিত সময়
শ্বাসের দূরত্বে পুড়ছে
দিনরাত
গোপন ঘরের দেয়ালে
কয়লা ঘষে কেউ লিখে
রাখছে সামগান
কাকের তারানা গলে
বিষন্ন ভোর শুয়ে থাকে
ছাদের কার্ণিশে
এখন মানুষ শুধুই
নিষ্পাপ
নখর-দন্ত-আচড় ঘুমিয়েছে
ক্লান্তি নিয়ে
আচমকা কথা কয়ে ওঠা কিছু
গাছ বললো-
ঝড়ের ভেতর গাইতে পারাটা
সাহসের।
খণ্ড ঘুম
খণ্ড ঘুমে চেপে চলে আসি
মৃতের দুনিয়ায়
ক্ষীণ শ্বাসের থেকেও
দুর্লভ আনাগোনায়।
কয়েক জোড়া পরিত্যক্ত
ডানার কথা শুনি
দেখি শাণিত চোখের তলে
বেসুমার ছায়াবাজি;
উড়ন্ত ফড়িঙের শোক!
আহত বাঘের থেকেও
হিংস্র-অসহায় সময়,
ঘাপটি দিয়ে পড়ে আছে
ঘরের ভেতর।
যেন দূরের জঙ্গলে সে
ফেলে এসেছে ছানা…
আমি তার গ্রীবা তুলে
ধরি;
তার শীতল চাহনি বেয়ে
মগজে নেমে আসে হীম।
শাপ
শ্বাপদসংকুল এই শহরে
বিউগল বাজিয়ে কোন
রাত্রি নামেনি
তবু শ্বেতাক্ষীর ডানায়
ঈষৎ ভোর!
শহরত্যাগী পদচিহ্নে
জমেছে গতবর্ষার জল
তছনছ জলের শরীরে নিটোল
নদী খোঁজে কারা!
তারা ফিরে যাক্;
ফিরে যাক্ নিজস্ব
নৈরাজ্যে; ঋতুহীন।
তারা পাবে রক্তাক্ত
বনভূমি; জলের পক্ষ থেকে
তৃষ্ণা
আহত কুকুরের কান্নার
থেকেও ভয়ার্ত রাত্রি।