আদম

সারাজাত সৌম


আদম
*

বাবা, আমাকে ভাসিয়ে নাও
মায়ের নৌকায় শুধু অন্ধকার আর পানি
শরীরে আচমকা পাখি পাখি গন্ধ লাগে
না জানি—কোন কালের কোন ফল
খেয়েছিলো সাপ, সে চির অভিমানী

হায়! আমার দিন-রাত্রি

আমি বিশ্বাস করি—
আমার আব্বা বহুদিন নিঃসঙ্গ থেকেও নিরাপদ ছিলেন
জগত থেকে দূরে এক মহাগ্রামেঠ° ভেতর
কোনো কিছুরই সংকট ছিলো না তার

যেন সে একা একা—
সৃষ্টি আর বিলয় বেদনার বাহার

বাবা, আমাকে ভাসিয়ে নাও
এখানে মানুষ আর মানুষে বিদ্যুৎ খেলে
মিথের রাজা ওরা—
আম্মাকে ভুলভাল ডাকে
তিনি নৌকা—তিনি à¦ªà¦¾à¦–à¦¿â€”à¦¤à¦¿à¦¨à¦¿à ‡ আব্বার নারী

হায়! আমার দিন-রাত্রি
আপনার খেলা আর শেষ হয় না, বাবা!


 
কিরণ


আমাকে ভাবো—
যেভাবে কিরণ পাতায় লাফিয়ে পড়ে
আর বানাতে থাকে একেকটি গাছের ছায়া
শারীরিক, আমাদের পুরনো বাড়ির পাশে

—অথচ বহুদিন কেউ আর আসে না
আমাদের আশেপাশে

সে এক পাগলা দুপুর—
প্রাচীন রমণীভরা সূর্য, পাখির সারি
জলের উপর ভবঘুরে মাকড়ের মন
যেন ভাঙ্গাচুরঠ¾ এক নিবিড় মৌলবি

—গাইছে যখন নিজের গান
সেকি প্রেমের গান না

তবু তোমাকেই ভাবি—
বনে বনে, অন্তত একটি ফুলের চিরআভা
হে আমার গাছের বাণী ছড়ানো সুঘ্রাণ
এখানে মৌতাত জুড়ে ভাসে কারা

—কিশোরীর প্রথম শাড়ি, সমস্ত নীল তাঁতের পাশে
আর তোমার হাতের পানতোয়া


 
জানালা

এক,

তখন তেরো—
যা দেখি শব্দ মনে হয়
আর ভীষন শব্দ শব্দ লাগে!

একজন মানুষ অন্য মানুষে মিলে—
তারা কেমন থাকে শাওয়ারে

এ যেন ওরাল, হাওয়ার কম্পনে—
রোজ রোজ ঝড়ো বাতাসে

আহা! চোখের মণিগুলো বেঁকেই যাচ্ছে...

দুই,

যখন জানালা—
ভাবি এসে চোখে পড়লো
সে কি ভাদ্র—
চোখের ভেতর আগুন জ্বললো!

বয়স হয়েছে রূপান্তর—
যেন সেই হুজুরের ভেতর পড়ছি আসর

আর ভাবছি বিবি, তুমিই সত্যি—
প্রেম হলো পাশের বাড়ির অজগর।