গন্তব্যগাথা
স্তব্ধতার দিকে ধীরে
চলা ছাড়া পদক্ষেপ
নেই মনে হয়।
ভ্রমই দিব্য
উন্মাদনা।
স্খলনের অনুপম ধাঁধা।
বাঁধা ও ধরার মতো কিছু
কোথাও ছিল না,
কোনওদিন।
রঙিন মাছেরা জলে খেলা
করে
মিথ্যের রঙিন।
একটু একটু করে ভাঙে
পলেস্তারা সব
খসে যায় সব অনুভব।
লতানে ফুলের মতো ফুটে
থাকে একাকী চেতনা।
সরে যায় কামনার বাধা।
স্তব্ধতার নিচে আরও
স্তব্ধতার অনিবার্য
দিন
খুঁজে পায় অন্তহীন
ঘুমের সময়।
অনর্থযাত্রা
অর্থ চির অজানা আপদ
শিস দেয়, নিশিরাতে
ডাকে।
সাড়া দিলে নিয়ে চলে
লোকোত্তরে, খাদে।
কাটামুণ্ডু নাচে আর
ধড়ফড় করে উঠে থেমে যায়
ধড়।
ঢুকে পড়ি অর্থের ভিতর।
খাঁড়া ও খাঁড়াই বেয়ে
মধুলোভী পিঁপড়ের মতোন
বেয়ে বেয়ে উঠে দেখি
খাঁড়ির পতন।
গড়াতে গড়াতে যাই। অতঃপর
থামি।
পোড়াতেলে ভাজা ডুমো
বেগুনের কোয়ার মতোন
মুখপোড়া চাঁদ, ডাকে
অর্থের মৃত্যুর থেকে
অনর্থের দিকে একা ভেসে
চলে মন।
অনুভব
নদীর ভিতরে একা নিজেকে
ছেড়েছি
সময় নদীর প্রিয় নাম।
উন্মাদনা ঘোর থেকে তুলে
আনি ঢেউ।
ক্বচিৎ স্বরের মতো জল
ফুটে থাকে বিন্দুবৎ
ফেনার রুপালি।
যেতে যেতে মনে হয় অজানা
সফর
এই ঘর।এই নিঃস্ব একার
শহর,আর গান
শূন্যতা - বাগান থেকে
বাতাসের শ্বাস ভাসে
ঘন।
রেণুর আড়াল এই
স্তব্ধতাপাথর থেকে
মনে
মৃত্যুর ভিতরে মৃদু
ঘাম ঝরে মৃত্যুহীন
স্বপ্ন-ঘুম - বনে।
পরিসর
পূর্ব বা পশ্চিম,সবই,
উত্তর, দক্ষিণ
সব
গল্পগাথা,ভ্রম,ভ্রষ্ট,
ভাঁড়ের রচনা।
একা। নিত্য দিকহীন।
স্থানাঙ্করহিত এই
ন্যুব্জ আনাগোনা।
শুধু হাওয়া আর যাওয়া
অতল তলের ক্ষীণ
স্তব্ধতায় স্তব্ধতাকে
শোনা।