*
ঝরে যেতে থাকে একা একা।
পড়ে থাকে তুচ্ছ ফল। তার
অহংকারের ভেতর, বাজে
গান। সুরহীন, তালহীন,
ফুলহীন, শস্যহীন; তবুও
গান। নাম মুছে দিচ্ছে
কেউ, সুর মুছে দিচ্ছে
কেউ, তাল মুছে দিচ্ছে
কেউ। একা একা ঝরে যেতে
থাকে। পড়ে থাকে তুচ্ছ
ফল, কেবল গান হয়ে। হ্যাঁ,
কেবল গান হয়ে। আসো, তুলে
নিয়ে যাও। তোমাদের যত
বান্দিশ প্রসূতিদের
সেবায় এস্রাজের ভেতর
নিজেকে ঢেলে দিচ্ছে,
তার চোখ ঢেকে দিয়ে যাও।
অন্ধ; যুধিষ্টিরের
উত্তরাধিকারের ভেতর
রোপন করে রাখি গত পরশুর
সন্ধ্যা। তার ভেতর
অজস্র আয়াত ভেসে আসছে
সুর হয়ে। খোঁজে ফিরছে
গান, কেবলই গান। সুরহীন,
তালহীন, ফুলহীন,
শস্যহীন।
*
শস্যহীন এই মাঠে, খোঁজে
ফিরছি রেডিও। মাটির
ভেতর থেকে যে মাথা তুলে
দাঁড়াবে। আমাদের
শোনাবে ছায়াছন্দ
পরবর্তী গান। তাকে মনে
পড়ে, বীনার তারে যে ঝুলে
গিয়েছিলো গতকাল। তখনও
তোমার ভেতর কেউ রোপণ
করছিল অনাগত
ধনুর্বিদ্যা। প্রাপ্ত
বয়স্ক ফলের দিকে যারা
ছুঁড়ে দিয়েছিলে অপার
বর্ষা। বিষ মাখানো তীর।
হ্যাঁ সেই তীর, তখনো
লালার ভেতর, রক্তের
ভেতর বয়ে যাচ্ছিল
অসুখের দিকে। আবার
কখনোবা আহত যৌনতার দিকে
এগিয়ে দিচ্ছিল অসতীদের
হাসি ও ক্রুরতা।
*
ক্রুর সেই হাসি ছুরির
ভেতর গেঁথে চলে গেছ।
পথে পথে ফেলে গেছে সাদা
পথচিহ্ন। অচেনা কোন
সন্তুর বাদকের প্রতি
তোমাদের ঈর্ষা মনে আছে।
হাত পেতে যারা কেড়ে
নিয়েছিলে শিশুদের
খাবার ও প্রসূতিদের
কান্না। তাই নিয়ে
তোমাদের এই জ্যাজ। যেন
কেটে কেটে ছড়িয়ে রাখা
অজস্র শরীর। তার ভেতর
থেকে যেন জেগে উঠছে
ঘুমন্ত টারবাইন, দিবস
শেষের গান। এবার ফিরিয়ে
দাও তবে ভুলে যাওয়া
ধনুর্বিদ্যা। আহত ফলের
বুকে ছুঁড়ে দিবে কি আরো
একটি বর্ষা?