রিয়াদ
ষà§à¦Ÿà§‹à¦° গলির
ঠিক মাথায়
দাà¦à§œà¦¿à§Ÿà§‡à¥¤
গলির
à¦à¦•à¦ªà¦¾à¦¶à§‡
বিà¦à¦¨à¦ªà¦¿
আমলে তৈরি
বসিতà§à¦®
অনà§à¦¯à¦ªà¦¾à¦¶à§‡
বিহারী
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà¥¤
হামিদা
বেগম রোজ
সকালে
রিয়াদ
ষà§à¦Ÿà§‹à¦°à§‡ à¦à¦¸à§‡
বসে থাকে।
রিয়াদ
ষà§à¦Ÿà§‹à¦°à§‡à¦°
মলিক সেও
রোজ সকালে
আসে, গায়ে
খয়েরি
পাঞà§à¦œà¦¾à¦¬à¦¿,
চোখে সà§à¦°à¦®à¦¾,
লà§à¦™à§à¦—িটা
হাà¦à¦Ÿà§à¦°
à¦à¦•à¦Ÿà§ নিচ
দিয়ে গেছে।
রিয়াদ
ষà§à¦Ÿà§‹à¦°à§‡à¦°
লমà§à¦¬à¦¾ পাকা
সিà¦à§œà¦¿à¥¤
হামিদা
বেগম
সিà¦à§œà¦¿à¦°
à¦à¦•à¦ªà¦¾à¦¶à§‡ বসে
থাকে।
দোকানে আরও
লোক আসে,
ছোট
ছেলে-মেয়ের
া আসে
আইসকà§à¦°à¦¿à¦®
কিনতে, লেমন,
কাপ
আইসকà§à¦°à¦¿à¦®,
পেসতà§à¦®à¦¾,
চকলেট-কতরক
¦® আইসকà§à¦°à¦¿à¦®
যে বের
হইছে, তার
হিসাব নাই।
হামিদা
বেগম à¦à¦¾à¦¬à§‡
আর দেখে,
তার দেশ
বিহারে
à¦à¦®à¦¨à¦¸à¦¬
আইসকà§à¦°à¦¿à¦®
ছিল না।
à¦à¦•à¦Ÿà¦¾
আইসকà§à¦°à¦¿à¦®à¦“à
§Ÿà¦¾à¦²à¦¾ আসতো
শেখের
গলিতে।
বৌ-বাচà§à¦šà¦¾à¦°à¦
à¦à¦¿à§œ করে
বাটিতে
কà§à¦²à¦«à¦¿ বরফ
খেত।
হামিদা
বেগম à¦à¦¾à¦¬à§‡
আর দেখে
দেশ কà§à¦¯à¦¾à¦®à¦¨
কà§à¦¯à¦¾à¦®à¦¨
কইরা
বদলাইয়া
গেল। রায়টে
কত লোক মরল,
কত লোক
বাà¦à¦šà¦² তার
ইয়তà§à¦¤à¦¾
নাই।
à¦à¦‡à¦¦à¦¿à¦•à§‡, ওই
দিকে কত
লোক চলে
গেল, হামিদা
বেগমও বাপ
আর ছোট
চাচার হাত
ধইরা
পাকিসà§à¦¤à¦¾à¦¨à§
চইলা আসল।
তখন কি গরম
দেশ,
চারদিকে
মরণের à¦à§Ÿà¥¤
বাপ কইল à¦à¦‡
দেশ আমাগো,
আমরা
à¦à¦‡à¦–ানে
থাকব। কেউ
আমাদের
সরাতে
পারবে না।
মà§à¦¸à¦²à¦®à¦¾à¦¨
মà§à¦¸à¦²à¦®à¦¾à¦¨
à¦à¦¾à¦‡ à¦à¦¾à¦‡à¥¤
অনেকদিন
à¦à¦¾à¦²à¦‡ কাটল,
বাপ
মিরপà§à¦°à§‡
জরির দোকান
দিল।
হামিদা
সারাদিন
চà§à¦®à¦•à¦¿ নিয়ে
খেলা করে,
পà§à¦¤à§à¦²à§‡à¦°
গায়ে চà§à¦®à¦•à¦¿
বসায়। আরও
কত মানà§à¦·
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡
গিজগিজ
পরিবেশ তাও
হামিদার
à¦à¦¾à¦² লাগত।
গলিতে
ঢোকার মà§à¦–ে
ময়লার
সà§à¦¤à§‚প।
সারা
দà§à¦¨à¦¿à§Ÿà¦¾à¦°
লোক মনে হয়
গলির মধà§à¦¯à§‡
হানদাইতে
চায়। ঘরে
হামিদার
বাপ ছোটà§à¦Ÿ
à¦à¦•à¦Ÿà¦¾
পাতিলে à¦à¦¾à¦¤
রানত আর
কলিজা à¦à§à¦¨à¦¾
করত। বাবার
à¦à¦• খায়েশ
পà§à¦°à¦¤à§à¦¯à§‡à¦•
ওয়াকà§à¦¤à§‡
কলিজা পাতে
পরন চাই।
হামিদার
কলিজার
গনà§à¦§ সহà§à¦¯
