গড়িয়ে পড়ছে রক্ত; গাছের
হৃদয় থেকে টুপটাপ
শ্বেতকণিকার দিন
#
ঊর্ধ্বমুখ ক্ষতরেখা।
পিতামহ শরের শয্যায়
#
এই কি শুশ্রূষা তবে;
হানছো কুঠার এ-বল্কলে
বর্মহীন পাঠিয়েছ সমরে
ঝঞ্ঝায় তাকে অবিরত
এ কেমন ষড়যন্ত্র ঘুণ
লাগা স্বপ্নগাছে
বিদ্যুৎ-আরক
ঢেলে ঢেলে পুড়িয়েছ
স্নেহের পুত্তলী তুমি
তার
মারী ও হত্যার দিন।
কেড়ে নাও কবচ-কুণ্ডল
#
এই মুখ ঘাতকের এই মনে
চতুর শৃগাল
গর্তের ভেতর থেকে উঁকি
দিচ্ছে লকলকে জিভ
বণিকের ছলাকলা গিলে খায়
ধবল মনন
#
কোথায় লুকাবে মুখ, এ এক
আয়নালেখা ঘর
সারাদিন ঘুরে চলে
যাঁতাকল
#
ভ্রমের বাগানে ছিল
সুখপোকা
#
এই হাতে টুঁটি টিপে
এহাতেই সেরেছ
পিতৃতর্পণ
গূঢ় অভিনেতা তুমি;
জারিয়ে তুলছ সেঁকোবিষ
ধন্য এ মনুষ্যজন্ম তুমি
এক আজব স্পিসিস
#
বিচ্ছেদের দিনে
ব্যাঘ্রশাবকেরও চোখে
আসে জল
#
সময়ে রয়েছে কত কালশিটে
দাগ
#
ডুব দাও, দেখো এই মা
পাখিকে
দেখো এই পাখির বাসায়
কতো ওম
#
তুমিও তো ভেসে ছিলে
কী অপার অন্ধকারে কী
আদিম সেই গর্ভস্রোতে
#
কুয়াশার দিনরাত। মগজের
কোষে কোষে কীট
রসদ গোছাও শুধু হীন
ব্যক্তিগত
#
এসকলই রক্তপাত; ভুল করে
ফেলে আসা ছাতা
ছিন্নমস্তার মতন
কাঁপছে বসুধা দিনরাত
ফসল পড়ছে ঝরে অবিরাম
#
ব্যাধি ও বিভ্রমকালে
বিনিময় বলে কিছু নেই
#
এসো বসো এইখানে; তাকাও
গভীর এই ক্ষতে
ঢালো জল মায়াবৃক্ষে।
গল্প বলো ফল ও বীজের