মহুয়া
মহুয়া ফলের রহস্য ঘিরে
আশ্চর্য সকাল এ সরোবরে
যদিও তার প্রহারিত
শিকড়, লোহা কাটা শরীর...
ওসব কিচ্ছু নয়, দৃষ্টি
একরৈখিক, প্রেমের মতো।
যদিও আরেক ফুল জাতীয়,
জলের জমাটে যায় মরে
ধূসরতা মুখে নিয়ে একা
উন্মুক্ত আকাশ খুঁজে
চলে,
সে থাক, তার মতো, দুঃসহ
পৃথিবীর আরেক দিনে।
তীর্থের থেকে ফিরে আসে
মুখ, সহসা জড়োসড়ো হয়ে
সহস্রাব্দের যে ভয়,
নিঃশেষের দিকে যে মিছিল
-
তাকে দিয়েছে কিছু বয়স,
অভিজ্ঞতা, পুরনো
দালান।
দেখি আরেক মানুষ,
স্পষ্ট বাঙলায়, ডাকছেন
দয়াময়
তুমি আমার আত্মা জানি,
তবু আত্মীয়টিও যেন হও,
তার সমূহ দৃষ্টিপাত, জল
এবং মাটির দিকে, বাতাসে
;
ধ্যানের বিপরীতে
ধ্যানমগ্ন তোমাকে
দেখি। পুরাণের কাল ভেবে
ভুল হয়।
যদি না পৃথিবীর উত্তাপে
কাতর তৃষ্ণার্ত
পাখিদের ঠোঁট
আসে যুদ্ধের ডাক।
ঘুমন্ত শিশুকে এসে
জাগিয়ে যায় -
নটনটী দল। সারা পৃথিবী
যেন হাতে জমিয়ে রাখা
মঞ্চ
ধ্যানমগ্ন তোমাকে কিছু
বলি না। বোবা ভাষায়
অন্যদিক
অন্যমনস্কতা সন্ধ্যান
করি। ভাবনার ভেতর নিয়ে
ক্রোধ
একদিন প্রেম এসেছিল ঘন
অরণ্য আর পাখিদের বনে
সব ক্রমশ শূন্যের দিকে
গেলে, ধ্যানমগ্নতাকে
ঈর্ষা হয়।
এই জীবন
এই বিকেল, বিষাদ
প্রতিমায় লেখা চোখ
উদ্বাস্তু মেঘের যত আছে
ছায়া চারদিকে
এই বিকেল, গোপন হিংসায়
আঁকা ছবি
শেষাগ্নির উঁকি
সমুদ্রের তলদেশ থেকে
দৃশ্যতঃ কিছু নেই।
আবছায়া সন্ধ্যা নামে
বহু স্তর ভেদ করে
কান্না হাওয়ায় যাচ্ছে
এ জীবন চরণচিহ্নে,
শেষাবধি নৈঃশব্দ্যে
ছাইভস্ম মাখা। উনুনে
বসে ভাপ নিচ্ছে...