হত না, à¦à¦•à¦Ÿà§
ডিম à¦à¦¾à¦œà¦¿
করে à¦à¦¾à¦¤ খেত
না হলে আলà§
à¦à¦°à§à¦¤à¦¾à¥¤
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¦°
আমিরা আর
গওহরের
সাথে
হামিদার
অনেক
বনà§à¦§à§à¦¤à§à¦¬à¥¤
আমিরা আর
গওহরের
সাথে কত
খেলা যে
খেলল
হামিদা
বেগম,
বেশà§à¦®à¦¾à¦°à¥¤
সেই খেলাও
à¦à¦•à¦¦à¦¿à¦¨ শেষ
হল আবার
দাঙà§à¦—া
লাগল, যà§à¦¦à§à¦§
লাগল। বাপ
হামিদাকে
কোথায়
লà§à¦•à¦¾à¦¬à§‡
à¦à§‡à¦¬à§‡ পায়
না। শেষে
কচà§à¦•à§à¦·à§‡à¦¤à§‡
à¦à¦• বাঙালি
বাড়িতে
হামিদারা
আশà§à¦°à§Ÿ পেল।
সারাদিন
à¦à¦¾à¦¤ আর ডাল
রানà§à¦¨à¦¾à¥¤
ডেকচি
ডেকচি à¦à¦¾à¦¤
আর ডাল
রানà§à¦¨à¦¾ হত।
রাতে সব
মà§à¦•à§à¦¤à¦¿à¦°à¦¾
আসতো, সবার
হাতে কত
যনà§à¦¤à§à¦°;
হামিদা
অবাক হয়ে
দেখত, à¦à¦‡à¦¸à¦¬
দিয়ে মানà§à¦·
মারা হয়।
হামিদার
বà§à¦•à¦Ÿà¦¾ à¦à§‡à¦™à§‡
যেত। কেন
মারে? কাকে
মারে? আহা
বাপজান,
গওহর, আমিরা
সব কোথায়?
বà§à¦•à§‡à¦°
à¦à§‡à¦¤à¦°à¦Ÿà¦¾
মোচড় দিয়ে
উঠত। যখন
বোমà§à¦¬à¦¿à¦‚ হত
সবাই
টà§à¦°à§‡à¦žà§à¦šà§‡à¦°
নিচে চলে
যেত।
যà§à¦¦à§à¦§à¦Ÿà¦¾
যেন চোখের
পলকে ঘটে
গেল। রাতে
ঘরে থাকা
যেত না, সবাই
পাশের
কবরসà§à¦¥à¦¾à¦¨à§‡
গিয়ে রাত
কাটাত।
সারারাত
ফায়ারিং à¦à¦°
শবà§à¦¦à¥¤
দà§à¦°à§à¦®,
দà§à¦°à§à¦®à¥¤
চোখের পাতা
à¦à¦• করা যেত
না। বড়
রাসà§à¦¤à¦¾à§Ÿ
টà§à¦¯à¦¾à¦™à§à¦•
যাওয়ার
শবà§à¦¦ শোনা
যেত। সবাই
à¦à¦•à¦¦à¦® মরার
মতো পড়ে
থাকত। না
মরেও সব যেন
à¦à¦• à¦à¦•à¦Ÿà¦¾
জিনà§à¦¦à¦¾
লাশ। পà§à¦°à¦¾
যà§à¦¦à§à¦§à§‡à¦°
সময়টা à¦à¦®à¦¨
কাটল। মাà¦à§‡
মাà¦à§‡
হামিদার
মনে হত
à¦à¦‡à¦¯à§à¦¦à§à¦§ আর
কোনোদিন
শেষ হবে না।
সব মানà§à¦·
যেদিন মইরা
যাবে, ওইদিন
শেষ হবে
হায়েনাদের
খেলা।
রকà§à¦¤à§‡à¦°
মধà§à¦¯à§‡
গড়াগড়ি
খেতে খেতে
সবাই যেন à¦à¦•
à¦à¦•à¦Ÿà¦¾ নমরà§à¦¦
হয়à§à¦¯à¦¾
গেছে।
যà§à¦¦à§à¦§à¦“ শেষ
হল,
পাকিসà§à¦¤à¦¾à¦¨
à¦à§‡à¦™à§‡
দà§-টà§à¦•à¦°à¦¾
হয়ে গেল।
হামিদার
বাবা à§à§¨
সালের
জানà§à¦¯à¦¾à¦°à¦¿
মাসে
হামিদাকে
নিতে আসল।
হামিদার
বাবার সেকি
চেহারা,
তাকানো যায়
না, যà§à¦¯à¦¾à¦¨à§‹
à¦à¦•à¦Ÿà¦¾
জà§à¦¬à¦²à¦¨à§à¦¤
আগà§à¦¨à§‡à¦°
গোলা,
চোখে-মà§à¦–ে
আকà§à¦°à§‹à¦¶,
বাঙালিদের
হাতে
পরাজয়ের
কষà§à¦Ÿ,
যনà§à¦¤à§à¦°à¦£à¦¾à¥¤
হামিদা
বলবল ,
বাপজান
আপনি রাগ
করেন কেন?
