সারল্যের খোঁজে
সারল্যের খোঁজে আমি
ছুটে গেছি অন্ধকার রঙের
গুদামে
পেটি থেকে লাফ দিয়ে
বেরিয়ে এসেছে লাল নীল
ইঁদুরের উড্ডীন সংসার
পেছনে পাহাড়শীর্ষ লেহন
করেছে মেঘ, সারল্যের
খোঁজে তবু আমি
গিয়েছি নগরনাট্যে, পোড়ো
নীলকুঠি থেকে তুলে আনতে
বিলিতি শ্যামচাঁদ
মদনভস্মের রাতে গিয়েছি
কুয়াসা-মাখা ম্যাকমোহন
রেখার পিছু পিছু
সারল্যের খোঁজে আমি
নবদ্বীপ থেকে ছুটে
নীলাচলে চৈতন্য
খোয়াতে
দেখেছি ধানের শিস
মেধাস্বত্বে উড়ে গেছে
কালাপানি পার
সারল্যের খোঁজে আমি
বিশল্যকরণী আনতে টেনে
এনেছি গন্ধমাদন
করেছি ভ্রমরবৃত্তি
কুসুমে কুসুমে, দোহন
করেছি দুগ্ধ, ফেননিভ
সারল্যকে তবু
এল্ নিনো এসে তবু
ঋতুচক্রে গড়েছে
বিভ্রাট
এসেছে সারল্য তবু শক
হুন দল পাঠান মোগল,
পানপরাগের খুনে হাসি
আনন্দ মঠ
আনন্দকে পেলে আমি
ধিন্তাধিন্ ক’রে খুব
এক চক্কর নেচে নেব
নাচতে নাচতে উঠানের
ত্রিসীমানা বেঁকে যাবে
তবু আমি আনন্দকে পেলে
কুমোরের চাকা নিয়ে বসে
যাব বন্ বন্ বানাব
নদীতীর বেয়ে বয়ে-আসা
মৃণ্ময় সভ্যতার
ইতিহাস
তড়াক্ লাফিয়ে উঠব
মহিষের পিঠে আর জঙ্গল
গভীর ঢুঁড়ে
নিয়ে আসব লুপ্তপ্রায়
বীজ
আনন্দকে পেলে আমি বসাব
পেলব চারা শান্ত ওষধির
অন্ধের আকাশে আমি ছুঁড়ে
দেব রংধনুকের
ধ্বংস-অবশেষ
এখনও যা আছে
মাদারি খেলার দলে ভিড়ে
গিয়ে বাজাব ডুগডুগি আর
তোবড়ানো থালায়
মুদ্রা সংগ্রহের ছলে
ঢুকে পড়ব বিভিন্ন
রাষ্ট্রের গোপন
অলিন্দে
আর রাষ্ট্রহীন
আনন্দকে পেলে
কেটেকুটে রান্না ক’রে
বানাব আনন্দসুধা
চামচে চামচে ক’রে বিলি
করব সামরিক দপ্তরে
দপ্তরে