আমরাতো
আমাদের
দেশেই আছি।
à¦à¦¦à§‡à¦¶ থন
কেউতো
আমাগো বাইর
করব না। বাপ
চোখ লাল করে
মেয়ের দিকে
তাকিয়ে
থাকে। মà§à¦–ে
কোনো শবà§à¦¦
নাই। কয়েক
বছর খà§à¦¬
দমবদà§à¦§
অবসà§à¦¥à¦¾à§Ÿ
কাটল। রাতে
হামিদার
বাবা চোখের
পাতা à¦à¦• করত
না। কিসের
যেন à¦à§Ÿà¥¤ কেউ
কাউকে
বিশà§à¦¬à¦¾à¦¸
করতে পারত
না।
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¦°
মানà§à¦·à¦°à¦¾à¦“
অচেনা হয়ে
গেল।
যà§à¦¦à§à¦§à§‡à¦°
কয়েক বছর পর
হামিদার
বিয়ে হল
তেজগাà¦
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¦°
জহির বখশের
ছেলে
ফারà§à¦•à§‡à¦°
সাথে, বয়স
à¦à¦•à¦Ÿà§ বেশি,
কিনà§à¦¤à§
মানà§à¦· খà§à¦¬
à¦à¦¾à¦²à¥¤
হামিদারও
বিশ পার
হইয়া গেছে।
ফারà§à¦•
হামিদার
চà§à¦²à§‡ জরি
মাখাইয়া
দিত, সারা
মà§à¦–ে-ঠোà¦à¦Ÿà§‡,
জামায়।
হামিদা
ফারà§à¦•à§‡à¦°
সাথে
মিরপà§à¦° ১১
নমà§à¦¬à¦°
সà§à¦Ÿà§à¦°à¦¾à¦¨à§à¦¡à§
ড
পাকিসà§à¦¤à¦¾à¦¨à¦
দের
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡
ঘর পেল,
ফারà§à¦•
সà§à¦¤à¦¾à¦°
দোকান দিল।
ঘরে বসে
হামিদা
শাড়িতে,
জামায়
চà§à¦®à¦•à¦¿à¦° কাজ
করে। কত কাজ
করল হামিদা
বেগম।
শাড়িতে
ময়ূর, সাপ,
বন-জঙà§à¦—ল,
নদী, পাহাড়।
à¦à¦‡ দেশ, ওই
দেশ। রিয়াদ
ষà§à¦Ÿà§‹à¦°à§‡à¦°
পাশেই
হামিদার
সà§à¦¬à¦¾à¦®à§€à¦°
সà§à¦¤à¦¾à¦°
দোকান ছিল।
ছেলেমেয়ে
কিছৠহল না
হামিদা-জহিà¦
ের সংসারে।
জহির অনেক
চিকিৎসা
করালো।
ডাকà§à¦¤à¦¾à¦°,
কবিরাজ ফেল
করল। à¦à¦•à¦Ÿà¦¾
ছেলেকে
রাসà§à¦¤à¦¾
থেকে
কà§à§œà¦¿à§Ÿà§‡ বড়
করল হামিদা
বেগম। বছর
১২ হলে সে
ছেলেও
কোথায় যে
চলে গেল
কেউ খোà¦à¦œ
দিতে পারলা
না। সেই
ছেলের
খোà¦à¦œà§‡
হামিদা
উনà§à¦®à¦¾à¦¦à§‡à¦°
মতো হয়ে
গেল। নিজের
দেশ ছেড়ে
নতà§à¦¨ দেশে
à¦à¦¸à§‡à¦“ à¦à¦¤
কষà§à¦Ÿ হয় নাই
কিনà§à¦¤à§
কষà§à¦Ÿà§‡à¦° শেষ
অনেক সময় হয়
না।
হামিদার
সà§à¦¬à¦¾à¦®à§€à¦“
বà§à¦•à§‡ বà§à¦¯à¦¥à¦¾
হয়ে
তিনদিনের
মাথায় মরে
গেল। বাপও
মরল পরের
বছর। ঘরটা
আছে
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¥¤
তা নিয়েও
নানা
কাড়াকাড়ি।
হামিদা
বেগম à¦à¦–ন
চোখে à¦à¦¾à¦²
দেখে না,
হাতে করে
জরি, চà§à¦®à¦•à¦¿,
সà§à¦¤à¦¾ à¦à¦—à§à¦²à§‹
বিকà§à¦°à¦¿
করে।
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¦°
ছোট ছোট
মেয়েরা
অনেকে
সেলাই
শিখতে আসে
তাদেরকে সে
কোরআন শরীফ
পড়তে
শেখায়।
খà§à¦¶à¦¿ হয়ে যে
যা দেয় তাতে
কোনো-রকমে
দিন কাটে কি
কাটে না।
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¦°
লোকজনও
কেমন যেন
বদলে গেছে,
কেউ কারো
না, শà§à¦§à§
à¦à¦¾à¦¬à§‡ à¦à¦•à¦¦à¦¿à¦¨
তারা
পাকিসà§à¦¤à¦¾à¦¨
চলে যাবে।
à¦à¦‡ à¦à¦•à¦Ÿà¦¾à¦‡
চিনà§à¦¤à¦¾
নিয়ে তারা
থাকে।
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¦°
অফিসে বসে
সà§à¦¬à¦ªà§à¦¨
দেখে আর
à¦à¦¾à¦¬à§‡ তাদের
সোনার
পাকিসà§à¦¤à¦¾à¦¨
আলোতে à¦à¦²à¦®à¦²
করছে; কত
খানা-দানা,
আখরোট,
পেসà§à¦¤à¦¾,
বাদাম,
লাডà§à¦¡à§à¥¤
সবাই খালি
যাওয়ার কথা
বলে কিনà§à¦¤à§
হামিদা
বেগম কোথাও
যাবে না, à¦à¦‡
ঘিনঘিনা
গলির
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà¦‡
তার কাছে
অনেক বেশি
দেশ। দেশ
কয়টা হয়
মানà§à¦·à§‡à¦°?
কতবার সেই
দেশ বদলায়?
কে বানায় à¦à¦‡
নিয়ম? কেন
সেই নিয়ম
মানতে হবে?
হামিদা
বেগম
সারারাত
ঘà§à¦®à¦¾à§Ÿ না,
চিৎকার করে
বলে, কারো
নিয়ম মানি
না। যার যা
মনে হবে তাই
মানতে হবে?
আমরা মানà§à¦·
না? আমরা
কিছৠকইতে
পারব না?
কারো কথা
মানি না,
কারো দেশ
মানি না।
যেইখানে
ইচà§à¦›à¦¾ থাকব,
মইরা যাব
তাও কারো
পিছে ঘà§à¦°à¦¬
না। হামিদা
বেগম
সারারাত
সà§à¦Ÿà§à¦°à¦¾à¦¨à§à¦¡à§
ড
পাকিসà§à¦¤à¦¾à¦¨à¦
দের
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡
চিৎকার
করতে থাকে।
তার চিৎকার
গলির মোড়ের
রিয়াদ
ষà§à¦Ÿà§‹à¦°
থেকেও শোনা
যায়। যà§à¦¬à¦•
ছেলেরা
সিà¦à§œà¦¿à¦¤à§‡
বসে
সিগারেট-গাà
¦œà¦¾ খায় আর
বলে বà§à§œà¦¿à¦Ÿà¦¾
à¦à¦–নও আছে?
মরে নাই?
সেই কবে
শà§à¦¨à¦›à¦¿
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡
আসছে? ওর
বয়স
কà§à¦¯à¦¾à¦®à§à¦ªà§‡à¦°
বয়সের
থেকেও
বেশি। মরণ
নাই বà§à§œà¦¿à¦°à¥¤